তারাবির নামাজের মোনাজাত
প্রথমত আপনাদের সবাইকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আপনারা কেমন আছেন আশা করছি ভাল আছেন আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমরা সকল ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত সমূহ আমরা এই সাইটে নিয়ে এসেছি | আপনারা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমরাও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম তারাবির নামাজের মোনাজাত, তারাবির মোনাজাত, তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত, তারাবির নামাজের দোয়া মোনাজাত, বাংলা মোনাজাত করার নিয়ম, তারাবির দোয়া ও মোনাজাত, তারাবির নামাজের মোনাজাত আরবি।আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।
তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত|তারাবির দোয়া ও মোনাজাত
হিজরি মাসগুলোর মাঝে রমজান সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ন মাস কারন এই মাসে পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল করা হয়। আর রমজান মাসের ফজিলত অনেক, এই মাসে বান্দার সকল ইবাদত আল্লাহ রব্বুল আলামিন 70 থেকে 700 গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে থাকেন। তাই আমরা এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে থাকি।
“এই মাসে মহান আল্লাহ আমাদের জন্য সিয়াম “অর্থাৎʼʼ রোজা নির্ধারন করে দিয়েছেন। ইবাদত সমূহের মধ্যে রোজার গুরুত্ব অনেক। এই মাসে “মুসলিমরাʼʼ দিনের বেলা রোজা রাখে আর রাতের বেলা তারাবির নামাজ পড়ে। “এখন কথা হলো আমরা অনেকেই তারাবির নামাজ পড়ি কিন্তু এই নামাজের দোয়া ও মোনাজাত জানিনা।”
তাই নিচে তারাবির নামাজের দোয়া এবং মোনাজাত আরবি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেওয়া হলো:-
তারাবির নামাজের দোয়া —
তারাবির নামাজের পর নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে গোনাহমুক্ত জীবন লাভে তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।
“তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে, যা তারাবির নামাজের পর পড়া হয়। আর এ দোয়াটি ব্যাপকভাবে পড়ার কারণে অনেক মানুষই তা মুখস্ত জানে। চাইলে এ দোয়াটিও প্রতি ৪ রাকাআত পর পর পড়া যেতে পারে“। আর তাহলো —
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
বাংলা উচ্চারণ: “সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।ʼʼ
বাংলা অর্থ : আল্লাহ পবিত্রময় সাম্রাজ্য ও মহত্ত্বের মালিক। তিনি পবিত্রময় সম্মান মহত্ত্ব ও প্রতিপত্তিশালী সত্তা। ক্ষমতাবান, গৌরবময় ও প্রতাপশালী তিনি পবিত্রময় ও রাজাধিরাজ যিনি চিরঞ্জীব, কখনো ঘুমায় না এবং চির মৃত্যুহীন সত্তা। তিনি পবিত্রময় ও বরকতময় আমাদের প্রতিপালক, ফেরেশতাকুল এবং জিবরাইল (আ.) এর প্রতিপালক।
তারাবির নামাজের মুনাজাত —
আবার তারাবির নামাজ শেষে সবাই সমবেতভাবে মুনাজাত করে। অনেক মসজিদে প্রতি ৪ রাকাআত পর পর মুনাজাত করা হয়। আবার অনেকে একাকি মুনাজাত করে। এ মুনাজাত সমবেত হোক আর একাকি হোক যে কোনো দোয়া দিয়ে তা করা যেতে পারে। মনের একান্ত কথাগুলো যেভাবে ইচ্ছা আল্লাহর কাছে তুলে ধরায় কোনো অসুবিধা নেই। তবে তারাবিহ নামাজের দোয়ার মতো মুনাজাতেরও একটি ব্যাপক প্রচলিত মুনাজাতের দোয়া রয়েছে। আর তাহলো —
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
বাংলা অর্থ: পবিত্রতা ঘোষণা করছি তাঁর, যিনি ইহজগৎ ও ফেরেশতা ও জগতের প্রভু, সেই আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করছি যিনি মহিমাময় বিরাট, ভীতিপূর্ণ, শক্তিময়, গৌরবময় এবং বৃহত্তর। আমি সেই প্রতিপালকের গুণগান করছি, যিনি চিরঞ্জীব, যিনি কখনও নিদ্রা যান না এবং যার কখনও মৃত্যু ঘটে না। পুতঃপবিত্র তিনি। তিনি আমাদের পালনকর্তা, ফেরেশতাকুল এবং আত্মাসমূহের পালনকর্তা। আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমরা আপনার কাছে বেহেশত চাচ্ছি এবং দোযখ থেকে মুক্তি চাচ্ছি।
