প্রথমত সালাম আপনাদের সবাইকে আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমরা সকল ভালো আছি | আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা, নামাজের দশটি সূরা, নামাজের সূরা, বেতের নামাজের সূরা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সূরা, নামাজের সূরা সমূহ, নামাজের ছোট সূরা সমূহ, নামাজের সূরা পড়ার সিরিয়াল, নামাজের সূরা সমূহ pdf, নামাজের ছোট ছোট সূরা, নামাজের সূরা দাও, নফল নামাজের সূরা, নামাজের ছোট সূরা, ফজরের নামাজের সূরা, নামাজের সকল সূরা, তারাবির নামাজের সূরা, বাংলা নামাজের সূরা, নামাজের জন্য ১০ টি সূরা, নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা, নামাজের সূরা ভিডিও, নামাজের সূরা শিক্ষা। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা | বেতের নামাজের সূরা | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সূরা | নামাজের সূরা পড়ার সিরিয়াল | নামাজের সূরা সমূহ pdf | নফল নামাজের সূরা | ফজরের নামাজের সূরা | তারাবির নামাজের সূরা
তাহাজ্জুদ নামাজে বিশেষ কোনো সূরা পড়ার কথা হাদিসে কোথাও বলা হয়নি। যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। নবী করিম ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ যথাসম্ভব লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নিবিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম। কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারও কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য।
বিতরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সূরা নেই। বিতরের নামাজ মূলত ইবাদতের জন্য, নামাজের জন্য। বিতরের নামাজ আদায়ের জন্য নবী [সা.] কোনো নির্দিষ্ট সূরা নির্ধারণ করে যাননি; বরং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে কারিমের মধ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘কোরআন থেকে তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায়, তোমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়, তোমরা ততটুকু তিলাওয়াত করো।’
>> কিন্তু নবী [সা.] বেশিরভাগ সময় সুনির্দিষ্ট কিছু সূরা বিতরের নামাজে তিলাওয়াত করতেন। এই মর্মে নবীর [সা.] হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে। যেহেতু নবী [সা.] এই সূরাগুলো তিলাওয়াত করতেন, সুতরাং কেউ যদি এই সূরাগুলো তিলাওয়াত করেন, তাহলে নবীর সুন্নাহ অনুসরণ করার জন্য তাঁর এই কাজ সুন্নাহ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে এবং ফজিলতের কাজ হবে।
>> যেমন; নবী [সা.] বিতরের নামাজের প্রথম রাকাতে সূরা আলা পড়তেন, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়তেন। সুতরাং এই পদ্ধতি যদি কেউ অনুসরণ করেন, তাহলে করতে পারেন। কোনো কোনো রেওয়াতে এসেছে নবী [সা.] প্রথম রাকাতে সূরা আলা পড়তেন, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা জিলজাল এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়তেন।
সূরা ফাতিহা:-
بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
[1] الحَمدُ لِلَّهِ رَبِّ العٰلَمينَ
[1] আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন
[1] যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
[2] الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ
[2] আর রাহমানির রাহীমি
[2] যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
[3] مٰلِكِ يَومِ الدّينِ
[3] মালিকি ইয়াওমিদ্দীন
[3] যিনি বিচার দিনের মালিক।
[4] إِيّاكَ نَعبُدُ وَإِيّاكَ نَستَعينُ
[4] ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন
[4] আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
[5] اهدِنَا الصِّرٰطَ المُستَقيمَ
[5] ইহ্দিনাস্ সিরাতাল মোস্তাকীম
[5] আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
[6] صِرٰطَ الَّذينَ أَنعَمتَ عَلَيهِم غَيرِ المَغضوبِ عَلَيهِم وَلَا الضّالّينَ
[6] সিরাতাল্লাজীনা আন আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লিন।
[6] সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
সূরা ফীল:-
[1] أَلَم تَرَ كَيفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصحٰبِ الفيلِ
[1] আলাম্ তার কাইফা ফা‘আলা রব্বুকা বিআছ্হা-বিল্ ফীল্।
[1] আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?
[2] أَلَم يَجعَل كَيدَهُم فى تَضليلٍ
[2] আলাম্ ইয়াজ‘আল্ কাইদাহুম্ ফী তাদ্ব্লীলিঁও
[2] তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি?
