pdf surah yasin, surah yasin full,সূরা ইয়াসিন, সুরা ইয়াসিন,sura yasin bangla, surah yasin bangla,surah yasin bangla anubad, surah yasin bangla translation,সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ, সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, surah yasin bangla uccharon,সুরা ইয়াসিন আরবিতে, সূরা ইয়াসিন আরবি,সূরা ইয়াসিন pdf, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf, সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ ছবি, সূরা ইয়াসিন অর্থসহ,yaseen surah in english translation,

সূরা ইয়াসিন | সুরা ইয়াসিন

সূরা ইয়াসিন | সুরা ইয়াসিন: সূরা ইয়াসিন পবিত্র কুরআনের ৩৬তম সুরা যা অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র মক্কাতে। রাসূল সা: বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসিন কুরআনের হৃৎপিণ্ড।’

এই সুরায় রয়েছে পাঁচটি রুকূ ও ৮৩টি আয়াত। ইয়াসিন শব্দটি হুরূফ আল-মুকাত্তা’আত। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সুরার প্রথমে এ ধরণের বিচ্ছিন্ন অক্ষরসমূহ রয়েছে যার প্রকৃত অর্থ অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য কেবলমাত্র আল্লাহ পাক জানেন। মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআলা সব জ্ঞানের নির্যাস বিজ্ঞানময় আল কুরআন নাযিল করেছেন তাঁর সর্বশেষ রাসুল সা. এর উপর। যাতে তাঁর প্রিয় বান্দারা সতর্ক হতে পারে, সঠিক পথ পেতে পারে এবং জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, গন্তব্য ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনে সে অনুযায়ী নিজেকে পরিচালিত করতে পারে।

Read More: sura bakara last 2 ayat bangla সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত Free

pdf surah yasin, surah yasin full,সূরা ইয়াসিন, সুরা ইয়াসিন,sura yasin bangla, surah yasin bangla,surah yasin bangla anubad, surah yasin bangla translation,সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ, সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, surah yasin bangla uccharon,সুরা ইয়াসিন আরবিতে, সূরা ইয়াসিন আরবি,সূরা ইয়াসিন pdf, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf, সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ ছবি, সূরা ইয়াসিন অর্থসহ,yaseen surah in english translation,
pdf surah yasin, surah yasin full,সূরা ইয়াসিন, সুরা ইয়াসিন,sura yasin bangla, surah yasin bangla,surah yasin bangla anubad, surah yasin bangla translation,সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ, সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, surah yasin bangla uccharon,সুরা ইয়াসিন আরবিতে, সূরা ইয়াসিন আরবি,সূরা ইয়াসিন pdf, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf, সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ ছবি, সূরা ইয়াসিন অর্থসহ,yaseen surah in english translation,

pdf surah yasin | surah yasin full

pdf surah yasin | surah yasin full: এ সূরা পাঠকারী কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী হবে এবং আল্লাহ তা কবুল করবেন।

প্রশ্নউত্তর
সূরার নামYaseen surah
সিরিয়াল৩৬ তম
অবতীর্ণ হয়েছেপবিত্র মক্কাতে
রুকূর সংখ্যাপাঁচটি
রুকূর সংখ্যা৮৩টি
সূরা ইয়াসিনকে কি বলা হয়? কুরআনের হৃৎপিণ্ড
সূরা ইয়াসিন কত পারায়২২-২৩ পারায়

sura yasin bangla | surah yasin bangla

sura yasin bangla | surah yasin bangla: Sura Yasin, also known as Surah Ya-Sin, holds a special place in Islamic scripture and is recited with great reverence by Muslims worldwide. Written in Arabic, this chapter of the Quran is the 36th sura and is often considered the “Heart of the Quran” due to its profound and spiritually uplifting content. In Bangla translation, Sura Yasin provides a powerful message of faith, compassion, and the eternal mercy of Allah. It emphasizes the importance of reflection on the signs of God in the natural world, the resurrection, and the profound wisdom contained in the Quran. Muslims recite Sura Yasin during various occasions, particularly during times of grief and loss, as it offers solace and hope, reminding believers of God’s boundless love and mercy.

yaseen surah in english translation

yaseen surah in english translation: Sura Yasin, also known as Surah Ya-Sin, is a chapter of the Quran that holds immense significance in the Islamic faith. It is often referred to as the “Heart of the Quran” due to its profound spiritual content and the essential messages it conveys. This surah, written in Arabic, carries themes of divine mercy, resurrection, and the signs of God in the natural world. It emphasizes the importance of reflection and pondering over these signs as a means of strengthening one’s faith. Sura Yasin serves as a reminder of God’s infinite compassion and offers solace and guidance to believers, especially during times of difficulty and sorrow. Muslims worldwide hold it in high regard and recite it regularly to seek spiritual nourishment and a deeper connection with their Creator.

সুরা ইয়াসিন আরবিতে | সূরা ইয়াসিন আরবি

সুরা ইয়াসিন আরবিতে | সূরা ইয়াসিন আরবি সহ বাংলা অর্থ এবং ইংরেজি ট্রানস্লেশন দেয়া আছে এই পোস্টে। আশা করি গুগলের মধ্যে আমাদের এই পোস্ট সেরা হয়েছে।

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
In the Name of Allah, the Most Beneficent, the Most Merciful.

সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ | সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ

সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ | সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ এখন আপনারা দেখবেন এই অংশে।

সিরিয়ালআরবিবাংলা উচ্চারণবাংলা অর্থEnglish Translation
01يسইয়া-ছীন।ইয়া-সী-ন্Ya-Sin. [These letters are one of the miracles of the Quran, and none but Allah (Alone) knows their meanings.]
02 وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।By the Quran, full of wisdom (i.e. full of laws, evidences, and proofs),
03 إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।Truly, you (O Muhammad SAW) are one of the Messengers,
04عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম।সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।On a Straight Path (i.e. on Allah’s religion of Islamic Monotheism).
05تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِতানঝীলাল ‘আঝীঝির রাহীম।কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ(This is) a Revelation sent down by the AllMighty, the Most Merciful,
06لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَলিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন।যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।In order that you may warn a people whose forefathers were not warned, so they are heedless.
07لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَলাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন।তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।Indeed the Word (of punishment) has proved true against most of them, so they will not believe.
08إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন।আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।Verily! We have put on their necks iron collars reaching to chins, so that their heads are forced up.
09وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন।আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না।And We have put a barrier before them, and a barrier behind them, and We have covered them up, so that they cannot see.
10وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন।আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।It is the same to them whether you warn them or you warn them not, they will not believe.
11إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম।আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।You can only warn him who follows the Reminder (the Quran), and fears the Most Beneficent (Allah) unseen. Bear you to such one the glad tidings of forgiveness, and a generous reward (i.e. Paradise).
12إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন।আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।Verily, We give life to the dead, and We record that which they send before (them), and their traces [their footsteps and walking on the earth with their legs to the mosques for the five compulsory congregational prayers, Jihad (holy fighting in Allah’s Cause) and all other good and evil they did, and that which they leave behind], and all things We have recorded with numbers (as a record) in a Clear Book.
13وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ । ইযজাআহাল মুরছালূন।আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন।And put forward to them a similitude; the (story of the) dwellers of the town, [It is said that the town was Antioch (Antakiya)], when there came Messengers to them.
14إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আঝঝাঝনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন।আমি তাদের নিকট দুজন রসূল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।When We sent to them two Messengers, they belied them both, so We reinforced them with a third, and they said: Verily! We have been sent to you as Messengers.
15قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَকা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন।তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ।They (people of the town) said: You are only human beings like ourselves, and the Most Beneficent (Allah) has revealed nothing, you are only telling lies.
16قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَকা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন।রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।The Messengers said: Our Lord knows that we have been sent as Messengers to you,
17وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন।পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।And our duty is only to convey plainly (the Message).
18قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌকা-লূইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহূলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আযা-বুন আলীম।তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে।They (people) said: For us, we see an evil omen from you, if you cease not, we will surely stone you, and a painful torment will touch you from us.
19قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَকা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন।রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও।They (Messengers) said: Your evil omens be with you! (Do you call it evil omen) because you are admonished? Nay, but you are a people Musrifun (transgressing all bounds by committing all kinds of great sins, and by disobeying Allah).
20وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন।অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।And there came running from the farthest part of the town, a man, saying: O my people! Obey the Messengers;
21اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন।অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।Obey those who ask no wages of you (for themselves), and who are rightly guided.
22وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন।আমার কি হল যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না?And why should I not worship Him (Allah Alone) Who has created me and to Whom you shall be returned.
23أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِআআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন।আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না।Shall I take besides Him aliha (gods), if the Most Beneficent (Allah) intends me any harm, their intercession will be of no use for me whatsoever, nor can they save me?
24إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন।এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।Then verily, I should be in plain error.
25إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও।Verily! I have believed in your Lord, so listen to me!
26قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَকীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন।তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত-It was said (to him when the disbelievers killed him): Enter Paradise. He said: Would that my people knew!
27بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَবিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন।যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।That my Lord (Allah) has forgiven me, and made me of the honoured ones!
28وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন।তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও না।And We sent not against his people after him a host from heaven, nor do We send (such a thing).
29إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন।বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।It was but one Saihah (shout, etc.) and lo! They (all) were silent (dead-destroyed).
30يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না।Alas for mankind! There never came a Messenger to them but they used to mock at him.
31أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَআলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।Do they not see how many of the generations We have destroyed before them? Verily, they will not return to them.
32وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে।And surely, all, everyone of them will be brought before Us.
33وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন।তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে।And a sign for them is the dead land. We gave it life, and We brought forth from it grains, so that they eat thereof.
34وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন।আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী।And We have made therein gardens of date-palms and grapes, and We have caused springs of water to gush forth therein.
35لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَলিইয়া’কুলূমিন ছামারিহী ওয়ামা-‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা-ইয়াশকুরূন।যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন?So that they may eat of the fruit thereof, and their hands made it not. Will they not, then, give thanks?
36سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আঝাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন।পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।Glory be to Him, Who has created all the pairs of that which the earth produces, as well as of their own (human) kind (male and female), and of that which they know not.
37وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন।তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়।And a sign for them is the night, We withdraw therefrom the day, and behold, they are in darkness.
38وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম।সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।And the sun runs on its fixed course for a term (appointed). That is the Decree of the All-Mighty, the All-Knowing.
39وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম।চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়।And the moon, We have measured for it mansions (to traverse) till it returns like the old dried curved date stalk.
40لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَলাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।It is not for the sun to overtake the moon, nor does the night outstrip the day. They all float, each in an orbit.
41وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন।তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।And an Ayah (sign) for them is that We bore their offspring in the laden ship [of Nuh (Noah)].
42وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন।এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।And We have created for them of the like thereunto, so on them they ride.
43وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন।আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।And if We will, We shall drown them, and there will be no shout (or helper) for them (to hear their cry for help) nor will they be saved.
44إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন।কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।Unless it be a mercy from Us, and as an enjoyment for a while.
45وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।And when it is said to them: Beware of that which is before you (worldly torments), and that which is behind you (torments in the Hereafter), in order that you may receive Mercy (i.e. if you believe in Allah’s Religion Islamic Monotheism, and avoid polytheism, and obey Allah with righteous deeds).
46وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।And never came an Ayah from among the Ayat (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) of their Lord to them, but they did turn away from it.
47وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন।যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।And when it is said to them: Spend of that with which Allah has provided you, those who disbelieve say to those who believe: Shall we feed those whom, if Allah willed, He (Himself) would have fed? You are only in a plain error.
48وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন।তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?And they say: When will this promise (i.e. Resurrection) be fulfilled, if you are truthful?
49مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَমা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ইয়াখিসসিমূন।তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।They await only but a single Saihah (shout, etc.), which will seize them while they are disputing!
50فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।Then they will not be able to make bequest, nor they will return to their family.
51وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন।শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।And the Trumpet will be blown (i.e. the second blowing) and behold! From the graves they will come out quickly to their Lord.
52قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَকা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন।তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।They will say: Woe to us! Who has raised us up from our place of sleep. (It will be said to them): This is what the Most Beneficent (Allah) had promised, and the Messengers spoke truth!
53إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।It will be but a single Saihah (shout, etc.), so behold! They will all be brought up before Us!
54فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।This Day (Day of Resurrection), none will be wronged in anything, nor will you be requited anything except that which you used to do.
55إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন।এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।Verily, the dwellers of the Paradise, that Day, will be busy in joyful things.
56هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَহুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।They and their wives will be in pleasant shade, reclining on thrones.
57لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَলাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।They will have therein fruits (of all kinds) and all that they ask for.
58سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম।করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।(It will be said to them): Salamun (peace be on you), a Word from the Lord (Allah), Most Merciful.
59وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন।হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।(It will be said): And O you Al-Mujrimun (criminals, polytheists, sinners, disbelievers in the Islamic Monotheism, wicked evil ones, etc.)! Get you apart this Day (from the believers).
60أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌআলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?Did I not ordain for you, O Children of Adam, that you should not worship Shaitan (Satan). Verily, he is a plain enemy to you.
61وَأَنِ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।And that you should worship Me [Alone Islamic Monotheism, and set up not rivals, associate-gods with Me]. That is a Straight Path.
62وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন।শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?And indeed he (Satan) did lead astray a great multitude of you. Did you not, then, understand?
63هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَহা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।This is Hell which you were promised!
64اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।Burn therein this Day, for that you used to disbelieve.
65الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَআলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।This Day, We shall seal up their mouths, and their hands will speak to Us, and their legs will bear witness to what they used to earn. (It is said that one’s left thigh will be the first to bear the witness). [Tafsir At-Tabari, Vol. 22, Page 24]
66وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন।আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!And if it had been Our Will, We would surely have wiped out (blinded) their eyes, so that they would struggle for the Path, how then would they see?
67وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।And if it had been Our Will, We could have transformed them (into animals or lifeless objects) in their places. Then they should have been unable to go forward (move about) nor they could have turned back. [As it happened with the Jews see Verse 7:166 The Quran].
68وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন।আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?And he whom We grant long life, We reverse him in creation (weakness after strength). Will they not then understand?
69وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন।আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।And We have not taught him (Muhammad SAW) poetry, nor is it meet for him. This is only a Reminder and a plain Quran.
70لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَলিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন।যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।That he or it (Muhammad SAW or the Quran) may give warning to him who is living (a healthy minded the believer), and that Word (charge) may be justified against the disbelievers (dead, as they reject the warnings).
71أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَআওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন।তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।Do they not see that We have created for them of what Our Hands have created, the cattle, so that they are their owners.
72وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন।আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।And We have subdued them unto them so that some of them they have for riding and some they eat.
73وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন।তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?And they have (other) benefits from them (besides), and they get (milk) to drink, will they not then be grateful?
74وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন।তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।And they have taken besides Allah aliha (gods), hoping that they might be helped (by those so called gods).
75لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَলা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন।অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।They cannot help them, but they will be brought forward as a troop against those who worshipped them (at the time of Reckoning).
76فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম । ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।So let not their speech, then, grieve you (O Muhammad SAW). Verily, We know what they conceal and what they reveal.
77أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌআওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন।মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।Does not man see that We have created him from Nutfah (mixed male and female discharge semen drops). Yet behold! He (stands forth) as an open opponent.
78وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম।সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?And he puts forth for Us a parable, and forgets his own creation. He says: Who will give life to these bones when they have rotted away and became dust?
79قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌকুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু।বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।u Say: (O Muhammad SAW) He will give life to them Who created them for the first time! And He is the All-Knower of every creation!
80الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَআল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন।যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।He, Who produces for you fire out of the green tree, when behold! You kindle therewith.
81أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُআওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।Is not He, Who created the heavens and the earth Able to create the like of them? Yes, indeed! He is the All-Knowing Supreme Creator.
82إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন।তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।Verily, His Command, when He intends a thing, is only that He says to it, Be! and it is!
83فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।So Glorified is He and Exalted above all that they associate with Him, and in Whose Hands is the dominion of all things, and to Him you shall be returned.

সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | surah yasin bangla uccharon

সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ | surah yasin bangla uccharon: The Quran, the holy book of Islam, is revered by Muslims around the world as the literal word of God. Within its pages, there are chapters and verses that hold profound spiritual significance and offer guidance for all aspects of life. One such chapter is সূরা ইয়াসিন, known as Surah Yasin in Arabic. This blog post explores the importance and significance of সূরা ইয়াসিন, particularly in its Bengali pronunciation.

Understanding Surah Yasin

Surah Yasin is the 36th chapter of the Quran and is often considered the “Heart of the Quran” due to its spiritual depth and impact on believers. It’s a chapter filled with lessons, admonitions, and blessings. While its original text is in Arabic, many Muslims around the world, especially those who do not speak Arabic as their native language, seek to understand and connect with the message of the Quran in their own languages. This is where the Bengali pronunciation of Surah Yasin plays a crucial role.

Significance of Bengali Pronunciation

  1. Accessibility: Bengali pronunciation of Surah Yasin makes the Quran more accessible to Bengali-speaking Muslims who may not be proficient in Arabic. It allows them to engage with the text, understand its meanings, and draw spiritual inspiration.
  2. Connection with the Divine: Hearing and reciting Surah Yasin in Bengali allows individuals to forge a deeper connection with Allah (God). Understanding the verses and their significance in one’s native language can enhance the spiritual experience.
  3. Clarity of Message: Translating Surah Yasin into Bengali ensures that the message and teachings are conveyed accurately, avoiding potential misunderstandings that may arise from relying solely on the Arabic text.
  4. Cultural Relevance: Pronouncing Surah Yasin in Bengali helps integrate the Quranic teachings into the cultural fabric of Bengali society, making it more relatable to the community.

Reciting and Reflecting on Surah Yasin

When reciting Surah Yasin in Bengali, it’s essential not only to focus on pronunciation but also to delve into its meanings and implications for one’s life. The chapter is filled with lessons about the oneness of God, the reality of life after death, and the importance of reflection on the signs of God in the natural world.

ডাউনলোড

surah yasin bangla anubad | surah yasin bangla translation

surah yasin bangla anubad | surah yasin bangla translation: The Quran, revered as the ultimate source of guidance and wisdom for Muslims, is a timeless treasure that transcends linguistic and cultural barriers. While the original text is in Arabic, translations, or “anubad” in Bengali, provide an opportunity for Bengali-speaking Muslims to access the profound teachings of the Quran. Among these translations, সূরা ইয়াসিন (Surah Yasin) in Bangla anubad holds a special place. In this blog post, we will explore the significance and beauty of Surah Yasin’s Bengali translation.

Understanding Surah Yasin

Surah Yasin is the 36th chapter of the Quran, renowned for its deep spiritual resonance and guidance. Often referred to as the “Heart of the Quran,” this surah contains profound lessons, insights, and blessings. It addresses themes like the oneness of God, the afterlife, and the importance of reflecting upon the signs of God in the natural world. While the original Quranic text is in Arabic, the Bengali translation allows Bengali-speaking Muslims to access the spiritual riches contained within Surah Yasin.

The Significance of Surah Yasin Bangla Anubad

  1. Accessibility: The Bengali translation of Surah Yasin makes the Quran more accessible to those who may not be fluent in Arabic. It enables Bengali-speaking Muslims to engage with the text, comprehend its meanings, and connect with the message of the Quran on a deeper level.
  2. Connection with Faith: Surah Yasin Bangla anubad allows individuals to strengthen their faith and deepen their relationship with Allah (God). Understanding the verses in one’s native language enhances the spiritual experience and fosters a profound connection.
  3. Clarity of Message: The translation ensures that the message and teachings of Surah Yasin are conveyed accurately, eliminating any potential misunderstandings that may arise from relying solely on the Arabic text.
  4. Cultural Relevance: Pronouncing Surah Yasin in Bengali helps integrate Quranic teachings into the cultural context of Bengali society, making it more relatable and impactful for the community.

Reciting and Reflecting on Surah Yasin in Bengali

When reciting Surah Yasin in Bengali, it’s essential not only to focus on pronunciation but also to delve into the meanings and lessons contained within the surah. Reflecting on the verses can provide guidance for daily life, reinforce the belief in the afterlife, and encourage a deeper connection with God.

Surah Yasin Bangla anubad is a powerful bridge that connects Bengali-speaking Muslims to the profound teachings of the Quran. It offers accessibility, spiritual connection, clarity, and cultural relevance. Whether recited during daily prayers, special occasions, or moments of reflection, the Bengali translation of Surah Yasin enriches the spiritual journey of countless believers, helping them draw closer to Allah and find guidance in their lives. It is a testament to the universality and timelessness of the Quranic message, reminding us that the wisdom and guidance it offers transcend linguistic boundaries.

সূরা ইয়াসিন pdf | সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf | সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ

সূরা ইয়াসিন pdf | সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf | সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ উপরে এবং নিচে পিকচার আকারেও দেয়া রয়েছে। চাইলে ডাউনলোড সহ যে কোন সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারেন।

সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ ছবি | সূরা ইয়াসিন অর্থসহ

সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ ছবি | সূরা ইয়াসিন অর্থসহ নিচে দেয়া হলো। দেখে নিন।

সূরা ইয়াসিন এর আমল

সূরা ইয়াসিন এর আমল: সুরা ইয়াসিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়ত লাভের প্রথম দিকে এবং হিজরতের বহু আগে মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৮৩, রুকু পাঁচটি। সুরাটিকে ‘কলবুল কোরআন’ বা কোরআনের অন্তঃকরণ বলা হয়। বাস্তবিকই এ সুরায় কোরআনিক শিক্ষার প্রাণবস্তু তাওহিদ, রিসালাত, হিদায়াত, নবুয়ত এবং ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা রয়েছে। ইয়াসিন শব্দের অর্থ ‘হে মানব’ মতান্তরে ‘হে মুহাম্মদ (সা.)’। হক বা সত্যের উন্নতি ও অগ্রগতি কখনো ব্যাহত হয় না। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বেলায়ও এর ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি।

