বিজয় দিবসের বক্তব্য pdf
আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিজয় দিবসের বক্তব্য pdf বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য দিতে পারবেন এই পোস্ট টি পড়লে। বিজয় দিবসের উপস্থাপনা করতে আপনাকে সহায়তা করবে।
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য | বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন | বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃিতা
আসসালামু আলাইকুম
আজকের এই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপস্থিত আমার সহকর্মী /সহপাঠী এবং শিক্ষকবৃন্দ এবং উপস্থিত সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। আজ স্মরন করছি বঙ্গবন্ধকে এবং তার আহব্বানে যারা স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন ও ত্রিশ লক্ষ শহীদের নেতৃত্ববৃন্দ যাদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা সেই মুক্তিযুদ্ধাদের।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর (ভারতীয় বাহিনী) যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ‘যার হাতে যা আছে, তাই নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা’র আহ্বান জানান তিনি। ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বাঙালির বুকে স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বোনা হয়ে যায় সেই দিনই। সেদিন থেকে আর বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি।
রক্তক্ষয়ী এ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
বিজয় দিবসের উপস্থিত বক্তব্য | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ
স্বাধীনতা চেতনাকে নস্যাৎ করার হীন প্রয়াসে ৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক জল্লাদ ইয়াহিয়ার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী হিংস্র শ্বাপদের মতো তীক্ষ্ন নখদণ্ড বিস্তার করে অতর্কিতে হানা দিয়েছিল সুপ্তিমগ্ন জনপদে তার পর দীর্ঘ নয় মাস ধরে প্রতিটি দিন ও প্রতিটি রাতকে কলঙ্কিত করেছে পাকিস্তানি দখলদার জল্লাদ বাহিনী। নিরস্ত্র নারী-পুরুষের, শিশু-কিশোর-তরুণের, যুবা-বৃদ্ধের রক্তধারায় রঞ্জিত করেছে বাংলার শ্যামল মাটি আর নদীর স্বচ্ছ ধারাকে। শত-সহস্র মা-বোনের ওপর চালিয়েছে পাশবিক নির্যাতন। অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজে তছনছ করেছে জনপদ। জল্লাদ বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডব থেকে প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়েছে কোটি কোটি নিঃসম্বল মানুষ। কিন্তু একাত্তরের সেই দিনগুলোতে কেবল বিপর্যয়কেই নিয়তি বলে মেনে নেয় নি নির্যাতিত বাংলাদেশ। জল্লাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল হাজার হাজার দেশপ্রেমিক। সমগ্র জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম। ছাত্র-শিক্ষক, শিল্পী-সাহিত্যিক, ডাক্তার-প্রকৌশলী, কৃষক-শ্রমিক, নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান- সবাইকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল মুক্তিবাহিনী। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর কবল থেকে স্বদেশকে মুক্ত করার সংগ্রামে ব্রতী হয়েছিল বাঙালি সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল অস্ত্র হাতে উদ্ধত মুক্তিসেনা।
বিজয় সে তো অনেক কষ্টের বিনিময়ের এক অর্জন।
বিজয় দিবসের উপস্থাপনা | বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন
এ বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের সূর্যসন্তানদের সংগ্রাামের কথা, বীরত্বের কথা,রক্তমাখা সেই ইতিহাসের কথা। আমরা দূর্বল নই।দেশের বিরুদ্ধে যদি কোনো অপশক্তি আঘাত হানতে আসে।আমাদের সূর্যসন্তানেরা আবারও দেশের জন্য জীবন বাজী রাখবে।ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর কাছে শহীদদের মাগফেরাত কামনা করি। আমাদের দেশের প্রতিটা সন্তান যেন সালাম,রফিক,জব্বারের মত নির্ভীক হয়। এবং সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। সেই কামনা করি।
আবারও সবাইকে আসসালামু আলাইকুম
আমার জন্য দোয়া করবেন আপনাদের জন্য ও মনের অন্তরস্থল থেকে দোয়া রইলো।
আল্লাহ হাফেজ।
বিজয় দিবসের গুরুত্ব
বিজয় দিবস বাঙালির জাতীয় জীবনের এক আশ্চর্য অনুভূতিময় আনন্দ-বেদনার শিহরিত এক উজ্জ্বল দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসের এ এক লাল তারিখ। মহান স্মৃতি-চিহ্নিত এ দিনটিতে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে মুক্তি সংগ্রামের বিজয়কে, স্বদেশভূমিতে আত্মপ্রতিষ্ঠা ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় জীবনের এক নবতর অধ্যায়। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জন করতে শুরু করে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের মর্যাদাপূর্ণ স্থান হয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে।
Tags: বিজয় দিবসের বক্তব্য pdf, বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য, বিজয় দিবসের উপস্থাপনা, বিজয় দিবসের গুরুত্ব, বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন, বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা, বিজয় দিবসের উপস্থিত বক্তব্য, বিজয় দিবসের বক্তব্য pdf, বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