[3] وَأَرسَلَ عَلَيهِم طَيرًا أَبابيلَ
[3] অ র্আসালা ‘আলাইহিম্ ত্বোয়াইরন্ আবা-বীলা-
[3] তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,
[4] تَرميهِم بِحِجارَةٍ مِن سِجّيلٍ
[4] তারমীহিম্ বিহিজ্বা-রতিম্ মিন্ সিজ্জ্বীলিন্
[4] যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।
[5] فَجَعَلَهُم كَعَصفٍ مَأكولٍ
[5] ফাজ্বা‘আলাহুম্ কা‘আছ্ফিম্ মাকূল্।
[5] অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
সূরা কোরাইশ:-
[1] لِإيلٰفِ قُرَيشٍ
[1] লিঈলা-ফি কুরইশিন্।
[1] কোরাইশের আসক্তির কারণে,
[2] إۦلٰفِهِم رِحلَةَ الشِّتاءِ وَالصَّيفِ
[2] ঈলা-ফিহিম্ রিহ্লাতাশ্ শিতা-য়ি অছ্ছোয়াইফ্।
[2] আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
[3] فَليَعبُدوا رَبَّ هٰذَا البَيتِ
[3] ফাল্ইয়া’বুদূ রব্বাহা-যাল্ বাইতি
[3] অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
[4] الَّذى أَطعَمَهُم مِن جوعٍ وَءامَنَهُم مِن خَوفٍ
[4] ল্লাযী আত্ব‘আমাহুম্ মিন্ জুইঁও ওয়া আ-মানাহুম্ মিন্ খাওফ্।
[4] যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
সূরা মাউন:-
[1] أَرَءَيتَ الَّذى يُكَذِّبُ بِالدّينِ
[1] আরয়াইতাল্লাযী- ইয়ুকায্যিবু বিদ্দীন্।
[1] আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
[2] فَذٰلِكَ الَّذى يَدُعُّ اليَتيمَ
[2] ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু’উ’ল্ ইয়াতীমা
[2] সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
[3] وَلا يَحُضُّ عَلىٰ طَعامِ المِسكينِ
[3] অলা-ইয়াহুদ্ব্দু ‘আলা-তোয়া‘আ- মিল্ মিসকীন্।
[3] এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
[4] فَوَيلٌ لِلمُصَلّينَ
[4] ফাওয়াইলুল্লিল্ মুছোয়াল্লীনা।
[4] অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
[5] الَّذينَ هُم عَن صَلاتِهِم ساهونَ
[5] ল্লাযীনাহুম্ ‘আন্ ছলা-তিহিম্ সা-হূন্।
[5] যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
[6] الَّذينَ هُم يُراءونَ
[6] আল্লাযীনা হুম্ ইয়ুরা-য়ূনা
[6] যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
[7] وَيَمنَعونَ الماعونَ
[7] অইয়াম্ না‘ঊনাল্ মা-‘ঊন্।
[7] এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
সূরা কাওসার:-
[1] إِنّا أَعطَينٰكَ الكَوثَرَ
[1] ইন্না য় আ’ত্বোয়াইনা-কাল্ কাওর্ছার।
[1] নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
[2] فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانحَر
[2] ফাছোয়াল্লি লিরব্বিকা ওয়ার্ন্হা।
[2] অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
[3] إِنَّ شانِئَكَ هُوَ الأَبتَرُ
[3] ইন্না শা য় নিয়াকা হুওয়াল্ আর্ব্তা।
[3] যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
সূরা কাফিরুন:-
[1] قُل يٰأَيُّهَا الكٰفِرونَ
[1] কুল্ ইয়া য় আইয়ুহাল্ কা-ফিরূনা ।
[1] বলুন, হে কাফেরকূল,
[2] لا أَعبُدُ ما تَعبُدونَ
[2] লা য় আ’বুদু মা তা’বুদূনা।
[2] আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
[3] وَلا أَنتُم عٰبِدونَ ما أَعبُدُ
[3] অলা য় আন্তুম্ ‘আ-বিদূনা মা য় আ’বুদ্।
[3] এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
[4] وَلا أَنا۠ عابِدٌ ما عَبَدتُم
[4] অলা য় আনা ‘আ-বিদুম্ মা-‘আবাততুম্।
[4] এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
[5] وَلا أَنتُم عٰبِدونَ ما أَعبُدُ
[5] অলা য় আন্তুম্ ‘আ-বিদূনা মা য় আ’বুদ্।
[5] তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
[6] لَكُم دينُكُم وَلِىَ دينِ
[6] লাকুম্ দীনুকুম্ অলিয়াদীন্।
[6] তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
সূরা নছর:-
[1] إِذا جاءَ نَصرُ اللَّهِ وَالفَتحُ