জানা যায়, সব যুগের, সব নবী-রাসুলকেই সমসাময়িক কালের লোকদের দ্বারা দুঃখকষ্টে জর্জরিত হতে হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) আল্লাহর নির্দেশিত চিরন্তন সত্য-সুদৃঢ় পথে মানবজাতিকে পরিচালিত করতে গিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়েছেন, বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। যারা নবীজি (সা.)-এর বিরোধিতা করেছে তারা এর আগেও খ্রিস্টান, ইহুদি বা অন্য কোনো ধর্মের নীতিও মেনে চলেনি। প্রবীণরা দীর্ঘদিনের অভ্যাস, সংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস পরিত্যাগ করতে পারেনি। আর এসব মহাপাপী, অন্ধবিশ্বাসী ও হঠকারীদের সত্য ও ন্যায়ের প্রতি চরম বিরোধিতার কথাই এ সুরার প্রথমাংশে আলোচিত হয়েছে। এ সুরায় এমন এক জনপদের কথা বলা হয়েছে, যেখানে উপর্যুপরি তিনজন সতর্ককারী নবী প্রেরিত হওয়ার পরও এর অধিবাসীরা ধর্মের বাণীতে কর্ণপাত করেনি। যেকোনো সময় আল্লাহ তায়ালা যেকোনোটিই সৃষ্টি অথবা ধ্বংস করতে পারেন। সৃষ্টির জন্য যেমন কোনো সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি ধ্বংসের বেলায়ও আল্লাহর পক্ষে সময়ক্ষেপণের দরকার হয় না। সংস্কার-প্রচেষ্টার প্রতি মানুষের মনের স্বাভাবিক বিরোধপ্রবণতা অপরিসীম। নতুন বলতে যদি কোনো কিছু শাশ্বত, সুন্দর, সত্যের সুদৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তাহলে পুরনোকে পরাজয় বরণ করতে হয়। সুতরাং জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান নারী-পুরুষের পক্ষে শুধু নতুন বলে কোনো মত বা পথের বিরোধিতা করা উচিত নয়। সুরাটির প্রায় মাঝামাঝিতে সৃষ্টি সম্পর্কিত মানুষের অস্বচ্ছ ধারণা উদ্ঘাটিত হয়েছে।

বলা হয়েছে, সব সৃষ্টিই যুগল সৃষ্টি। বস্তু-প্রাণী, অণু-পরমাণু ও জানা-অজানা সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি সুরাটিতে মহাশূন্যে চন্দ্র-সূর্য উভয়ই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করা ছাড়াও সূর্য নিজ মেরুতে ২৬ দিনে একবার ঘুরে আসে এ কথাও বলা হয়েছে। তা ছাড়া এ সুরায় প্রচণ্ড আঘাতে সারা পৃথিবী প্রকম্পিত হওয়া, সব মানুষ পুনরুজ্জীবিত হয়ে ময়দানে হাশরে সমবেত হওয়া, শান্তি বা পুরস্কার লাভ, বেহেশতের সুখ-ভোগ, নারী-পুরুষের কৃতকর্ম এবং নেকি-বদি প্রমাণের জবানবন্দি বা অন্য কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণের প্রয়োজন না হওয়া, নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত দৈহিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নিজ নিজ ভূমিকা বর্ণনা করা, সামান্য শুক্রকণা থেকে একান্ত অসহায় মানব সৃষ্টির রহস্য এবং পরবর্তী সময়ে বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানবুদ্ধির অধিকারী হওয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাতে আরো বর্ণনা করা হয়েছে, নবী কখনো কবি বা কাব্যবিদ নন। তাঁর বাণী শাশ্বত সত্যের ভাস্বর প্রকাশ। আর কোরআন, যাতে অতি সহজ-সরলভাবে ধর্মীয় মৌলিক নীতিগুলো বর্ণিত ও ব্যাখ্যায়িত হয়েছে। জড়বাদী কাফিরদের ব্যাপারেও সুরাটিতে আলোচনা রয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আলোচনা দীর্ঘায়িত করব না। বলব, বান্দা এবং তাঁর সৃষ্টিকর্তার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ মাধ্যম বা সরল পথপন্থা নির্ধারণের বিষয়ে। এ বিষয়ে বলতে গেলে ইসলাম প্রতিটি মানুষকেই ব্যক্তিস্বাধীনতা দান করেছে। অর্থাৎ ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষই স্বাধীন। আমরা জানি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য আজও মানুষ অবিচ্ছিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিস্বাধীনতা ইসলাম চৌদ্দ শ বছর আগেই স্বীকার করে নিয়েছে।

অধ্যাত্মজগতের এই ব্যক্তিবাদ বস্তুজগতে ব্যক্তিস্বাধীনতার পথ খুলে দিয়েছে। সর্বশেষ এই সুরার শেষাংশে জলবায়ু, আগুন ও আগুন তৈরির কলাকৌশল বর্ণিত হয়েছে। জলবায়ু পাওয়াটা সহজলভ্য হলেও আগুন মানুষকে তৈরি করে নিতে হয়। মানুষের আদি ও আসল বাসস্থান মধ্যপ্রাচ্য বা আরব, যেখানে পত্র-পল্লববিহীন শাখা-প্রশাখাযুক্ত এক ধরনের গাছ চোখে পড়ে। প্রথমত এ গাছের দুই টুকরা ডালকে একটি অন্যটির খোদিত গর্তের ভেতর ঘুরিয়ে আরবীয়রা আগুন উৎপাদন করেছিল। আর এ যন্ত্রটির নাম ছিল ‘জিনাদ’। আজ এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ কালক্রমে বাঁশে-বাঁশে, পাথরে-পাথরে, লৌহ-ইস্পাতে ঘর্ষণের সাহায্যে আগুন উৎপাদনের সহজ প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছে। অতএব সবুজ গাছের পরস্পর শাখা থেকে যিনি আগুন উৎপাদন করতে সক্ষম, তিনি বা তাঁর পক্ষে প্রাণহীন দেহ বা অস্থি-কঙ্কাল থেকে মানুষকে আবার সৃষ্টি করা মোটেও অসম্ভব নয়।