আমরা রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে চলবো। এবং প্রতিটি রোজা ও তারাবির নামাজ পড়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসুন আমরা এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করি এবং আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি দান করি।
বাংলা মোনাজাত করার নিয়ম
মোনাজাত করার নিয়ম —
1) যেকোন সময় মুনাজাত করা যায়, দিনে রাতে, দাঁড়ানো, শুয়ে-বসে, ওযু ছাড়া বা ওযু করে এমনকি গোসল ফরয এমন অবস্থায় বা নারীদের ঋতু অবস্থাতেও দুয়া করতে পারবেন। তবে ফরয নামাযের পরপরই মুনাজাত করবেন না। আগে কিছু সুন্নতী যিকির করে এর পরে ইচ্ছা হলে একাকী মুনাজাত করতে পারেন। অথবা ফরয, সুন্নত সব নামায শেষ করে এর পরে মুনাজাত করবেন। উল্লেখ্য, অনেক মনে করেনঃ নামাযের পরে মুনাজাত করতেই হবে। এটা ঠিকনা, নামাযের পরে আপনার
ইচ্ছা হলে মুনাজাত করবেন, না হলে করবেন না – আপনার ইচ্ছা। মুনাজাত করা নামাযের অংশ না। সালাম ফেরানোর মাধ্যমেই নামায শেষ হয়ে যায়।
2) ওযু অবস্থায় পশ্চিম দিকে ফিরে দুয়া করা মুস্তাহাব বা উত্তম। তবে এটা জরুরী নয়, ওযু ছাড়া অন্য দিকে ফিরেও মুনাজাত করা যাবে।
3) মুনাজাতে দুই হাত তোলা মোস্তাহাব, আল্লাহ এটা পছন্দ করে যে মানুষ ভিক্ষুকের মতো তাঁর দরবারে বিনীতভাবে হাত তুলে দুয়া করবে। এইভাবে দুয়া করলে সেটা আল্লাহ কবুল করে নেন সালমান আল – ফারসী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দানশীল।। তাঁর বান্দা যখন তাঁর নিকট দুই হাত তুলে প্রার্থনা করে, তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।(মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, বুলুগুল মারা’মঃ ১৫৮১)
4) মুনাজাত করতে হবে বিনীত ভাবে, নিচু স্বরে, মন দৃঢ় আশা নিয়ে যে আল্লাহ সব কিছু করতে পারেন আর তিনি অবশ্যই আমার দুয়া কবুল করবেন। আমি এতো পাপী আল্লাহ কবুল করেন কিনা এইরকম সন্দেহ থাকলে বা আল্লাহ কবুল করবেন না, আমাকে ক্ষমা করবেন না – আল্লাহ সম্পর্কে এমন খারাপ ধারণা নিয়ে দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করেন না। বান্দা যতই পাপী হোক সে আন্তরিক তোওবা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের আশা রেখেই দুয়া করবে, বিপদ যত বড়ই হোক আল্লাহ সব ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন এই আশা নিয়েই দুয়া করতে হবে। আর যে দুয়া করা হচ্ছে সেইদিকে মনোযোগ রেখে বুঝে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। উদাসীন হয়ে অন্তর থেকে না চেয়ে শুধু মুখে উচ্চারণ করে গেলে বা আন্তরিক দুয়া নাকরে দেখানো দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করেন না। কান্নাকাটি করে বিনীতভাবে দুয়া করলে আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।
5) মুনাজাতের প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু করতে হবে।
এই বলে আল্লাহর প্রশংসা করা যেতে পারে,
التحيات لله، والصلوات، والطيبات
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু।
অর্থঃ সমস্ত অভিবাদন, সকল সালাত ও পবিত্র কাজ একমাত্র আল্লাহর জন্য।
অথবা, এটা বলেও আল্লাহর প্রশংসা করা যাবে,
الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه
উচ্চারণঃ আলহা’মদুলিল্লাহি হা’মদান কাসীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যে প্রশংসা পবিত্রতা ও বরকতপূর্ণ।
অথবা এটা বলে আল্লাহর প্রশংসা করা যাবে,
الحمد لله رب العالمين
উচ্চারণঃ আলহা’মদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
>> এইভাবে এক বা একাধিক আল্লাহর জন্য প্রশংসামূলক যেকোনো বাক্য বলে দুয়া শুরু করা উত্তম।