[1] ইযা-জ্বা-য়া নাছ্রুল্লা-হি অল্ফাত্হু
[1] যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
[2] وَرَأَيتَ النّاسَ يَدخُلونَ فى دينِ اللَّهِ أَفواجًا
[2] অরয়াইতান্না-সা ইয়াদ্খুলূনা ফী দীনিল্ লা-হি আফ্ওয়া-জ্বা-।
[2] এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
[3] فَسَبِّح بِحَمدِ رَبِّكَ وَاستَغفِرهُ ۚ إِنَّهُ كانَ تَوّابًا
[3] ফাসাব্বিহ্ বিহাম্দি রব্বিকা অস্তার্গ্ফিহু; ইন্নাহূ কা-না তাওয়্যা-বা-।
[3] তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
সূরা লাহাব:-
[1] تَبَّت يَدا أَبى لَهَبٍ وَتَبَّ
[1] তাব্বাত্ ইয়াদা য় আবী লাহাবিঁও অতাব্।
[1] আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
[2] ما أَغنىٰ عَنهُ مالُهُ وَما كَسَبَ
[2] মা য় আগ্না-‘আন্হু মা-লুহূ অমা-কাসাব্
[2] কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
[3] سَيَصلىٰ نارًا ذاتَ لَهَبٍ
[3] সাইয়াছ্লা- না-রন্ যা-তা লাহাবিঁও।
[3] সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
[4] وَامرَأَتُهُ حَمّالَةَ الحَطَبِ
[4] অম্রয়াতুহ্; হাম্মা-লাতাল্ হাত্বোয়াব্।
[4] এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
[5] فى جيدِها حَبلٌ مِن مَسَدٍ
[5] ফী জ্বীদিহা-হাব্লুম্ মিম্ মাসাদ্।
[5] তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।
সূরা এখলাছ:–
[1] قُل هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
[1] কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্।
[1] বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
[2] اللَّهُ الصَّمَدُ
[2] আল্লা-হুচ্ছমাদ্।
[2] আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
[3] لَم يَلِد وَلَم يولَد
[3] লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্।
[3] তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।
[4] وَلَم يَكُن لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
[4] অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্।
[4] এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
সূরা ফালাক:–
[1] قُل أَعوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ
[1] কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্বি।
[1] বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
[2] مِن شَرِّ ما خَلَقَ
[2] মিন্ শাররি মা-খলাক্ব।
[2] তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
[3] وَمِن شَرِّ غاسِقٍ إِذا وَقَبَ
[3] অমিন্ শাররি গ-সিক্বিন্ ইযা-অক্বাব্।
[3] অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
[4] وَمِن شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى العُقَدِ
[4] অমিন্ শাররি ন্নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ ‘উক্বদ্।
[4] গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে।
[5] وَمِن شَرِّ حاسِدٍ إِذا حَسَدَ
[5] অমিন্ শাররি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ্।
[5] এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
সূরা নাস:–
[1] قُل أَعوذُ بِرَبِّ النّاسِ
[1] কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিন্না-স্।
[1] বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
[2] مَلِكِ النّاسِ
[2] মালিকিন্না-স্ ।
[2] মানুষের অধিপতির,
[3] إِلٰهِ النّاسِ
[3] ইলা-হি ন্না-স্
[3] মানুষের মা’বুদের
[4] مِن شَرِّ الوَسواسِ الخَنّاسِ
[4] মিন্ শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি
[4] তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
[5] الَّذى يُوَسوِسُ فى صُدورِ النّاسِ
[5] আল্লাযী ইউওয়াস্ওয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্।