আমি সুরা ইয়াসিনের আলোচনাকে সারসংক্ষেপ করার হাজারো চেষ্টা করলেও এর প্রতিটি আয়াতই খুব ব্যাখ্যানির্ভর ও অনুধাবনযোগ্য। এই সুরার নিত্য-আবৃত্তি ও মর্মকথা বোঝা সীমাহীন নেক কাজ। এর ভক্ত মুসলমানরা অতি বিশ্বাসের সঙ্গে আপতিত বিপদাপদ ও নানা দুঃখকষ্টে তা পাঠ করে হৃদয় বা মনে সাহস জোগানোর মাধ্যমে আল্লাহর অপার করুণা লাভের ভরসা করে থাকে। জীবনের শেষ সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন এই সুরা তিলাওয়াত করতে অসমর্থ হলেও অন্যের কণ্ঠে এর তিলাওয়াত শুনে আল্লাহর প্রেমে হৃদয় ভরে পরম বিশ্বাস ও ভক্তি সহকারে জীবন-বিধাতার চরম-প্রান্তে নিজেকে সমর্পণ করে দেয়। সুরা ‘তোয়াহা’ ও সুরা ‘আর-রহমান’ সম্মান ও মর্যাদায় মুসলমানের হৃদয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করে থাকলেও ‘ইয়াসিন’ নামের এ সুরাটি প্রথম স্থান অধিকার করে রেখেছে। আমরা জানি, প্রত্যেক মানুষের জন্যই মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যুর সময় কী করা এবং মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কী শেখানো বা কী শোনানো দরকার এ সম্পর্কে হাদিসে বহু আলোচনা রয়েছে। যেমন- হজরত জাবের বিন জায়েদ (রা.) বলেছেন, মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে বসে মৃত্যুর সময় কোরআন পাকের সুরায়ে রায়াদ তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। এর দ্বারা মুমূর্ষু ব্যক্তি শান্তি অনুভব করে এবং তার মানসিক অবস্থা ঠিকমতো বহাল থাকে।

এ সম্পর্কে হজরত শেয়রি (রা.) বলেন, মদিনায় আনসাররা মুমূর্ষু ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার আগে তার শিয়রে বসে সুরা বাকারা পাঠ করত। আর প্রিয় নবীজি (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় মৃত ব্যক্তির জন্য মৃত্যু হওয়ার কিছু সময় আগে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি এই মুমূর্ষু ব্যক্তিকে মাফ করুন। এর শয়নের জায়গা ঠাণ্ডা রাখুন। কবরকে প্রশস্ত করুন। মৃত্যুর পর শান্তিতে রাখুন। এ আত্মাকে পুণ্যবানদের আত্মার সঙ্গে মিলিত করুন। আর আখিরাতে আমাকে এবং এই ব্যক্তিকে কাছাকাছি স্থান করে দিন। তাকে দুঃখকষ্ট, বিপদাপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।’ তা ছাড়া সুরা ইয়াসিন পাঠ করা সম্পর্কে হজরত আবু দারদা থেকে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, প্রিয় নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুমূর্ষু ব্যক্তির শিয়রে বসে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা হলে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর মৃত্যুযন্ত্রণা সহজ ও লাঘব করে দেন। হাদিসে এ সুরা পাঠের অন্য আরেকটি বিশেষত্ব হলো, পাঠকারী কখনো ইমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করবে না।

হাদিসে আরো বলা হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জীবের হৃদয় রয়েছে, যা তার দেহের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ। আর কোরআনের হৃদয় হলো সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফ ১০ বার পড়ার সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেবেন।’ আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘সূর্যোদয়ের সময় এ সুরা পাঠ করলে পাঠকারীর সব ধরনের অভাব দূরীভূত হবে এবং সে ধনী হবে।’ এ ছাড়া সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াতের বহুবিধ উপকার ও ফায়দা রয়েছে। যেকোনো সৎ উদ্দেশ্যে এ সুরা পাঠ করলে আল্লাহপাক পাঠকের মনোবাসনা পূর্ণ করে দেন। বালা-মুসিবত ও রোগ-শোকে এ সুরা পাঠ করলে আল্লাহপাক মুক্তি দান করেন। এ সুরা পাঠ করে ঘর থেকে বের হলে বাইরে থাকা অবস্থায় কোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন হবে না। রোগী বা বিপদগ্রস্তের গলায় এ সুরার লিখিত তাবিজ বেঁধে দিলে বিশেষ উপকার হয়। পাগল ও জিনগ্রস্ত রোগীর প্রতি এ সুরা পাঠ করে ফুঁক দিলে রোগী অচিরেই রোগমুক্ত হয় এবং আরোগ্য লাভ করে। সর্বদা সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে বিচার দিনে এই সুরা আল্লাহপাকের কাছে পাঠকারীর মুক্তির জন্য সুপারিশ করবে।

সূরা ইয়াসিন এর ফযিলত

সূরা ইয়াসিন এর ফযিলত: রাসূল সা: বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসিন কুরআনের হৃৎপিণ্ড।’ এ হাদিসে আরো বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন আল্লাহ ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য পাঠ করবে তার মাগফিরাত হয়ে যায়। তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য এ সূরা তিলাওয়াত করো। (রুহুলমায়ানি, মাজহারি)

– তিরমিজী শরীফে উল্লেখ আছে এই সূরা একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন খতমের নেকী হয়।

– যে ব্যাক্তি এই সূরা বেশি বেশি পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।

– বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামগন বরননা করেছেন এই সূরা পাঠ করিলে মৃত্যু যন্ত্রনা লাঘব হয় এবং কবরের কাছে এই সূরা পাঠ করিলে কবর আযাব থেমে যায়।

– হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা: বলেন যদি কোন ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয় এবং সংসারে শান্তি ও রিজিক বরকত লাভ হয়।

– এ সূরা পাঠকারী জন্য কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী হবে এবং আল্লাহ তা কবুল করবেন।