6) আল্লাহর প্রশংসার পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দুরুদ পড়তে হবে। ছোট বড় যেকোন দুরুদ পড়া যাবে, আপনার যেটা ভালো লাগে। সর্বোত্তম দুরুদ হচ্ছে দুরুদে ইব্রাহীম, যেটা আমরা নামাযে পড়ি। এটা না পড়ে ছোট অন্য দুরুদও
পড়া যাবে। যেমন —
اللهم صل وسلم على نبينا محمد
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ এর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।
(সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১/২৭৩)
“একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি দুআ করছে কিন্তু সে দুআতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলের প্রতি দরূদ পাঠ করেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন, সে তাড়াহুড়ো করেছে। অতঃপর সে আবার প্রার্থনা করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অথবা অন্যকে বললেন, যখন তোমাদের কেউ দুআ করে তখন সে যেন প্রথমে আল্লাহ তাআ’লার প্রশংসা ও তার গুণগান দিয়ে দুআ শুরু করে। অতঃপর রাসুলের প্রতি দুরুদ পাঠ করে। এরপর তার যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।”
(আবু দাউদঃ ১৪৮১, তিরমিজীঃ ৩৪৭৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ)
7) এর পরে নিজের পছন্দমতো নিজের জন্য বা অন্যের জন্য, দুনিয়া বা আখেরাতের যেকোন কল্যানের জন্য দুয়া করতে হবে। সবচাইতে কম কথায় সবচাইতে বেশি প্রার্থনা করার এই দুয়াটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব বেশি বেশি করতেন।
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিকাংশ দো‘আ হতঃ
اللهم آتنا في الدنيا حسنة، وفي الآخرة حسنة، وقنا عذاب النار
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ- তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও-ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাও ওয়া-ক্বিনা আযাবান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ দাও এবং পরকালে জীবনেও কল্যাণ দান করো। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।
বিঃদ্রঃ আল্লাহুম্মা আতিনা – অথবা রাব্বানা আতিনা – এই দুইভাবেই পড়া যায়।
সহীহ মুসলিমের অন্য হাদীসে আছে, “আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন একটি দো‘আ করার ইচ্ছা করতেন, তখন ঐ দো‘আ করতেন। আবার যখন (বিভিন্ন) দো‘আ করার ইচ্ছা করতেন, তখন তার মাঝেও ঐ দো‘আ করতেন”।
(সহীহুল বুখারী ৪৫২২, মুসলিম ২৬৮৮, তিরমিযী ৩৪৮৩, আবূ দাউদ ১৫১৯, আহমাদ ১১৫৭০)
এছাড়া জীবিত বা মৃত পিতা মাতার জন্য এই দুয়া বেশি করতে হবেঃ
رب ارحمهما كما ربياني صغيرا
উচ্চারণঃ রাব্বির হা’ম- হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার পিতা-মাতার প্রতি তেমনি দয়া করো যেইরকম দয়া তারা আমাকে শিশু অবস্থায় করেছিল।
8) দুয়া করে আমিন অথবা আমিন ইয়া রাব্বাল আ’লামীন বলবেন। দুয়া শেষ মুখে হাত মোছা বা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা, এইগুলো সহীহ হাদীসে নাই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কাজগুলো করতেন এটা বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমানিত হয়নি। তাই এইগুলো করবেন না। আমিন বলে মুখে হাত না মুছে হাত সরাসরি নামিয়ে ফেলবেন
>> সর্বশেষ, পুনরায় নবী সাঃ এর প্রতি দুরুদ পড়ে ও আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে দুয়া শেষ করা ভালো।
তারাবির নামাজের মোনাজাত আরবি
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
Tag: তারাবির নামাজের মোনাজাত, তারাবির মোনাজাত, তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত, তারাবির নামাজের দোয়া মোনাজাত, বাংলা মোনাজাত করার নিয়ম, তারাবির দোয়া ও মোনাজাত, তারাবির নামাজের মোনাজাত আরবি