[5] যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
[6] مِنَ الجِنَّةِ وَالنّاسِ
[6] মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্।
[6] জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
> সূরা ফাতিহা
> সূরা ফীল
> সূরা কোরাইশ
> সূরা মাউন
> সূরা কাওসার
> সূরা কাফিরুন
> সূরা নাসর
> সূরা লাহাব
> সূরা ইখলাছ
> সূরা ফালাক
> সূরা নাস
>> নামাজের ‘প্রথম’ রাকআতে যে সূরা পড়বে, পরের রাকাতে তার পরবর্তী সূরা পড়বে। কিন্তু ‘প্রথম’ রাকআতে এক সূরা পড়ে, পরের রাকআতে উক্ত সূরা আগের কোন সূরা পড়া মাকরূহ। তাই ‘প্রথম’ সূরা শুরু করবে, যেন উক্ত সূরার পর পরের রাকআতে পড়ার মত কোন সূরা থাকে।
>> যেমন ‘প্রথম’ রাকআতে সূরা সূরা ফীল পড়া আর দ্বিতীয় রাকআতে সূরা হুমাজাহ পড়া মাকরূহ। কারণ এতে কুরআনের তারতীব পাল্টে দেয়া হচ্ছে। তবে যদি ভুলে এমনটি করে তাহলে সমস্যা নেই। কখনো ভুলে যদি সূরা নাস পড়ে ফেলে। তাহলে পরবর্তী সকল রাকআতে সূরা নাসই পড়বে। পূর্বের অন্য কোন সূরা পড়বে না। ভুলে অন্য কোন সূরা পড়লে কোন সমস্যা নেই।ʼ
উক্ত লিংকটিতে ক্লিক করে পড়তে বা ডাউনলোড করতে পারবেন।
নফল নামাজ যেকোনো সূরা বা আয়াত দিয়ে পড়া যায়। নফল নামাজে সূরার তারতিব বা ধারাক্রম জরুরি নয়। নফল নামাজের সূরা কিরাআত নীরবে পড়তে হয়; “তবে রাতের নফল নামাজ ইচ্ছা করলে সরবেও পড়া যায়ʼʼ। বিভিন্ন কিতাবে বিভিন্ন নফল নামাজের বিভিন্ন সূরা কিরাআত ও বিশেষ বিশেষ নিয়ম বর্ণিত আছে। সম্ভব হলে তা অনুসরণ করা উত্তম; “তবে জরুরি নয়ʼʼ। নফল নামাজে যত ইচ্ছা তত দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করা যায়। এতে রাকাত দীর্ঘ করার জন্য এবং তিলাওয়াতের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য একই রাকাতে বিভিন্ন সূরা ও বিভিন্ন আয়াত পড়া যায় এবং একই রাকাতে একই সূরা বারবার পড়া যায়। নফল নামাজে কিরাআতে তিলাওয়াতের “তারতিবʼʼ বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি নয়। নফল নামাজে রুকু, সিজদাসহ প্রতিটি রুকন বা পর্ব দীর্ঘায়িত করা সুন্নত ও মোস্তাহাব। এ জন্য রুকু ও “সিজদায়ʼʼ তাসবিহ অনেকবার পড়া যায় এবং অন্যান্য পর্বে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন দোয়া “যা কোরআন-হাদিসে আছেʼʼ পাঠ করা যায়। [কানজ]
ফজরের নামাজে যেকোন সূরা দিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে। কিন্তু আপনাকে সিরিয়াল অনুযায়ী নামাজ পড়তে হবে। যেমন ‘প্রথম’ রাকআতে সূরা লাহাব পড়লে ‘দ্বিতীয়’ রাকআতে সূরা ইখলাস। এভাবে পড়তে হবে।কারণ সূরা মেলানো ওয়াজিব। আর ওয়াজিব তরক করলে সাহু সিজদা না দিলে নামাজ হয় না। তাই সূরা মিলিয়ে নামাজ পড়বেন।
তারাবি নামাজের বিশেষ কোনো সুরা পড়ার কথা হাদীসে কোথাও বলা হয়নি। যে কোন সূরা দিয়ে আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে তারাবি নামাজ যেহেতু লম্বা একটি নামাজ এবং অনেক সময় ধরে আদায় করতে হয়। তাই কারো যদি সমস্যা থাকে তাহলে ছোট ছোট সূরা দিয়ে নামায আদায় করতে পারেন। বিশেষ করে কুরআনের 30 নম্বর পারা বা শেষ পারর সূরা সমূহ গুলো দিয়ে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেন।
Tag: তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা, নামাজের দশটি সূরা, নামাজের সূরা, বেতের নামাজের সূরা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সূরা, নামাজের সূরা সমূহ, নামাজের ছোট সূরা সমূহ, নামাজের সূরা পড়ার সিরিয়াল, নামাজের সূরা সমূহ pdf, নামাজের ছোট ছোট সূরা, নামাজের সূরা দাও, নফল নামাজের সূরা, নামাজের ছোট সূরা, ফজরের নামাজের সূরা, নামাজের সকল সূরা, তারাবির নামাজের সূরা, বাংলা নামাজের সূরা, নামাজের জন্য ১০ টি সূরা, নামাজের প্রয়োজনীয় সূরা, নামাজের সূরা ভিডিও, নামাজের সূরা শিক্ষা