ইমাম গাজ্জালি রহ: বলেন, ‘সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের হৃৎপিণ্ড এ কারণে বলা হয়েছে যে, ‘এ সূরায় কেয়ামত ও হাশর-নশর বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা ও অলঙ্কারসহকারে বর্ণিত হয়েছে। পরকালে বিশ্বাস ঈমানের এমন একটি মূলনীতি, যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল।

পরকালভীতিই মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অবৈধ বাসনা ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই দেহের সুস্থতা যেমন অন্তরের সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল তেমনি ঈমানের সুস্থতা পরকালের চিন্তার ওপর নির্ভরশীল (রুহুলমায়ানি)। এ সূরার নাম সূরা ইয়াসিন হিসেবে প্রসিদ্ধ; তবে হাদিসে এ সূরার নাম ‘আজিমা’ও বর্ণিত আছে। অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে যে, তাওরাতে এ সূরার নাম ‘মুয়িম্মাহ’ বলে উল্লেখ আছে। অর্থাৎ এ সূরা তার পাঠকারীকে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও ব্যাপক কল্যাণ এনে দেয়। অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, এ সূরা কেয়ামতের দিন অধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সুপারিশকারী হবে এবং তা আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন।

আবার এ সূরার নাম ‘মুদাফিয়া’ও বর্ণিত আছে। অর্থাৎ এ সূরা তার পাঠকদের থেকে বালা-মুসিবত দূর করে। অন্য রেওয়ায়েতে এর নাম ‘কাজিয়া’ও উল্লিখিত হয়েছে; অর্থাৎ এ সূরা পাঠকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটায়। (রূহুলমায়ানি)

হজরত আবু যর রা: বলেন, আমি রাসূল সা:-এর কাছ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)

ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। (মাজহারি)

এ ছাড়া সূরা ইয়াসিনের বহু ফজিলত হাদিসে বর্ণিত আছে, তাই এই সূরা প্রতিদিন সকালে অন্তত একবার করে অবশ্যই সবার পড়া উচিত।

সূরা ইয়াসিন এর তাৎপর্য

সূরা ইয়াসিন এর তাৎপর্য: ইয়াসিন পবিত্র কুরআনের ৩৬তম সুরা যা অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র মক্কাতে। এই সুরায় রয়েছে পাঁচটি রুকূ ও ৮৩টি আয়াত। ইয়াসিন শব্দটি হুরূফ আল-মুকাত্তা’আত। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সুরার প্রথমে এ ধরণের বিচ্ছিন্ন অক্ষরসমূহ রয়েছে যার প্রকৃত অর্থ অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য কেবলমাত্র আল্লাহ পাক জানেন। মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআলা সব জ্ঞানের নির্যাস বিজ্ঞানময় আল কুরআন নাযিল করেছেন তাঁর সর্বশেষ রাসুল সা. এর উপর। যাতে তাঁর প্রিয় বান্দারা সতর্ক হতে পারে, সঠিক পথ পেতে পারে এবং জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, গন্তব্য ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনে সে অনুযায়ী নিজেকে পরিচালিত করতে পারে।

আল কুরআনের সুরা ইয়াসিনে মানুষের চূড়ান্ত সাফল্যের বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হয় সে এই দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে চিরস্থায়ী পরম শান্তিময় জান্নাতে তার দয়াময় প্রভুর ‘সালাম’ লাভ করবে। অথবা এর বিপরীতে কৃত অপরাধের শাস্তি স্বরূপ দয়াময় প্রভুর ‘সালাম’ লাভকারীদের থেকে পৃথক হয়ে অপরাধী হিসেবে নিক্ষিপ্ত হবে চিরস্থায়ী কঠিন শান্তির দুঃসহ যন্ত্রণাময় জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডে।

মহান স্রষ্টা তাঁর বান্দাদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে এ দু’টো স্থানকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং এর যে কোনো একটিকে গ্রহণ করার স্বাধীনতা, এখতিয়ার মানুষকে দিয়েছেন। তবে “তাদের অধিকাংশের সম্পর্কেই স্থির সিদ্ধান্ত রয়েছে যে, তারা ঈমান আনবে না।” [সুরা ইয়াসিন:৭] এক্ষেত্রে রাসুল সা. এবং তাঁর উম্মতদের দায়িত্বের ব্যাপারে আল্লাহ পাক সুরা ইয়াসিনে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন- “আর (আল্লাহর পাকের মহান বাণী) সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ব্যতীত আমাদের উপর আর কোনো দায়িত্ব নাই।” [সুরা ইয়াসিন : ১৭]

বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তানের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা হচ্ছে মানুষকে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে সরিয়ে রেখে স্বীয় উপাসনায় আকৃষ্টের মাধ্যমে জাহান্নামের পথে তাকে ধাবিত করা। মানুষের প্রকাশ্য শত্র“ অবাধ্য, দাম্ভিক শয়তানের উপাসনা হচ্ছে চরমতম অপরাধ যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি সীমাহীন যন্ত্রণাদায়ক জাহান্নাম। প্রতারক শয়তানের ধোঁকা থেকে মানুষকে রক্ষা করে সঠিক পথ দেখানোর জন্যে মহান স্রষ্টা যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। আল্লাহ পাক এ জন্যে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, “অনুকরণ কর তাঁহাদের যাঁহারা তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাহেন না। এবং তাঁহারা সঠিক পথপ্রাপ্ত।” [সুরা ইয়াসিন : ২১] কিন্তু শয়তানের পদলেহনকারী পাপিষ্ঠ দুর্বৃত্তদের দ্বারা কেবল নবী রাসুলগণ নন তাঁদের অনুসারীরাও নির্যাতিত হয়েছেন, শাহাদৎ লাভ করেছেন। আর পরিণতিতে শাহাদাতের মর্যাদা লাভকারীরা মহান প্রভুর প্রশান্তিময় জান্নাত লাভে ধন্য ও পরিতৃপ্ত হয়েছেন। সেখানে আক্ষেপ শুধুমাত্র এটুকু যে, দয়াময় মেহেরবান প্রভুর এই অসীম ক্ষমা এবং অকল্পনীয় মর্যাদা, সম্মান, সৌভাগ্যের কথা যদি তাঁর সম্প্রদায়ের সবাই জানতে পারতো। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, তাকে বলা হলো জান্নাতো প্রবেশ কর। সে বলল, ‘হায়! আমার কওম যদি জানতে পারতো! [সুরা ইয়াসিন : ২৬]

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মানুষের আসল গন্তব্য চিরস্থায়ী ঠিকানায় পৌঁছার লক্ষ্যে মহান প্রভুর সামনে সবাইকে অবশ্যই দাড়াতে হবে। সুরা ইয়াসিনে কিয়ামতের পরিস্কার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। “আর শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে তখনই তারা ছুটে আসবে তাদের প্রতিপালকের দিকে।” [সুরা ইয়াসিন : ৫১] কিয়ামতের প্রকৃত অবস্থা সম্বন্ধে আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবসমূহে এবং নবী রাসুলদের মাধ্যমে বারবার তুলে ধরে তাঁর বান্দাদের সঠিক জ্ঞান দান করেছেন। এই কিয়ামত যে অবশ্যই সংঘঠিত হবে সে খবর প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম আ. থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মাদ সা. পর্যন্ত এক লাখ বা দু’ লাখ চব্বিশ হাজার নবী রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে জানিয়েছেন। নবী রাসুলগণ প্রত্যেকেই ছিলেন পরম সত্যবাদী, সম্পূর্ণ নিঃস্বর্থ এবং তাদের সময়ের সর্বোত্তম মানব। “তারা বলবে, হায়! দুর্ভোগ আমাদের! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল হতে উঠালো? (তাদের বলা হবে) এটা তো তা যার প্রতিশ্র“তি পরমকরুণাময় করেছিলেন এবং রাসুলগণ সত্যই বলেছিলেন।” [সুরা ইয়াসিন : ৫২]

মহাবিচারক আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা কিয়ামতের দিন তাঁর বান্দাদের প্রতি সুনিশ্চিতভাবে সুবিচার করবেন। দুনিয়াতে যে যেরকম আমল করেছে কিয়ামতের দিন তার প্রতিফল সে অনুযায়ী দেয়া হবে। কিয়ামতে ন্যায়বিচাররের বিষয়ে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষণা- “আজ কারো প্রতি কোনো যুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা আমল করছিলে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে।” [সুরা ইয়াসিন : ৫৪]

মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সামান্য শুক্রকীট থেকে। জোড়ায় জোড়ায় সব প্রাণীর সৃষ্টি, আসমান ও যমীনের সৃষ্টি, চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-নক্ষত্রের নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ, দিন ও রাতের আবর্তন, দীর্ঘ জীবন লাভের পর শারীরিক আকৃতির পরিবর্তন, মৃতকে পুণর্জীবিত করা, নৌযানের চলাচল, নির্জীব পৃথিবীকে সজীব করা, জান্নাত জাহান্নাম সৃষ্টি, শিংগায় ফুৎকারের মাধ্যমে কিয়ামতের উদ্ভব, আখিরাতে মানুষের প্রভুর পানে ছুটে চলা ও মুখ বন্ধ হয়ে হাত পা’র কথা বলা, সবুজ বৃক্ষ হতে আগুনের সৃষ্টি, ‘হও’ শব্দটি বলা মাত্র বান্তুবে প্রকৃতপক্ষে তা হয়ে যাওয়া সব কিছুই মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলার অপার কুদরত। এই কুদরতগুলোর অপরূপ ও অতুলনীয় বর্ণনা উপমাসহ অথবা উপমা ছাড়াই সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে সুরা ইয়াসিনে।

আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয়তম রাসুল সা.-এর উপর নাযিল করেছেন সর্বোচ্চ সাহিত্য ও কাব্য গুণসম্পন্ন জ্ঞানগর্ভ এই কুরআন। তবে তাঁকে তিনি কবিতা শিক্ষা দেননি। এটা তাঁর জন্যে শোভনীয়ও নয়। আল কুরআন হচ্ছে সর্বোত্তম উপদেশ ও সুস্পষ্ট সতর্কবাণী। এই কুরআন দুনিয়াতে জীবিতদের সতর্ক করে আর আখিরাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে আল্লাহর ওয়াদার সত্যতার সক্ষ্য দিবে। [সুরা ইয়াসিন : ৩৯] প্রকৃতপক্ষে একনিষ্ঠভাবে ও একাগ্রচিত্তে দয়াময় প্রভু আল্লাহর ইবাদত করাই হচ্ছে একমাত্র সঠিক পথ। [সুরা ইয়াসিন : ৬১] কাজেই বৃদ্ধিমানের কথা হচ্ছে সুরা ইয়াসিনের ২২নং আয়াতের আলোকে, “আমার কি যুক্তি আছে যে, (আল্লাহ) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে আমি তাঁর ইবাদত করবো না?”

Tags: pdf surah yasin, surah yasin full,সূরা ইয়াসিন, সুরা ইয়াসিন,sura yasin bangla, surah yasin bangla,surah yasin bangla anubad, surah yasin bangla translation,সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ, সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ, surah yasin bangla uccharon,সুরা ইয়াসিন আরবিতে, সূরা ইয়াসিন আরবি,সূরা ইয়াসিন pdf, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf, সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ,সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ ছবি, সূরা ইয়াসিন অর্থসহ,yaseen surah in english translation,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *