সূরা আল নিসা বাংলা অনুবাদ
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয়, ভাই ও বোনেরা আজ আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম সূরা আল নিসা বাংলা অনুবাদ, সূরা নিসা বাংলা উচ্চারণ, সূরা আন নিসা বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা নিসা আয়াত ১৫০, সূরা নিসা, সূরা আন নিসা, সূরা নিসা বাংলা অনুবাদ, সুরা নিসা তাফসির।আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন।
সূরা নিসা বাংলা উচ্চারণ | সূরা নিসা | সূরা আন নিসা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
4:1 يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১) ইয়া য় আইয়্যুহান না-সুত্তাক্ব রব্বাকুমুল্লাযী খালাক্বাকুম্ মিন্ নাফ্সিওঁ অ-হিদাতিওঁ অখালাক্বা মিন্হা-যাওজ্বাহা-অবাছ্ছা মিন্হুমা- রিজ্বা-লান্ কাছীরাওঁ অনিসা-আন্ অত্তাকুল্লা-হাল্লাযী তাসা-আলূনা বিহী অল্ র্আহা-ম্; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলাইকুম্ রাক্বীবা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১) হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফ্স থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আর ভয় কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।
4:2 وَآتُوا الْيَتَامَى أَمْوَالَهُمْ وَلَا تَتَبَدَّلُوا الْخَبِيثَ بِالطَّيِّبِ وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَهُمْ إِلَى أَمْوَالِكُمْ إِنَّهُ كَانَ حُوبًا كَبِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২) ওয়াআ-তুল্ ইয়াতা-মা য় আম্ওয়া-লাহুম্ অলা-তাতাবাদ্দালুল্ খাবীছা বিত্ত্বোয়াইয়্যিবি অলা-তাকুলূ য় আম্ওয়া-লাহুম্ ইলা য় আম্ওয়া-লিকুম্; ইন্নাহূ কা-না হূবান্ কাবীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২) আর তোমরা ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ দিয়ে দাও এবং তোমরা অপবিত্র বস্তুকে পবিত্র বস্তু দ্বারা পরিবর্তন করো না এবং তাদের ধন-সম্পদকে তোমাদের ধন-সম্পদের সাথে খেয়ো না। নিশ্চয় তা বড় পাপ।
4:3 وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلَّا تَعُولُوا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩) অইন্ খিফ্তুম্ আল্লাতুক্ব সিতু ফিল্ ইয়াতা-মা- ফান্কিহূ মা-ত্বোয়া-বা লাকুম্ মিনান্নিসা – য়ি মাছ্না- অছুলা-ছা অরুবা-‘আ ফাইন্ খিফ্তুম্ আল্লা- তা’দিলূ ফাওয়া-হিদাতান্ আও মা-মালাকাত্ আইমা-নুকুম্; যা-লিকা আদ্না য় আল্লা- তা‘ঊলূ।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩) আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি অথবা তোমাদের হাত যার মালিক হয়েছে। এটা অধিকতর নিকটবর্তী যে, তোমরা যুলম করবে না।
4:4 وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَرِيئًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪) অআ-তুন্ নিসা – য়া ছোয়াদুক্বা-তিহিন্না নিহ্লাহ্; ফাইন্ ত্বিব্নালাকুম্ ‘আন্ শাইয়িম্ মিন্হু নাফ্সান্ ফাকুলূহু হানী – য়াম্ মারী – য়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪) আর তোমরা নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে তাদের মোহর দিয়ে দাও, অতঃপর যদি তারা তোমাদের জন্য তা থেকে খুশি হয়ে কিছু ছাড় দেয়, তাহলে তোমরা তা সানন্দে তৃপ্তিসহকারে খাও।
4:5 وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَاءَ أَمْوَالَكُمُ الَّتِي جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ قِيَامًا وَارْزُقُوهُمْ فِيهَا وَاكْسُوهُمْ وَقُولُوا لَهُمْ قَوْلًا مَعْرُوفًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫) অলা-তুতুস্ সুফাহা – য়া আম্ওয়া-লাকুমুল্ লাতী জ্বা‘আলাল্লা-হু লাকুম্ ক্বিয়া-মাওঁ র্অযুক্ব ূহুম্ ফীহা-অক্সূূহুম্ অক্ব ূলূ লাহুম্ ক্বাওলাম্ মা’রূফা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫) আর তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের ধন-সম্পদ দিও না, যাকে আল্লাহ তোমাদের জন্য করেছেন জীবিকার মাধ্যম এবং তোমরা তা থেকে তাদেরকে আহার দাও, তাদেরকে পরিধান করাও এবং তাদের সাথে উত্তম কথা বল।
4:6 وَابْتَلُوا الْيَتَامَى حَتَّى إِذَا بَلَغُوا النِّكَاحَ فَإِنْ آنَسْتُمْ مِنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُوا إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَلَا تَأْكُلُوهَا إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَنْ يَكْبَرُوا وَمَنْ كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ وَمَنْ كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَأَشْهِدُوا عَلَيْهِمْ وَكَفَى بِاللَّهِ حَسِيبًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬) অব্তালুল্ ইয়াতা-মা-হাত্তা য় ইযা-বালাগুন্নিকা-হা ফাইন্ আ-নাস্তুম্ মিন্হুম্ রুশ্দান্ ফাদ্ফা‘ঊ য় ইলাইহিম্ আম্ওয়া-লাহুম্ অলা-তাকুলূহা য় ইস্রা-ফাওঁ অবিদা-রান্ আইঁ ইয়াক্বারূ; অমান্ কা-না গানিয়্যান্ ফাল্ ইয়াস্তা’ফিফ্ অমান্ কা-না ফাক্বীরান্ ফাল্ইয়াকুল্ বিল্ মা’রূফি ফাইযা- দাফা’তুম্ ইলাইহিম্ আম্ওয়া-লাহুম্ ফাশ্হিদূ ‘আলাইহিম্ ; অকাফা- বিল্লা-হি হাসীবা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬) আর তোমরা ইয়াতীমদেরকে পরীক্ষা কর যতক্ষণ না তারা বিবাহের বয়সে পৌঁছে। সুতরাং যদি তোমরা তাদের মধ্যে বিবেকের পরিপক্কতা দেখতে পাও, তবে তাদের ধন-সম্পদ তাদেরকে দিয়ে দাও। আর তোমরা তাদের সম্পদ খেয়ো না অপচয় করে এবং তারা বড় হওয়ার আগে তাড়াহুড়া করে। আর যে ধনী সে যেন সংযত থাকে, আর যে দরিদ্র সে যেন ন্যায়সঙ্গতভাবে খায়। অতঃপর যখন তোমরা তাদের ধন-সম্পদ তাদের নিকট সোপর্দ করবে তখন তাদের উপর তোমরা সাক্ষী রাখবে। আর হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট।
4:7 لِلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَ نَصِيبًا مَفْرُوضًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭) র্লিরিজ্বা-লি নাছীবুম্ মিম্মা-তারাকাল্ ওয়া-লিদা-নি অল্আক্ব ্রাবূনা অলিন্নিসা – য়ি নাছীবুম্ মিম্মা- তারাকাল্ ওয়া-লিদা-নি অল্ আক্ব ্রাবূনা মিম্মা ক্বাল্লা মিন্হু আও কার্ছু; নাছীবাম্ মাফ্রূদ্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭) পুরুষদের জন্য মাতা পিতা ও নিকটাত্মীয়রা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে একটি অংশ রয়েছে। আর নারীদের জন্য রয়েছে মাতা পিতা ও নিকটাত্মীয়রা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে একটি অংশ- তা থেকে কম হোক বা বেশি হোক- নির্ধারিত হারে।
4:8 وَإِذَا حَضَرَ الْقِسْمَةَ أُولُو الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينُ فَارْزُقُوهُمْ مِنْهُ وَقُولُوا لَهُمْ قَوْلًا مَعْرُوفًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮) অইযা- হাদ্বোয়ারাল্ ক্বিস্মাতা ঊলুল্ ক্বর্ ুবা- অল্ ইয়াতা-মা-অল্ মাসা-কীনু র্ফাযুক্ব ূহুম্ মিন্হু অক্ব ূলূ লাহুম্ ক্বাওলাম্ মা’রূফা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮) আর যদি বণ্টনে নিকটাত্মীয় এবং ইয়াতীম ও মিসকীনরা উপস্থিত হয়, তাহলে তোমরা তাদেরকে তা থেকে আহার দেবে এবং তাদের সাথে তোমরা উত্তম কথা বলবে।
4:9 وَلْيَخْشَ الَّذِينَ لَوْ تَرَكُوا مِنْ خَلْفِهِمْ ذُرِّيَّةً ضِعَافًا خَافُوا عَلَيْهِمْ فَلْيَتَّقُوا اللَّهَ وَلْيَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯) অল্ ইয়াখ্শাল্ লাযীনা লাও তারাকূ মিন্ খাল্ফিহিম্ র্যুরিয়্যাতান্ দ্বি‘আ-ফান্ খা-ফূ ‘আলাইহিম্ ফাল্ ইয়াত্তাক্ব ুল্লা-হা অল্ইয়াক্ব ূলূ ক্বাওলান্ সাদীদা।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯) আর তাদের ভয় করা উচিৎ যে, যদি তারা তাদের পেছনে অসহায় সন্তান রেখে যেত, তাহলে তারা তাদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হত। সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং যেন সঠিক কথা বলে।
4:10 إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০) ইন্নাল্লাযীনা ইয়াকুলূনা আম্ওয়া-লাল্ ইয়াতা-মা-জুল্মান্ ইন্নামা- ইয়াকুলূনা ফী বুত্ব ূনিহিম্ না-রা-; অসাইয়াছ্লাওনা সা‘ঈরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০) নিশ্চয় যারা ইয়াতীমদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে তারা তো তাদের পেটে আগুন খাচ্ছে; আর অচিরেই তারা প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশ করবে।
4:11 يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِنْ كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِنْ كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১) ইয়ূছীকুমুল্লা-হু ফী য় আওলা-দিকুম্ লিয্যাকারি মিছ্লু হাজ্জিল্ উন্ছাইয়াইনি, ফাইন্ কুন্না নিসা-য়ান্ ফাওক্বাছ্ নাতাইনি ফালাহুন্না ছুলুছা- মা-তারাকা, অইন্ কা-নাত্ ওয়া-হিদাতান্ ফালাহান নিছ্ফু অলিআবাওয়াইহি লিকুল্লি ওয়া-হিদিম্ মিন্হুমাস্ সুদুসু মিম্মা-তারাকা ইন্ কা-না লাহূ অলাদুন্ ফাইল্লাম্ ইয়াকুল্লাহূ অলাদুওঁ অআরিছাহূ য় আবাওয়া-হু ফালিউম্মিহিছ্ ছুলুছু ফাইন্ কা-না লাহূ য় ইখ্ওয়াতুন্ ফালিউম্মিহিস্ সুদুসু ম্মি বা’দি অছিয়্যাতিইঁ ইয়ূছীবিহা য় আওদাইন্; আ-বা – উকুম্ অআবনা – য়ুকুম্, লা- তাদ্রূনা আইয়্যূহুম আক্ব ্রাবু লাকুম্ নাফ্‘আ-’ ফারীদ্বোয়াতাম্ মিনাল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১) আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সমপরিমাণ। তবে যদি তারা দুইয়ের অধিক মেয়ে হয়, তাহলে তাদের জন্য হবে, যা সে রেখে গেছে তার তিন ভাগের দুই ভাগ; আর যদি একজন মেয়ে হয় তখন তার জন্য অর্ধেক। আর তার মাতা পিতা উভয়ের প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ সে যা রেখে গেছে তা থেকে, যদি তার সন্তান থাকে। আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং তার ওয়ারিছ হয় তার মাতা পিতা তখন তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ। আর যদি তার ভাই-বোন থাকে তবে তার মায়ের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ। অসিয়ত পালনের পর, যা দ্বারা সে অসিয়ত করেছে অথবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের মাতা পিতা ও তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্য থেকে তোমাদের উপকারে কে অধিক নিকটবর্তী তা তোমরা জান না। আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
4:12 وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُنَّ وَلَدٌ فَإِنْ كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكُمْ وَلَدٌ فَإِنْ كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُمْ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২) অলাকুম নিছ্ফু মা-তারাকা আয্ওয়া-জ্ব ুকুম্ ইল্লাম্ ইয়াকুল্লাহুন্না অলাদুন্ ফাইন্ কা-না লাহুন্না অলাদুন্ ফালাকুর্মু রুবু‘উ মিম্মা- তারাক্না মিম্ বা’দি অছিয়্যাতিইঁ ইয়ূছীনা বিহা য় আও দাইন্; অলাহুর্ন্না রুবু‘উ মিম্মা- তারাক্তুম্ ইল্লাম্ ইয়াকুল্লাকুম্ অলাদুন্ ফাইন্ কা-না লাকুম্ অলাদুন্ ফালাহুন্নাছ্ ছুমুনু মিম্মা- তারাক্তুম্ মিম্ বা’দি অছিয়্যাতিন্ তূছূনা বিহা য় আও দাইন; অইন্ কা-না রাজ্ব ুলুইঁ ইয়ূরাছু কালা-লাতান্ আওয়িম্রায়াতুওঁ অলাহূ য় আখুন্ আও উখ্তুন্ ফালিকুল্লি ওয়া-হিদিম্ মিন্হুমাস্ সুদুসু, ফাইন্ কা-নূ য় আক্ছারা মিন্ যা-লিকা ফাহুম্ শুরাকা – উ ফিছ্ ছুলুছি মিম্ বা’দি অছিয়্যাতিইঁ ইয়ূছোয়া-বিহা য় আও দাইনিন্ গাইরা মুদ্বোয়া -র্ রিন্ অছিয়্যাতাম্ মিনাল্লা-হ্; অল্লা-হু ‘আলীমুন্ হালীম্।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২) আর তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীগণ যা রেখে গেছে তার অর্ধেক, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তারা যা রেখে গেছে তা থেকে তোমাদের জন্য চার ভাগের এক ভাগ। তারা যে অসিয়ত করে গেছে তা পালনের পর অথবা ঋণ পরিশোধের পর। আর স্ত্রীদের জন্য তোমরা যা রেখে গিয়েছ তা থেকে চার ভাগের একভাগ, যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে তাহলে তাদের জন্য আট ভাগের এক ভাগ, তোমরা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে। তোমরা যে অসিয়ত করেছ তা পালন অথবা ঋণ পরিশোধের পর। আর যদি মা বাবা এবং সন্তান-সন্ততি নাই এমন কোন পুরুষ বা মহিলা মারা যায় এবং তার থাকে এক ভাই অথবা এক বোন, তখন তাদের প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের একভাগ। আর যদি তারা এর থেকে অধিক হয় তবে তারা সবাই তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে সমঅংশীদার হবে, যে অসিয়ত করা হয়েছে তা পালনের পর অথবা ঋণ পরিশোধের পর। কারো কোন ক্ষতি না করে। আল্লাহর পক্ষ থেকে অসিয়তস্বরূপ। আর আল্ল¬াহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
4:13 تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩) তিল্কা হুদূদুল্লা-হ্; অমাইঁ ইয়ুত্বি‘ইল্লা-হা অ রাসূলাহূ ইয়ুদ্খিল্হু জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খা-লিদীনা ফীহা-; অযা-লিকাল্ ফাওযুল্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩) এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতসমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটা মহা সফলতা ।
4:14 وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪) অমাইঁ ইয়া’ছিল্লা-হা অরাসূলাহূ অইয়াতা‘আদ্দা হুদূদাহূ ইয়ুদ্খিল্হু না-রান্ খা-লিদান্ ফীহা-অলাহূ ‘আযা-বুম্ মুহীন্।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪) আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক আযাব।
4:15 وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫) অল্লা-তী ইয়াতীনাল্ ফা-হিশাতা মিন্ নিসা – য়িকুম্ ফাস্তাশ্হিদূ ‘আলাইহিন্না র্আবা‘আতাম্ মিন্কুম্, ফাইন্ শাহিদূ ফাআম্সিকূহুন্না ফিল্ বুইয়ূতি হাত্তা-ইয়াতাওয়াফ্ফা-হুন্নাল্ মাওতু আও ইয়াজ্ব ্‘আলাল্লা-হু লাহুন্না সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫) আর তোমাদের নারীদের মধ্য থেকে যারা ব্যভিচার করে, তোমরা তাদের উপর তোমাদের মধ্য থেকে চার জন সাক্ষী উপস্থিত কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তোমরা তাদেরকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রাখ যতক্ষণ না মৃত্যু তাদের জীবন শেষ করে দেয়। অথবা আল্লাহ তাদের জন্য কোন পথ তৈরি করে দেন।
4:16 وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنْكُمْ فَآذُوهُمَا فَإِنْ تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ تَوَّابًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬) অল্লাযা-নি ইয়াতিয়া-নিহা-মিন্কুম্ ফাআ-যূহুমা-ফাইন্ তা-বা-অআছ্লাহা- ফাআ’রিদ্ব ূ ‘আন্হুমা-; ইন্নাল্লা-হা কা-না তাও ওয়া-বার রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬) আর তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন অপকর্ম করবে, তাদেরকে তোমরা আযাব দাও। অতঃপর যদি তারা তাওবা করে এবং শুধরিয়ে নেয় তবে তোমরা তাদের থেকে বিরত থাক। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবা কবূলকারী, দয়ালু ।
4:17 إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭) ইন্নামাত্তাওবাতু ‘আলাল্লা-হিল্লাযীনা ইয়া’মালূনাস্ সূ – আ বিজ্বাহা-লাতিন্ ছুম্মা ইয়াতূবূনা মিন্ ক্বারীবিন্ ফাউলা – য়িকা ইয়াতূ-বুল্লা-হু ‘আলাইহিম; অকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭) নিশ্চয় তাওবা কবূল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
4:18 وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ أُولَئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৮) অ লাইসাতিত্ তাওবাতু লিল্লাযীনা ইয়া’মালূনাস্ সাইয়্যিয়া-তি হাত্তা য় ইযা-হাদ্বোয়ারা আহাদাহুমুল্ ম্ওাতু ক্বা-লা ইন্ নী তুব্তুল্ আ-না অলাল্ লাযীনা ইয়ামূতূনা অহুম্ কুফ্ফার্-; উলা – য়িকা ‘আতাদ্না- লাহুম্ ‘আযা-বান্ আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৮) আর তাওবা নাই তাদের, যারা অন্যায় কাজ করতে থাকে, অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু এসে যায়, তখন বলে, আমি এখন তাওবা করলাম, আর তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা কাফির অবস্থায় মারা যায়; আমি এদের জন্যই তৈরী করেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
4:19 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا وَلَا تَعْضُلُوهُنَّ لِتَذْهَبُوا بِبَعْضِ مَا آتَيْتُمُوهُنَّ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ فَإِنْ كَرِهْتُمُوهُنَّ فَعَسَى أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَيَجْعَلَ اللَّهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৯) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-ইয়াহিল্লু লাকুম্ আন্ তারিছুন্নিসা – আ কারহা-; অলা- তা’দ্ব ুলূহুন্না লিতায্হাবূ বিবা’দ্বি মা য় আ-তাইতুমূহুন্না ইল্লা য় আইঁ ইয়াতীনা বিফা-হিশাতিম্ মুবাইয়্যিনাতিন্ অ‘আ-শিরূহুন্না বিলমা’রূফি ফাইন্ কারিহ্তুমূহুন্না ফা‘আসা য় আন্ তাক্রাহূ শাইয়াওঁ অইয়াজ্ব ্‘আলাল্লা-হু ফীহি খাইরান্ কাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৯) হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা জোর করে নারীদের ওয়ারিছ হবে। আর তোমরা তাদেরকে আবদ্ধ করে রেখো না, তাদেরকে যা দিয়েছ তা থেকে তোমরা কিছু নিয়ে নেয়ার জন্য, তবে যদি তারা প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন।
4:20 وَإِنْ أَرَدْتُمُ اسْتِبْدَالَ زَوْجٍ مَكَانَ زَوْجٍ وَآتَيْتُمْ إِحْدَاهُنَّ قِنْطَارًا فَلَا تَأْخُذُوا مِنْهُ شَيْئًا أَتَأْخُذُونَهُ بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২০) অইন্ আরাত্তুমুস্ তিব্দা-লা যাওজ্বিম্ মাকা-না যাওজ্বিওঁ অ আ-তাইতুম্ ইহ্দা-হুন্না ক্বিনত্বোয়া-রান্ ফালা-তাখুযূ মিন্হু শাইয়া-; আতাখুযূনাহূ বুহ্তা-নাওঁ অইছ্মাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২০) আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রীকে বদলাতে চাও আর তাদের কাউকে তোমরা প্রদান করেছ প্রচুর সম্পদ, তবে তোমরা তা থেকে কোন কিছু নিও না। তোমরা কি তা নেবে অপবাদ এবং প্রকাশ্য গুনাহের মাধ্যমে?
4:21 وَكَيْفَ تَأْخُذُونَهُ وَقَدْ أَفْضَى بَعْضُكُمْ إِلَى بَعْضٍ وَأَخَذْنَ مِنْكُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২১) অকাইফা তাখুযূনাহূ অক্বাদ্ আফ্দ্বোয়া- বা’দ্ব ুকুম্ ইলা-বা’দ্বিওঁ অআখায্না মিন্কুম্ মীছা-ক্বান্ গালীজোয়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২১) আর তোমরা তা কীভাবে নেবে অথচ তোমরা একে অপরের সাথে একান্তে মিলিত হয়েছ; আর তারা তোমাদের থেকে নিয়েছিল দৃঢ় অঙ্গীকার?
4:22 وَلَا تَنْكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُمْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَمَقْتًا وَسَاءَ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২২) অলা-তান্কিহূ মা- নাকাহা আ-বা – উকুম্ মিনান্নিসা – য়ি ইল্লা-মা- ক্বাদ্ সালাফ্; ইন্নাহূ কা-না ফা-হিশাতাওঁ অমাক¦ ্তান্ অসা – য়া সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২২) আর তোমরা বিবাহ করো না নারীদের মধ্য থেকে যাদেরকে বিবাহ করেছে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ। তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (তা ক্ষমা করা হল)। নিশ্চয় তা হল অশ্লীলতা ও ঘৃণিত বিষয় এবং নিকৃষ্ট পথ।
4:23 حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَنْ تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৩) র্হুরিমাত্ ‘আলাইকুম্ উম্মাহা-তুকুম্ অবানা-তুকুম্ অআখাওয়া-তুকুম্ অ‘আম্মা-তুকুম্ অখা-লা-তুকুম্ অবানা-তুল্ আখি অবানা-তুল্ উখ্তি অউম্মাহা-তুকুমুল্ লা-তী য় র্আদ্বোয়া’নাকুম্ অআখাওয়া-তুকুম্ মির্না রাদ্বোয়া-‘আতি অউম্মাহা-তু নিসা – য়িকুম্ অ রাবা – য়িবুকুমুল্ লা-তী ফী হুজ্ব ূরিকুম্ মিন্নিসা – য়িকুমুল্ লা-তী দাখাল্তুম্ বিহিন্না ফাইল্ লাম্ তাকূনূ দাখাল্তুম্ বিহিন্না ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ অহালা – য়িলু আব্না – য়িকুমুল্ লাযীনা মিন্ আছ্লা-বিকুম্ অআন্ তাজ্ব ্মা‘উ বাইনাল উখ্তাইনি ইল্লা-মা-ক্বাদ সালাফ; ইন্নাল্লা-হা কা-না গাফূরাব্ রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৩) তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা (তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:24 وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُمْ مَا وَرَاءَ ذَلِكُمْ أَنْ تَبْتَغُوا بِأَمْوَالِكُمْ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُمْ بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُمْ بِهِ مِنْ بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৪) অল্ মুহ্ছনা- তু মিনান্ নিসা – য়ি ইল্লা-মা-মালাকাত্ আইমা-নুকুম্, কিতা-বাল্লা-হি ‘আলাইকুম্, অউহিল্লা লাকুম্ মা-অরা – য়া যা-লিকুম্ আন্ তাব্তাগূ বিআম্ওয়া-লিকুম্ মুহ্ছিনীনা গাইরা মূসা-ফিহীন্; ফামাস্তাম্তা’তুম্ বিহী মিন্হুন্না ফাআ-তূহুন্না উজ্ব ূরাহুন্না ফারীদ্বোয়াহ্; অলা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ফীমা- তারা-দ্বোয়াইতুম্ বিহী মিম্ বা’দিল্ ফারীদ্বোয়াহ্; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান্ হাকীম।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৪) আর (হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে সধবাদেরকে। তবে তোমাদের হাত যাদের মালিক হয়েছে তারা ছাড়া। এটি তোমাদের উপর আল্লাহর বিধান এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে চাইবে বিবাহ করে, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়। সুতরাং তাদের মধ্যে তোমরা যাদেরকে ভোগ করেছ তাদেরকে তাদের নির্ধারিত মোহর দিয়ে দাও। আর নির্ধারণের পর যে ব্যাপারে তোমরা পরস্পর সম্মত হবে তাতে তোমাদের উপর কোন অপরাধ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
4:25 وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ طَوْلًا أَنْ يَنْكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِنْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ مِنْ فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُمْ بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ فَانْكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلَا مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ وَأَنْ تَصْبِرُوا خَيْرٌ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৫) অমাল্লাম্ ইয়াস্তাত্বি’ মিন্কুম্ ত্বোয়াওলান্ আইঁ ইয়ান্কিহাল্ মুহ্ছনা-তিল্ মুমিনা-তি ফামিম্ মা-মালাকাত্ আইমা-নুকুম্ মিন্ ফাতাইয়া-তিকুমুল্ মুমিনা-ত্; অল্লা-হু আ’লামু বিঈমা-নিকুম্; বা’দ্বু কুম্ মিম্ বা’দ্বি ফান্কিহূ হুন্না বিইয্নি আহ্লিহিন্না অ আ-তূহুন্না উজ্ব ূরা হুন্না বিল্মা’রূফি মুহ্ছনা-তিন্ গাইরা মুসা-ফিহা-তিওঁ অলা-মুত্তাখিযা-তি আখ্দা-নিন্ ফাইযা য় উহ্ছিন্না ফাইন্ আতাইনা বিফা-হিশাতিন্ ফা‘আলাইহিন্না নিছ্ফু মা-‘আলাল্ মুহ্ছনা-তি মিনাল্ ‘আযা-ব্; যা-লিকা লিমান্ খাশিয়াল্ ‘আনাতা মিন্কুম্; অ আন্ তাছ্বিরূ খাইরুল্লাকুম্ অল্লা-হু গাফূর্রু রাহীম।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৫) আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন-মুমিন নারীদেরকে বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে না, সে (বিবাহ করবে) তোমাদের মুমিন যুবতীদের মধ্য থেকে, তোমাদের হাত যাদের মালিক হয়েছে তাদের কাউকে। আর আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। তোমরা একে অন্যের থেকে (এসেছ)। সুতরাং তোমরা তাদেরকে তাদের মালিকদের অনুমতিক্রমে বিবাহ কর এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও এমতাবস্থায় যে, তারা হবে সতী-সাধ্বী, ব্যভিচারিণী কিংবা গোপন যৌনসঙ্গী গ্রহণকারিণী নয়। অতঃপর যখন তারা বিবাহিত হবে তখন যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের উপর স্বাধীন নারীর অর্ধেক আযাব হবে। এটা তাদের জন্য, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারের ভয় করে এবং ধৈর্যধারণ করা তোমাদের জন্য উত্তম। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:26 يُرِيدُ اللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَيَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৬) ইয়ুরীদুল্লা-হু লিইয়ুবাইয়্যিনা লাকুম্ অইয়াহ্দিয়াকুম্ সুনানাল্লাযীনা মিন্ ক্বাব্লিকুম্ অইয়াতূবা ‘আলাইকুম্; অল্লা-হু ‘আলীমুন্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৬) আল্লাহ চান তোমাদের জন্য বিস্তারিত বর্ণনা করতে, তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তীদের আদর্শ প্রদর্শন করতে এবং তোমাদের তাওবা কবূল করতে। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
4:27 وَاللَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَيُرِيدُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الشَّهَوَاتِ أَنْ تَمِيلُوا مَيْلًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৭) অল্লা-হু ইয়ুরীদু আইঁ ইয়াতূবা ‘আলাইকুম্’ অ ইয়ুরীদুল্লাযীনা ইয়াত্তাবি‘উনাশ্ শাহাওয়া-তি আন্ তামীলূ মাইলান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৭) আর আল্লাহ চান তোমাদের তাওবা কবূল করতে। আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে, তোমরা প্রবলভাবে (সত্য পথ থেকে) বিচ্যুত হও।
4:28 يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنْكُمْ وَخُلِقَ الْإِنْسَانُ ضَعِيفًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৮) ইয়ুরীদুল্লা-হু আইঁ ইয়ুখাফ্ফিফা ‘আন্কুম্ অখুলিক্বাল্ ইন্সা-নু দ্বোয়া‘ঈফা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৮) আল্লাহ তোমাদের থেকে (বিধান) সহজ করতে চান, আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে দুর্বল করে।
4:29 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.২৯) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাকুলূ য় আম্ওয়া-লাকুম্ বাইনাকুম্ বিল্বা-ত্বিলি ইল্লা য় আন্ তাকূনা তিজ্বা-রাতান্ আন্ তারা-দ্বিম্ মিন্কুম্ অলা-তাক্ব্ ্তুলূ য় আন্ফুসাকুম্; ইন্নাল্লা-হা কা-না বিকুম্ রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.২৯) হে মুমিনগণ, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তোমাদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না, তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসার মাধ্যমে হলে ভিন্ন কথা। আর তোমরা নিজেরা নিজদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে পরম দয়ালু।
4:30 وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ عُدْوَانًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩০) অমাইঁ ইয়াফ্‘আল্ যা-লিকা উদ্ওয়া-নাওঁ অজুল্মান্ ফাসাওফা নুছ্লীহি না-রা-; অকা-না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াসীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩০) আর যে ঐ কাজ করবে সীমালঙ্ঘন ও অন্যায়ভাবে, আমি অচিরেই তাকে আগুনে প্রবেশ করাব। আর সেটি হবে আল্লাহর উপর সহজ।
4:31 إِنْ تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُمْ مُدْخَلًا كَرِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩১) ইন্ তাজ্ব ্তানিবূ কাবা – য়িরা মা- তুন্হাওনা ‘আন্হু নুকার্ফ্ফি ‘আন্কুম্ সাইয়্যিয়া-তিকুম্ অ নুদ্খিল্কুম্ মুদ্খালান্ কারীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩১) তোমরা যদি সেসব কবিরা গুনাহ পরিহার কর, যা থেকে তোমাদের বারণ করা হয়েছে, তাহলে আমি তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেব এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাব সম্মানজনক প্রবেশস্থলে।
4:32 وَلَا تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ لِلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِمَّا اكْتَسَبُوا وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِمَّا اكْتَسَبْنَ وَاسْأَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩২) অলা-তাতামান্নাও মা-ফাদ্ব্দ্বোয়ালাল্লা-হু বিহী বা’দ্বোয়াকুম্ ‘আলা-বা’দ্ব; র্লিরিজ্বা-লি নাছীবুম্ মিম্মাক্ তাসাবূ; অলিন্নিসা – য়ি নাছীবুম্ মিম্মাক্ তাসাব্না; অস্আলুল্লা-হা মিন্ ফাদ্ব্লিহ্; ইন্নাল্লা-হা কা-না বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩২) আর তোমরা আকাক্সক্ষা করো না সে সবের, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের এক জনকে অন্য জনের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। পুরুষদের জন্য রয়েছে অংশ, তারা যা উপার্জন করে তা থেকে এবং নারীদের জন্য রয়েছে অংশ, যা তারা উপার্জন করে তা থেকে। আর তোমরা আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ চাও। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
4:33 وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَالِيَ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالْأَقْرَبُونَ وَالَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ فَآتُوهُمْ نَصِيبَهُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৩) অলিকুল্লিন্ জ্বা‘আল্না- মাওয়া-লিয়া মিম্মা-তারাকাল্ ওয়া-লিদা-নি অল্আক্ব ্্রাবূন্; অল্লাযীনা ‘আক্বাদাত্ আইমা-নুকুম্ ফাআ-তূ হুম্ নাছীবাহুম্; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ শাহীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৩) আর আমি প্রত্যেকের জন্য নির্ধারণ করেছি উত্তরাধিকারী, পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়-স্বজন যা রেখে যায় এবং যাদের সাথে তোমরা চুক্তি করেছ, তা থেকে । সুতরাং তোমরা তাদেরকে তাদের অংশ দিয়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছুর উপর সাক্ষী।
4:34 الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৪) র্আরিজ্বা-লু ক্বাও ওয়ামূনা ‘আলান্নিসা – য়ি বিমা-ফাদ্ব্দ্বোয়ালাল্ লা-হু বাদ্বোয়াহুম্ ‘আলা- বা’দ্বিওঁ অবিমা য় আন্ফাক্ব ূমিন্ আমওয়ালিহিম্ ফাছ্ছোয়া-লিহা-তু ক্বা-নিতা-তুন্ হা-ফিজোয়া-তুল্ লিল্গাইবি বিমা- হাফিজোয়াল্লা-হ্ ; অল্লা-তী তাখা-ফূনা নুশূযাহুন্না ফা‘ইজ্ব ূহুন্না অহ্জ্ব ুরূহুন্না ফিল্ মাদ্বোয়া-জ্বি‘ই অদ্ব্রিবূ হুন্না, ফাইন্ আত্বোয়া’নাকুম্ ফালা-তাব্গূ ‘আলাইহিন্না সাবীলা-; ইন্নাল্লা- হা কা-না ‘আ-লিয়্যান্ কাবীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৪) পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেনে। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান।
4:35 وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৫) অইন্ খিফ্তুম্ শিক্বা-ক্বা বাইনিহিমা-ফাব্‘আছূ হাকামাম্ মিন্ আহ্লিহী অহাকামাম্ মিন্ আহ্লিহা-, ইঁইয়ুরীদা য় ইছ্লাহাইঁ ইয়ুওয়াফ্ফিক্বিল্লা-হু বাইনাহুমা-; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলীমান খাবীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৫) আর যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায় তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত।
4:36 وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৬) অ’বুদুল্লা-হা অলা- তুশ্রিকূ বিহী শাইয়াওঁ অ বিল ওয়া-লিদাইনি ইহ্সা-নাওঁ অবিযিল্ ক্বর্ ুবা- অল্ ইয়াতা-মা-অল্ মাসা-কীনি অল্ জ্বা-রি যিল্ ক্বর্ ুবা-অল্জ্বা-রিল জ্ব ুনুবি অছ্ছোয়া-হিবি বিল্ জ্বাম্বি অব্নিস্ সাবীলি অমা- মালাকাত্ আইমা-নুকুম্; ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়ুহিব্ব ু মান্ কা-না মুখ্তা-লান্ ফাখূরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৬) তোমরা ইবাদাত কর আল্লাহর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতা-পিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকট আত্মীয়- প্রতিবেশী, অনাত্মীয়- প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।
4:37 الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৭) নিল্লাযীনা ইয়াব্খালূনা অইয়ামুরূনান্ না-সা বিল্বুখ্লি অইয়াক্তুমূনা মা য় আ-তা-হুমুল্লা-হু মিন্ ফাদ্ব্লিহ্ অআ’তাদ্না-লিল্কা-ফিরীনা ‘আযা-বাম্ মুহীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৭) যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয়; আর গোপন করে তা, যা আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে দান করেছেন। আর আমি প্রস্তুত করে রেখেছি কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাকর আযাব।
4:38 وَالَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَنْ يَكُنِ الشَّيْطَانُ لَهُ قَرِينًا فَسَاءَ قَرِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৮) অল্লাযীনা ইয়ুন্ফিক্ব ূনা আম্ওয়া-লাহুম্ রিয়া – য়ান্না-সি অলা-ইয়ুমিনূনা বিল্লা-হি অলা-বিল্ইয়াওমিল্ আ-র্খি; অমাইঁ ইয়াকুনিশ্ শাইত্বোয়ানু লাহূ ক্বারীনান্ ফাসা – য়া ক্বারীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৮) আর যারা নিজ ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং ঈমান আনে না আল্লাহর প্রতি এবং না শেষ দিনের প্রতি। আর শয়তান যার সঙ্গী হয়, সঙ্গী হিসেবে কতইনা নিকৃষ্ট সে!
4:39 وَمَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ آمَنُوا بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقَهُمُ اللَّهُ وَكَانَ اللَّهُ بِهِمْ عَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৩৯) অমা-যা-‘আলাইহিম্ লাও আ-মানূ বিল্লা-হি অল্ইয়াওমিল্ আ-খিরি অ আন্ফাক্ব ূ মিম্মা-রাযাক্বা হুমুল্লা-হ্; অকা-নাল্লা-হু বিহিম্ ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৩৯) তাদের এমন কী ক্ষতি হত যদি তারা ঈমান আনত আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং আল্লাহ তাদের যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করত? আল্লাহ তাদের সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
4:40 إِنَّ اللَّهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ وَإِنْ تَكُ حَسَنَةً يُضَاعِفْهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪০) ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াজ্লিমু মিছ্ক্বা-লা র্যারাতিন্ অইন্ তাকু হাসানাতাইঁ ইয়ুদ্বোয়া-‘ইফ্হা অইয়ুতি মিল্লাদুন্হু আজ্ব্ ্রান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪০) নিশ্চয় আল্লাহ অণু পরিমাণও যুলম করেন না। আর যদি সেটি ভাল কাজ হয়, তিনি তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান প্রদান করেন।
4:41 فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلَاءِ شَهِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪১) ফাকাইফা ইযা-জ্বিনা-মিন্ কুল্লি উম্মাতিম্ বিশাহীদিওঁ অজ্বিনা বিকা‘আলা- হা য় উলা – য়ি শাহীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪১) অতএব কেমন হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে উপস্থিত করব তাদের উপর সাক্ষীরূপে?
4:42 يَوْمَئِذٍ يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَعَصَوُا الرَّسُولَ لَوْ تُسَوَّى بِهِمُ الْأَرْضُ وَلَا يَكْتُمُونَ اللَّهَ حَدِيثًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪২) ইয়াওমায়িযিইঁ ইয়াঅদ্দুল্লাযীনা কাফারূ অআছোয়ার্উ রাসূলা লাও তুসাও ওয়া বিহিমুল্ র্আদ্ব্; অলা-ইয়াক্তুমূনাল্ লা-হা হাদীছা।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪২) যারা কুফরী করেছে এবং রাসূলের অবাধ্য হয়েছে তারা সেদিন কামনা করবে, যদি যমীনকে তাদের সাথে (মিশিয়ে) সমান করে দেয়া হত, আর তারা আল্লাহর কাছে কোন কথা গোপন করতে পারবে না।
4:43 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّى تَغْتَسِلُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৩) ইয়া য় আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানূ লা-তাক্ব্ ্রাবুছ্ ছলা-তা অআন্তুম্ সুকা-রা-হাত্তা-তা’লামূ মা -তাক্ব ূলূনা অলা-জ্ব ুনুবান্ ইল্লা-‘আ-বিরী সাবীলিন্ হাত্তা- তাগ্তাসিলূ; অইন্ কুন্তুম্ মারদ্বোয়া য় আও ‘আলা-সাফারিন্ আও জ্বা – য়া আহাদুম্ মিন্কুম্ মিনাল্ গা – য়িত্বি আও লা-মাস্তুমুন্ নিসা -য়া ফালাম্ তাজ্বিদূ মা – য়ান্ ফাতাইয়াম্মামূ ছোয়া‘ঈদান্ ত্বোয়াইয়্যিবান্ ফাম্সাহূ বিউজ্ব ূহিকুম্ অআইদীকুম্; ইন্নাল্ লা-হা কা-না ‘আফুও ওয়ান্ গাফূরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৩) হে মুমিনগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পার যা তোমরা বল এবং অপবিত্র অবস্থায়ও না, যতক্ষণ না তোমরা গোসল কর, তবে যদি তোমরা পথ অতিক্রমকারী হও । আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা থেকে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রী সম্ভোগ কর, তবে যদি পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটিতে তায়াম্মুম কর । সুতরাং তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ কর। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।
4:44 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يَشْتَرُونَ الضَّلَالَةَ وَيُرِيدُونَ أَنْ تَضِلُّوا السَّبِيلَ
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৪) আলাম্ তারা ইলাল্লাযীনা ঊতূ নাছীবাম্ মিনাল্ কিতা-বি ইয়াশ্তারূনাদ্ব ্ দ্বোয়ালা-লাতা অইয়ুরীদূনা আন্ তাদ্বিল্লুস্ সাবীল্।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৪) তুমি কি সে সব লোককে দেখনি, যাদেরকে কিতাবের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে? তারা পথভ্রষ্টতা ক্রয় করে এবং চায় যে, তোমরাও পথভ্রষ্ট হয়ে যাও।
4:45 وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِأَعْدَائِكُمْ وَكَفَى بِاللَّهِ وَلِيًّا وَكَفَى بِاللَّهِ نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৫) অল্লা-হু আ’লামু বিআ’দা – য়িকুম্; অকাফা- বিল্লা-হি অলিয়্যাওঁ অকাফা- বিল্লা-হি নাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৫) আর আল্লাহ তোমাদের শত্র“দের সম্পর্কে অধিক অবগত। আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট এবং আল্লাহ যথেষ্ট সাহায্যকারী হিসেবেও ।
4:46 مِنَ الَّذِينَ هَادُوا يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ وَيَقُولُونَ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَاسْمَعْ غَيْرَ مُسْمَعٍ وَرَاعِنَا لَيًّا بِأَلْسِنَتِهِمْ وَطَعْنًا فِي الدِّينِ وَلَوْ أَنَّهُمْ قَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاسْمَعْ وَانْظُرْنَا لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ وَأَقْوَمَ وَلَكِنْ لَعَنَهُمُ اللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৬) মিনাল্লাযীনা হা-দূ ইয়ুর্হারিফূনাল্ কালিমা ‘আম্ মাওয়া-দ্বি‘ইহী অইয়াক্ব ূলূনা সামি’না- ওয়া‘আছোয়াইনা- অস্মা’ গাইরা মুস্মা‘ইওঁ অরা-‘ইনা-লাইয়্যাম্ বিআল্সিনাতিহিম্ অত্বোয়া’নান্ ফিদ্দীন্; অলাও আন্নাহুম্ ক্বা-লূ সামি’না- অআত্বোয়া’না অস্মা’ ওয়ার্ন্জুনা- লাকা-না খাইরাল্লাহুম্ অআক্ব ্ওয়ামা অলা-কিল্ লা‘আনাহুমুল্লা-হু বিকুফ্রিহিম্ ফালা- ইয়ুমিনূনা ইল্লা-ক্বালীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৬) ইয়াহূদীদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কালামসমূহকে তার স্থান থেকে পরিবর্তন করে ফেলে এবং বলে, ‘আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম’। আর তুমি শোন না শোনার মত, তারা নিজদের জিহ্বা বাঁকা করে এবং দীনের প্রতি খোঁচা মেরে বলে, ‘রা‘ইনা’ । আর তারা যদি বলত, ‘আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম এবং তুমি শোন ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ’ তাহলে এটি হত তাদের জন্য কল্যাণকর ও যথার্থ। কিন্তু তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদেরকে লা‘নত করেছেন। তাই তাদের কম সংখ্যক লোকই ঈমান আনে।
4:47 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ آمِنُوا بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِمَا مَعَكُمْ آمِنُوا بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِمَا مَعَكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَطْمِسَ وُجُوهًا فَنَرُدَّهَا عَلَى أَدْبَارِهَا أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَمَا لَعَنَّا أَصْحَابَ السَّبْتِ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৭) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা আ-মিনূ বিমা- নায্যাল্না-মুছোয়াদ্দিক্বাল্ লিমা-মা‘আকুম্ মিন্ ক্বাব্লি আন্ নাত্ব ্মিসা উজ্ব ুহান্ ফানারুদ্দাহা-‘আলা য় আদ্বা-রিহা য় আও নাল্আ’নাহুম্ কামা-লা‘আন্নায় আছ্হা-বাস্ সাব্ত্; অকা-না আম্রুল্লা-হি মাফ্‘ঊলা-
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৭) হে কিতাবপ্রাপ্তগণ, তোমরা ঈমান আন, তার প্রতি যা আমি নাযিল করেছি তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে। আমি চেহারাসমূহকে বিকৃত করে তা তাদের পিঠের দিকে ফিরিয়ে দেয়া অথবা তাদেরকে লা‘নত করার পূর্বে যেমনিভাবে লা‘নত করেছি আসহাবুস্ সাবতকে । আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়েই থাকে।
4:48 إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৮) ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াগ্ফিরু আইঁ ইয়ুশ্রাকা বিহী অইয়াগ্ফিরু মা- দূনা যা-লিকা লিমাইঁ ইয়াশা – উ অমাইঁ ইয়ুশ্রিক্ বিল্লা- হি ফাক্বাদিফ্ তারা য় ইছ্মান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৮) নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরিক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে।
4:49 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنْفُسَهُمْ بَلِ اللَّهُ يُزَكِّي مَنْ يَشَاءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৪৯) আলাম্ তারা ইলাল্লাযীনা ইয়ুযাক্ক ূনা আন্ফুসাহুম্ ; বালিল্লা-হু ইয়ুযাক্কী মাইঁ ইয়াশা – উ অলা-ইয়ুজ্লামূনা ফাতীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৪৯) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা নিজদেরকে পবিত্র মনে করে? বরং আল্লাহ যাকে চান তাকে পবিত্র করেন। আর তাদেরকে সূতা পরিমাণ যুল্মও করা হবে না।
4:50 انْظُرْ كَيْفَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَكَفَى بِهِ إِثْمًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫০) উর্ন্জু কাইফা ইয়াফ্তারূনা ‘আলাল্লা-হিল্ কাযিব্ ; অকাফা-বিহী য় ইছ্মাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫০) দেখ, কেমন করে তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রটনা করে। আর প্রকাশ্য পাপ হিসেবে এটিই যথেষ্ট।
4:51 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا هَؤُلَاءِ أَهْدَى مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫১) আলাম্ তারা ইলাল্লাযীনা ঊতূ নাছীবাম্ মিনাল্ কিতা-বি ইয়ুমিনূনা বিল্ জ্বিব্তি অত্ত্বোয়া-গূতি অইয়াক্ব ূলূনা লিল্লাযীনা কাফারূ হা য় উলা – য়ি আহ্দা-মিনাল্লাযীনা আ-মানূ সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫১) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছে? তারা জিবত ও তাগূতের প্রতি ঈমান আনে এবং কাফিরদেরকে বলে, এরা মুমিনদের তুলনায় অধিক সঠিক পথপ্রাপ্ত।
4:52 أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ وَمَنْ يَلْعَنِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫২) উলা – য়িকাল্লাযীনা লা‘আনাহুমুল্লা-হ্ ; অমাইঁ ইয়াল্‘আনিল্লা-হু ফালান্ তাজ্বিদা লাহূ নাছীরা।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫২) এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ লা‘নত করেছেন। আর আল্লাহ যাকে লা‘নত করেন তুমি কখনো তার কোন সাহায্যকারী পাবে না।
4:53 أَمْ لَهُمْ نَصِيبٌ مِنَ الْمُلْكِ فَإِذًا لَا يُؤْتُونَ النَّاسَ نَقِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৩) আম্ লাহুম্ নাছীবুম্ মিনাল্ মুল্কি ফাইযাল্ লা-ইয়ুতূনান্না-সা নাক্বীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৩) তবে কি তাদের জন্য রাজত্বে কোন অংশ আছে? তাহলে তখনতো তারা মানুষকে খেজুরবীচির উপরের আবরণ পরিমাণও কিছু দেবে না।
4:54 أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَى مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ فَقَدْ آتَيْنَا آلَ إِبْرَاهِيمَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَآتَيْنَاهُمْ مُلْكًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৪) আম্ ইয়াহ্সুদূনান্ না-সা ‘আলা-মা য় আ-তা-হুমুল্লা-হু মিন্ ফাদ্ব্লিহী ফাক্বাদ্ আ-তাইনা য় আ-লা ইব্রা-হীমাল্ কিতা-বা অল্ হিক্মাতা অআ-তাইনা-হুম্ মুল্কান্ আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৪) বরং তারা কি লোকদেরকে হিংসা করে, আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে? তাহলে তো আমি ইবরাহীমের বংশধরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব।
4:55 فَمِنْهُمْ مَنْ آمَنَ بِهِ وَمِنْهُمْ مَنْ صَدَّ عَنْهُ وَكَفَى بِجَهَنَّمَ سَعِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৫) ফামিন্হুম্ মান্ আ-মানা বিহী অমিন্হুম্ মান্ ছোয়াদ্দা ‘আন্হু; অকাফা-বিজ্বাহান্নামা সা‘ঈরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৫) অতঃপর তাদের অনেকে এর প্রতি ঈমান এনেছে এবং অনেকে এ থেকে বিরত থেকেছে। আর দগ্ধকারী হিসেবে জাহান্নামই যথেষ্ট।
4:56 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৬) ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ বিআ-ইয়া-তিনা- সাওফা নুছ্লীহিম্ না-রা-; কুল্লামা- নাদ্বিজ্বাত্ জ্ব ুলূদুহুম্ বাদ্দাল্না-হুম্ জ্ব ুলূদান্ গাইরাহা- লিইয়াযূক্ব ুল্ ‘আযা-ব্; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আযীযান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৬) নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, অচিরেই আমি তাদেরকে প্রবেশ করাব আগুনে। যখনই তাদের চামড়াগুলো পুড়ে যাবে তখনই আমি তাদেরকে পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে যাতে তারা আস্বাদন করে আযাব। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
4:57 وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا لَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَنُدْخِلُهُمْ ظِلًّا ظَلِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৭) অল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া- লিহা-তি সানুদ্খিলুহুম্ জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্াহা-রু খা -লিদীনা ফীহা য় আবাদা-; লাহুম্ ফীহা য় আয্ওয়া-জ্ব ুম্ মুত্বোয়াহ্ হারাতুওঁ অনুদ্খিলুহুম্ জিল্লান্ জোয়ালীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৭) আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, অচিরেই আমি তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা হবে স্থায়ী। সেখানে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তাদেরকে আমি প্রবেশ করাব বিস্তৃত ঘন ছায়ায়।
4:58 إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৮) ইন্নাল্লা-হা ইয়ামুরুকুম্ আন্ তুওয়াদ্দুল্ আমা-না-তি ইলা য় আহ্লিহা-অইযা-হাকাম্তুম্ বাইনান্না-সি আন্ তাহ্কুমূ বিল্আদ্ল্; ইন্না ল্লা-হা নি‘ইম্মা-ইয়া‘ইজুকুম্ বিহ্’; ইন্নাল্লা-হা কা-না সামী‘আম্ বাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৮) নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের কাছে পৌঁছে দিতে। আর যখন মানুষের মধ্যে ফয়সালা করবে তখন ন্যায়ভিত্তিক ফয়সালা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে কতইনা সুন্দর উপদেশ দিচ্ছেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
4:59 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৫৯) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় আত্বী‘উ ল্লা-হা অআত্বী‘র্উ রাসূলা অউলিল্ আম্রি মিন্কুম্ ফাইন্ তানা-যা’তুম্ ফী শাইয়িন্ ফারুদ্দূহু ইলাল্লা-হি র্অরা-সূলি ইন্ কুন্তুম্ তুমিনূনা বিল্লা-হি অল্ ইয়াওমিল্ আ-র্খি; যা-লিকা খাইরুওঁ অ‘আহ্সানু তাওয়ীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৫৯) হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।
4:60 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬০) আলাম্ তারা ইলাল্লাযীনা ইয়ায্্‘ঊমূনা আন্নাহুম্ আ-মানূ বিমা য় উন্যিলা ইলাইকা অমা য় উন্যিলা মিন্ ক্বাব্লিকা ইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়াতাহা-কামূ য় ইলাত্ব ত্বোয়া-গূতি অক্বাদ্ উমিরূ য় আইঁ ইয়াক্ফুরূ বিহ্; অইয়ুরীদুশ্ শাইত্বোয়া-নু আইঁ ইয়ুদ্বিল্লাহুম্ দ্বোয়ালা-লাম্ বা‘ঈদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬০) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে তার উপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পূর্বে। তারা তাগূতের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে।
4:61 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَى مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ رَأَيْتَ الْمُنَافِقِينَ يَصُدُّونَ عَنْكَ صُدُودًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬১) অইযা-ক্বীলা লাহুম্ তা‘আ-লাও ইলা-মা য় আন্যালাল্ লা-হু অইর্লা রাসূলি রাআইতাল্ মুনা-ফিক্বীনা ইয়াছুদ্দূনা ‘আন্কা ছুদূদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬১) আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা আস যা আল্লাহ নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে’, তখন মুনাফিকদেরকে দেখবে তোমার কাছ থেকে সম্পূর্ণরূপে ফিরে যাচ্ছে।
4:62 فَكَيْفَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ ثُمَّ جَاءُوكَ يَحْلِفُونَ بِاللَّهِ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا إِحْسَانًا وَتَوْفِيقًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬২) ফাকাইফা ইযা য় আছোয়া-বাত্হুম্ মুছীবাতুম্ বিমা -ক্বাদ্দামাত্ আইদীহিম ছুম্মা জ্বা – ঊক্বা ইয়াহ্লিফূন্; বিল্লা-হি ইন্ আরাদ্না য় ইল্লা য় ইহ্সা-নাওঁ অতাওফীক্বা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬২) সুতরাং তখন কেমন হবে, যখন তাদের উপর কোন মুসীবত আসবে, সেই কারণে যা তাদের হাত পূর্বেই প্রেরণ করেছে? তারপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করা অবস্থায় তোমার কাছে আসবে যে, আমরা কল্যাণ ও সম্প্রীতি ভিন্ন অন্য কিছু চাইনি।
4:63 أُولَئِكَ الَّذِينَ يَعْلَمُ اللَّهُ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَعِظْهُمْ وَقُلْ لَهُمْ فِي أَنْفُسِهِمْ قَوْلًا بَلِيغًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৩) উলা – য়িকাল্লাযীনা ইয়া‘লামুল্লা-হু মা-ফী ক্ব ুলূবিহিম্ ফাআরিদ্ব ্‘আন্হুম্ অ‘ইজ্হুম্ অক্ব ুল্ লাহুম্ ফী য় আন্ফুসিহিম্ ক্বাওলাম্ বালীগা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৩) ওরা হল সেসব লোক, যাদের অন্তরে কি আছে আল্লাহ তা জানেন। সুতরাং তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও এবং তাদেরকে সদুপদেশ দাও। আর তাদেরকে তাদের নিজদের ব্যাপারে মর্মস্পর্শী কথা বল।
4:64 وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৪) অমা য় র্আসাল্না- র্মি রাসূলিন্ ইল্লা-লিইয়ুত্বোয়া-‘আ বিইয্নিল্লা-হ্;অলাও আন্নাহুম্ ইয্ জোয়ালামূ য় আন্ফুসাহুম্ জ্বা – উকা ফাস্তাগ্ফারুল্লা-হা অস্তাগ্ফারা লাহুর্মু রাসূলু লাওয়াজ্বাদুল্লা-হা তাওয়্যা-র্বা রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৪) আর আমি যে কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তা কেবল এ জন্য, যেন আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদের আনুগত্য করা হয়। আর যদি তারা- যখন নিজদের প্রতি যুলম করেছিল তখন তোমার কাছে আসত অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইত এবং রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইত তাহলে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবূলকারী, দয়ালু পেত।
4:65 فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৫) ফালা-অরব্বিকা, লা-ইয়ুমিনূনা হাত্তা-ইয়ুহাক্কিমূকা ফীমা -শাজ্বারা বাইনাহুম্ ছুম্মা লা-ইয়াজ্বিদূ ফী য় আন্ফুসিহিম্ হারাজ্বাম্ মিম্মা-ক্বাদ্বোয়াইতা অইয়ুসাল্লিমূ তাস্লীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৫) অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।
4:66 وَلَوْ أَنَّا كَتَبْنَا عَلَيْهِمْ أَنِ اقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ أَوِ اخْرُجُوا مِنْ دِيَارِكُمْ مَا فَعَلُوهُ إِلَّا قَلِيلٌ مِنْهُمْ وَلَوْ أَنَّهُمْ فَعَلُوا مَا يُوعَظُونَ بِهِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ وَأَشَدَّ تَثْبِيتًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৬) অলাও আন্না-কাতাব্না-‘আলাইহিম্ আনিক্ব ্তুলূ য় আন্ফুসাকুম্ আওয়িখ্রুজ্ব ু মিন্ দিয়া-রিকুম্ মা-ফা‘আলূহু ইল্লা-ক্বালীলুম্ মিন্হুম্; অলাও আন্নাহুম্ ফা‘আলূ মা-ইয়ূ‘আজূনা বিহী লাকা-না খাইরাল্ লাহুম্ অআশাদ্দা তাছ্বীতা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৬) আর যদি আমি তাদের উপর লিখে দিতাম যে, তোমরা নিজদের হত্যা কর কিংবা নিজ গৃহ থেকে বের হয়ে যাও, তাহলে তাদের কম সংখ্যক লোকই তা বাস্তবায়ন করত। আর যে উপদেশ তাদেরকে দেয়া হয় যদি তারা তা বাস্তবায়ন করত, তাহলে সেটি হত তাদের জন্য উত্তম এবং স্থিরতায় সুদৃঢ়।
4:67 وَإِذًا لَآتَيْنَاهُمْ مِنْ لَدُنَّا أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৭) অইযাল্ লা আ-তাইনা হুম্ মিল্লাদুন্না য় আজ্ব ্রান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৭) আর তখন আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে প্রদান করতাম মহাপুরস্কার।
4:68 وَلَهَدَيْنَاهُمْ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৮) অলাহাদাইনা-হুম্ ছিরা-ত্বোয়াম্ মুস্তাক্বীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৮) আর অবশ্যই আমি প্রদর্শন করতাম তাদেরকে সরল পথ।
4:69 وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৬৯) অমাইঁ ইয়ুত্বিই’ ল্ লা-হা র্অরাসূলা ফাউলা – য়িকা মা‘আল্লাযীনা আন্‘আমাল্লা-হু ‘আলাইহিম্ মিনান্নাবিয়্যীনা অছ্ছিদ্দিক্বীনা অশ্শুহাদা – য়ি অছ্ছোয়া-লিহীনা অ হাসুনা উলা – য়িকা রাফীক্বা-।৭০। যা-লিকাল্ ফাদ্ব ্লু মিনাল্লা-হ্; অকাফা- বিল্লা-হি ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৬৯) আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সাথে থাকবে, আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সাথী হিসেবে তারা হবে উত্তম।
4:70 ذَلِكَ الْفَضْلُ مِنَ اللَّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ عَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭০) যালিকাল ফাদলু ইমনাল্লাহি ওয়া কাফা ইবল্লাহি আলিমা
বাংলা অনুবাদ
৪.৭০) এই অনুগ্রহ আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর সর্বজ্ঞ হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
4:71 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا خُذُوا حِذْرَكُمْ فَانْفِرُوا ثُبَاتٍ أَوِ انْفِرُوا جَمِيعًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭১) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ খুযূ হিয্রাকুম ফান্ফিরূ ছুবা-তিন আওয়িন্ফিরূ জ্বামী‘আ-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭১) হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন কর। অতঃপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল হয়ে বেরিয়ে পড় অথবা একসাথে বের হও।
4:72 وَإِنَّ مِنْكُمْ لَمَنْ لَيُبَطِّئَنَّ فَإِنْ أَصَابَتْكُمْ مُصِيبَةٌ قَالَ قَدْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيَّ إِذْ لَمْ أَكُنْ مَعَهُمْ شَهِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭২) অইন্না মিন্কুম্ লামাল্ লাইয়ুবাত্ত্বিয়ান্না ফাইন্ আছোয়া-বাত্কুম্ মুছীবাতুন্ ক্বা-লা ক্বাদ্ আন‘আমাল্লা-হু ‘আলাইয়্যা ইয্ লাম্ আকুম্ মা‘আহুম্ শাহীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭২) আর তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছে, যে অবশ্যই বিলম্ব করবে। সুতরাং তোমাদের কোন বিপদ আপতিত হলে সে বলবে, ‘আল্লাহ আমার উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের সাথে উপস্থিত ছিলাম না’।
4:73 وَلَئِنْ أَصَابَكُمْ فَضْلٌ مِنَ اللَّهِ لَيَقُولَنَّ كَأَنْ لَمْ تَكُنْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ مَوَدَّةٌ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ مَعَهُمْ فَأَفُوزَ فَوْزًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৩) অলায়িন্ আছোয়া-বাকুম ফাদ্ব্লুম্ মিনাল্লা-হি লাইয়াক্ব ূলান্না কাআল্লাম্ তাকুম্ বাইনাকুম্ অবাইনাহূ মাওয়াদ্দাতুইঁ ইয়া-লাইতানী কুন্তু মা‘আহুম্ ফাআফূযা ফাওযান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৩) আর তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ এসে পৌঁছলে অবশ্যই সে বলবে যেন তোমাদের ও তার মধ্যে কোন হৃদ্যতা ছিল না, ‘হায়! যদি আমি তাদের সাথে থাকতাম, তাহলে আমি মহাসফলতা অর্জন করতাম।
4:74 فَلْيُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يَشْرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ وَمَنْ يُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৪) ফাল্ইয়ুক্বা-তিল্ ফী সাবীলিল্লা-হিল্ লাযীনা ইয়াশ্রূনাল্ হাইয়া-তাদ্দুন্ইয়া-বিল্ আ-খিরাহ্; অমাইঁ ইয়ুক্বা-তিল ফী সাবীলিল্লা-হি ফাইয়ুক্ব ্তাল্ আও ইয়াগ্লিব্ ফাসাওফা নুতীহি আজ্বরান্ ‘আজ্বীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৪) সুতরাং যারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রয় করে তারা যেন আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে। আর যে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করবে অতঃপর সে নিহত হোক কিংবা বিজয়ী, অচিরেই আমি তাকে দেব মহা পুরস্কার।
4:75 وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৫) অমা-লাকুম্ লা-তুক্বা-তিলূনা ফী সাবীলিল্লা-হি অল্মুস্তাদ্ব‘আফীনা মির্না রিজ্বা-লি অন্নিসা – য়ি অল্ ওয়িল্দা-নিল্লাযীনা ইয়াক্ব ূ লূনা রব্বানা য় আখ্রিজ্ব ্না-মিন্ হা-যিহিল্ র্ক্বাইয়াতিজ্জোয়া-লিমি আহ্লুহা- অজ্ব ্’আল্ লানা- মিল্লাদুন্কা অলিয়্যাওঁ অজ্ব ্‘আল্ লানা-মিল্লাদুন্কা নাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৫) আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে’ যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।
4:76 الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৬) আল্লাযীনা ‘আ-মানূ ইয়ুক্বা-তিলূনা ফী সাবীলিল্লা-হি অল্লাযীনা কাফারূ ইয়ুক্বা-তিলূনা ফী-সাবীলিত্ব ত্বোয়া-গূতি ফাক্বা-তিলূ য়আওলিয়া – য়াশ্ শাইত্বোয়া-নি ইন্না কাইদাশ্ শাইত্বোয়া-নি কা-না দ্বোয়া‘ঈফা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৬) যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই কর শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।
4:77 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّوا أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ إِذَا فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَخْشَوْنَ النَّاسَ كَخَشْيَةِ اللَّهِ أَوْ أَشَدَّ خَشْيَةً وَقَالُوا رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا الْقِتَالَ لَوْلَا أَخَّرْتَنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيلٌ وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ لِمَنِ اتَّقَى وَلَا تُظْلَمُونَ فَتِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৭) আলাম্ তারা ইলাল্ লাযীনা ক্বীলা লাহুম্ কুফ্ফূ য় আইদিয়াকুম্ অ ‘আক্বীমুছ্ ছলা-তা অআ-তুয্ যাকা-তা ফালাম্মা-কুতিবা ‘আলাইহিমুল্ ক্বিতা-লু ইযা-ফারীক্ব ুম্ মিন্হুম্ ইয়াখ্শাওনান্ না-সা কাখাশ্ইতিল্লা-হি আও আশাদ্দা খাশ্ইয়াতান্ অক্বা-লূ রব্বানা-লিমা কাতাব্তা ‘আলাইনাল্ ক্বিতা-লা লাওলা য় আখ্খারতানা য় ইলা য় আজ্বালিন্ ক্বারীব; ক্ব ুল্ মাত্বা-‘উদ্দুন্ইয়া-ক্বালীল্ন্ ুঅল্ আ-খিরাতু খাইরুল্লিমানিত্ তাক্বা-অলা-তুয্লামূনা ফাতীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৭) তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের হাত গুটিয়ে নাও এবং সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর? অতঃপর তাদের উপর যখন লড়াই ফরয করা হল, তখন তাদের একদল মানুষকে ভয় করতে লাগল আল্লাহকে ভয় করার অনুরূপ অথবা তার চেয়ে কঠিন ভয়। আর বলল, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের উপর লড়াই ফরয করলেন কেন? আমাদেরকে কেন আরো কিছুকালের অবকাশ দিলেন না’? বল, ‘দুনিয়ার সুখ সামান্য। আর যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখিরাত উত্তম। আর তোমাদের প্রতি সূতা পরিমাণ যুল্মও করা হবে না’।
4:78 أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِكُكُمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنْتُمْ فِي بُرُوجٍ مُشَيَّدَةٍ وَإِنْ تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَذِهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَذِهِ مِنْ عِنْدِكَ قُلْ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَمَالِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৮) আইনা মা-তাকূনূ ইয়ুদ্রিক্ কুমুল্ মাওতু অলাও কুন্তুম্ ফী বুরূজ্বিম্ মুশাইয়্যাদাহ্; অইন্ তুছিব্হুম্ হাসানাতুইঁ ইয়াক্ব ূলূ হা-যিহী মিন্ ‘ইন্দিল্লা-হ্; অইন্ তুছিব্হুম্ সাইয়্যিয়াতুইঁ ইয়াক্ব ূলূ হা-যিহী মিন্ ‘ইন্দিক্; ক্ব ুল্ কুল্ল ুম্ মিন্ ‘ইন্দিল্লা-হ্; ফামা-লি হা য় উলা – য়িল্ ক্বাওমি লা-ইয়াকা-দূনা ইয়াফ্ক্বাহূনা হাদীছা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৮) তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবে, যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর। আর যদি তাদের কাছে কোন কল্যাণ পৌঁছে তবে বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’। আর যদি কোন অকল্যাণ পৌঁছে, তখন বলে, ‘এটি তোমার পক্ষ থেকে’। বল, ‘সব কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে’। সুতরাং এই কওমের কী হল, তারা কোন কথা বুঝতে চায় না!
4:79 مَا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللَّهِ وَمَا أَصَابَكَ مِنْ سَيِّئَةٍ فَمِنْ نَفْسِكَ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُولًا وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৭৯) মা য় আছোয়া-বাকা মিন্ হাসানাতিন্ ফামিনাল্লা-হি অমা য় আছোয়া-বাকা মিন্ সাইয়্যিয়াতিন্ ফামিন্ নাফ্সিক্; অ র্আসাল্না-কা লিন্না-সি রাসূলা- ; অকাফা-বিল্লা-হি শাহীদা -।
বাংলা অনুবাদ
৪.৭৯) তোমার কাছে যে কল্যাণ পৌঁছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর যে অকল্যাণ তোমার কাছে পৌঁছে তা তোমার নিজের পক্ষ থেকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি এবং সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট।
4:80 مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮০) মাইঁ ইয়ুত্বি‘র্ই রাসূলা ফাক্বাদ্ আত্বোয়া-‘আল্লা-হা অমান্ তাওয়াল্লা-ফামা য় র্আসাল্না-কা ‘আলাইহিম্ হাফীজোয়া-
বাংলা অনুবাদ
৪.৮০) যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।
4:81 وَيَقُولُونَ طَاعَةٌ فَإِذَا بَرَزُوا مِنْ عِنْدِكَ بَيَّتَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ غَيْرَ الَّذِي تَقُولُ وَاللَّهُ يَكْتُبُ مَا يُبَيِّتُونَ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮১) অইয়াক্ব ূলূনা ত্বোয়া-‘আতুন্ ফাইযা-বারাযূ মিন্ ‘ইন্দিকা বাইয়্যাতা ত্বোয়া – য়িফাতুম্ মিন্হুম্ গাইরাল্লাযী তাক্ব ূল্ ; অল্লা-হু ইয়াক্তুবু মা- ইয়ুবায়্যিতূনা ফা‘আ-রিদ্ব্ ‘আনহুম্ অতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হ্; অকাফা-বিল্লা-হি অকীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮১) আর তারা বলে, ‘আনুগত্য (করি)’; অতঃপর যখন তারা তোমার কাছ থেকে বের হয়ে যায়, তাদের একদল যা বলে, রাতে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে। আর আল্লাহ লিখে রাখেন, তারা রাতে যা পরিকল্পনা করে। সুতরাং তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর। কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
4:82 أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮২) আফালা-ইয়াতাদাব্বারূনাল্ ক্বর্ ুআ-ন; অলাও কা-না মিন্ ্ ‘ইন্দি গাইরিল্লা-হি লাওয়াজ্বাদূ ফীহিখ্ তিলা-ফান্ কাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮২) তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত।
4:83 وَإِذَا جَاءَهُمْ أَمْرٌ مِنَ الْأَمْنِ أَوِ الْخَوْفِ أَذَاعُوا بِهِ وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلَى أُولِي الْأَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنْبِطُونَهُ مِنْهُمْ وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَاتَّبَعْتُمُ الشَّيْطَانَ إِلَّا قَلِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৩) অ ইযা-জ্বা য় য়াহুম্ আম্রুম্ মিনাল্ আম্নি আওয়িল্ খাওফি আযা-‘ঊ বিহ্; অলাও রাদ্দূহু ইর্লা রাসূলি অ ইলা য় উলিল্ আম্রি মিন্হুম্ লা‘আলিমাহুল্ লাযীনা ইয়াস্তাম্বিত্ব ূনাহূ মিন্হুম্; অলাওলা-ফাদ্ব্লুল্লা-হি‘আলাইকুম্ অরহ্মাতুহূ লাত্তাবা’তুমুশ্ শাইত্বোয়া-না ইল্লা-ক্বালীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৩) আর যখন তাদের কাছে শান্তি কিংবা ভীতিজনক কোন বিষয় আসে, তখন তারা তা প্রচার করে। আর যদি তারা সেটি রাসূলের কাছে এবং তাদের কর্তৃত্বের অধিকারীদের কাছে পৌঁছে দিত, তাহলে অবশ্যই তাদের মধ্যে যারা তা উদ্ভাবন করে তারা তা জানত। আর যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর রহমত না হত, তবে অবশ্যই অল্প কয়েকজন ছাড়া তোমরা শয়তানের অনুসরণ করতে।
4:84 فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنْكِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৪) ফাক্বা-তিল্ ফী সাবীলিল্লা-হ্; লা-তুকাল্লাফু ইল্লা-নাফসাকা অর্হারিদ্বিল্ মুমিনীনা, আসাল্ লা-হু আইঁ ইয়াকুফ্ফা বাসাল্লাযীনা কাফারূ; অল্লা-হু আশাদ্দু বাসাওঁ অ আশাদ্দু তান্কীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৪) অতএব তুমি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর। তুমি শুধু তোমার নিজের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কর। আশা করা যায় আল্লাহ অচিরেই কাফিরদের শক্তি প্রতিহত করবেন। আর আল্লাহ শক্তিতে প্রবলতর এবং শাস্তিদানে কঠোরতর।
4:85 مَنْ يَشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً يَكُنْ لَهُ نَصِيبٌ مِنْهَا وَمَنْ يَشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَكُنْ لَهُ كِفْلٌ مِنْهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ مُقِيتًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৫) মাইঁ ইয়াশ্ফা’ শাফা-‘আতান্ হাসানাতাইঁ ইয়াকুল্লা-হ ূনাছীবুম্ মিন্হা-অমাইঁ ইয়াশ্ফা’ শাফা-‘আতান্ সাইয়্যিয়াতাইঁ ইয়াকুল্লাহূ কিফ্লুম্ মিন্হা-; অকা-নাল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িম্ মুক্বীতা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৫) যে ভাল সুপারিশ করবে, তা থেকে তার জন্য একটি অংশ থাকবে এবং যে মন্দ সুপারিশ করবে তার জন্যও তা থেকে একটি অংশ থাকবে। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের সংরক্ষণকারী।
4:86 وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৬) অইযা-হুইয়্যীতুম্ বিতাহিয়্যাতিন্ ফাহাইয়্যূ বিআহ্সানা মিনহা য় আও রুদ্দূহা -; ইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আলা-কুল্লি শাইয়্যিন হাসীবা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৬) আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।
4:87 اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا رَيْبَ فِيهِ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ حَدِيثًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৭) আল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; লাইয়াজ্ব ্মা‘আন্নাকুম্ ইলা-ইয়াওমিল্ ক্বিয়া-মাতি লা-রইবা ফীহ্; অমান্ আছ্দাক্ব ু মিনাল্লা-হি হাদীছা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৭) আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে একত্র করবেন কিয়ামতের দিনে। এতে কোন সন্দেহ নেই। আর কথায় আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী কে?
4:88 فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ وَاللَّهُ أَرْكَسَهُمْ بِمَا كَسَبُوا أَتُرِيدُونَ أَنْ تَهْدُوا مَنْ أَضَلَّ اللَّهُ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৮) ফামা-লাকুম্ ফিল্ মুনা-ফিক্বীনা ফিয়াতাইনি অল্লা-হু র্আকাসাহুম্ বিমা-কাসাবূ; আতুরীদূনা আন্ তাহ্দূ মান্ আদ্বোয়াল্লাল্লা-হ্; অমাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লা-হু ফালান্ তাজ্বিদা লাহূ সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৮) সুতরাং মুনাফিকদের ব্যাপারে তোমাদের কী হল যে, তোমরা দু’ দল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তারা যা কামাই করেছে তার জন্য তাদেরকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন তোমরা কি তাকে হিদায়াত করতে চাও? আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পাবে না।
4:89 وَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ كَمَا كَفَرُوا فَتَكُونُونَ سَوَاءً فَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ أَوْلِيَاءَ حَتَّى يُهَاجِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৮৯) অদ্দূ লাও তাক্ফুরূনা কামা-কাফারূ ফাতাকূনূনা সাওয়া – য়ান্ ফালা-তাত্তাখিযূ মিন্হুম্ আওলিয়া – য়া হাত্তা-ইয়ুহা-জ্বিরূ ফী সাবীলিল্লা-হ্; ফাইন্ তাওয়াল্লাও ফাখুযূহুম্ অক্ব ্তুলূহুম্ হাইছু অজ্বাত্তুমূহুম্ অলা-তাত্তাখিযূ মিন্হুম্ অলিয়্যাওঁ অলা-নাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৮৯) তারা কামনা করে, যদি তোমরা কুফরী করতে যেভাবে তারা কুফরী করেছে। অতঃপর তোমরা সমান হয়ে যেতে। সুতরাং আল্লাহর রাস্তায় হিজরত না করা পর্যন্ত তাদের মধ্য থেকে কাউকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। অতএব তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং তাদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর। আর তাদের কাউকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না এবং না সাহায্যকারীরূপে।
4:90 إِلَّا الَّذِينَ يَصِلُونَ إِلَى قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ مِيثَاقٌ أَوْ جَاءُوكُمْ حَصِرَتْ صُدُورُهُمْ أَنْ يُقَاتِلُوكُمْ أَوْ يُقَاتِلُوا قَوْمَهُمْ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَسَلَّطَهُمْ عَلَيْكُمْ فَلَقَاتَلُوكُمْ فَإِنِ اعْتَزَلُوكُمْ فَلَمْ يُقَاتِلُوكُمْ وَأَلْقَوْا إِلَيْكُمُ السَّلَمَ فَمَا جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ عَلَيْهِمْ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯০) ইল্লাল্লাযীনা ইয়াছিলূনা ইলা-ক্বাওমিম্ বাইনাকুম্ অবাইনাহুম্ মীছা-ক্ব ুন্ আও জ্বা-য়ূকুম্ হাছিরাত্ ছুদূরুহুম্ আইঁ ইয়ুক্বা-তিলূকুম্ আও ইয়ুক্বা-তিলূ ক্বাওমাহুম্; অলাও শা – য়াল্লা-হু লাসাল্লাত্বোয়াহুম্ ‘আলাইকুম্ ফালাক্বা-তালূকুম্ ফাইনি’তাযালূকুম্ ফালাম্ ইয়ুক্বা-তিলূকুম্ অআল্ক্বাও ইলাইকুমুস্ সালামা ফামা-জ্বা‘আলাল্লা-হু লাকুম্ ‘আলাইহিম্ সাবীলা।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯০) তবে (তাদেরকে হত্যা করো না) যারা মিলিত হয় এমন কওমের সাথে, যাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সন্ধিচুক্তি রয়েছে। অথবা তোমাদের কাছে আসে এমন অবস্থায় যে, তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কিংবা তাদের কওমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তাদের মন সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছে। আর আল্লাহ চাইলে অবশ্যই তাদেরকে তোমাদের উপর ক্ষমতা দিতে পারতেন। অতঃপর নিশ্চিতরূপে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে সরে যায় অতঃপর তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের কাছে শান্তি প্রস্তাব উপস্থাপন করে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ রাখেননি।
4:91 سَتَجِدُونَ آخَرِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَأْمَنُوكُمْ وَيَأْمَنُوا قَوْمَهُمْ كُلَّمَا رُدُّوا إِلَى الْفِتْنَةِ أُرْكِسُوا فِيهَا فَإِنْ لَمْ يَعْتَزِلُوكُمْ وَيُلْقُوا إِلَيْكُمُ السَّلَمَ وَيَكُفُّوا أَيْدِيَهُمْ فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ وَأُولَئِكُمْ جَعَلْنَا لَكُمْ عَلَيْهِمْ سُلْطَانًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯১) সাতাজ্বিদূনা আ-খারীনা ইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়ামানূকুম্ অইয়ামানূ ক্বাওমাহুম্;কুল্লামা-রুদ্দূ য় ইলাল্ ফিত্নাতি র্উকিসূ ফীহা-ফাইল্ লাম্ ইয়া’তাযিলূকুম্ অইয়ুল্ক্ব ূ য় ইলাইকুমুস্ সালামা অইয়াকুফ্ফূ য় আইদিয়াহুম্ ফাখুযূহুম্ অক্ব ্তুলূহুম্ হাইছু ছাক্বিফ্তুমূহুম্ অউলা – য়িকুম্ জ্বা‘আল্না-লাকুম্ ‘আলাইহিম্ সুলত্বোয়া-নাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯১) তোমরা অচিরেই অন্য লোককে পাবে, যারা তোমাদের কাছে নিরাপত্তা চাইবে এবং নিরাপত্তা চাইবে তাদের কওমের কাছে। যখনই তাদেরকে ফিতনার দিকে ফিরানো হয়, তারা সেখানে ফিরে যায়। সুতরাং যদি তারা তোমাদের থেকে সরে না যায় এবং তোমাদের কাছে সন্ধি প্রস্তাব উপস্থাপন না করে এবং নিজদের হাত গুটিয়ে না নেয়, তাহলে তাদেরকে পাকড়াও করবে এবং হত্যা করবে যেখানেই তাদের নাগাল পাবে। আর ওরাই তারা, যাদের বিরুদ্ধে আমি তোমাদেরকে সুস্পষ্ট ক্ষমতা দিয়েছি।
4:92 وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَقْتُلَ مُؤْمِنًا إِلَّا خَطَأً وَمَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا خَطَأً فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُؤْمِنَةٍ وَدِيَةٌ مُسَلَّمَةٌ إِلَى أَهْلِهِ إِلَّا أَنْ يَصَّدَّقُوا فَإِنْ كَانَ مِنْ قَوْمٍ عَدُوٍّ لَكُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُؤْمِنَةٍ وَإِنْ كَانَ مِنْ قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ مِيثَاقٌ فَدِيَةٌ مُسَلَّمَةٌ إِلَى أَهْلِهِ وَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُؤْمِنَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ تَوْبَةً مِنَ اللَّهِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯২) অমা-কা-না লিমুমিনিন্ আইঁ ইয়্যাক্ব ্তুলা মুমিনান্ ইল্লা-খাত্বোয়ায়ান্, অমান্ ক্বাতালা মুমিনান্ খাত্বোয়ায়ান্ ফাতাহ্রীরু রাক্বাবাতিম্ মুমিনাতিওঁ অদিয়াতুম্ মুসাল্লামাতুন্ ইলা য় আহ্লিহী য় ইল্লা-আইঁ ইয়াছ্ছদ্দাক্ব ূ; ফাইন্ কা-না মিন্ ক্বাওমিন্ ‘আদুওয়্যিল্লাকুম্ অহুঅ মুমিনুন্ ফাতাহ্রীরু রাক্বাবাতিম্ মুমিনাহ্; অইন্ কা-না মিন্ ক্বাওমিম্ বাইনাকুম্ অবাইনাহুম্ মীছা-ক্ব ুন্ ফাদিয়াতুম্ মুসাল্লামাতুন্ ইলা য় আহ্লিহী অতাহ্রীরু রাক্বাবাতিম্ মুমিনাতিন্ ফামাল্লাম্ ইয়াজ্বিদ্ ফাছিয়া-মু শাহ্রাইনি মুতাতা-বি‘আইনি তাওবাতাম্ মিনাল্লা-হ; অ কা-নাল্লা-হু ‘আলী-মান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯২) আর কোন মুমিনের কাজ নয় অন্য মুমিনকে হত্যা করা, তবে ভুলবশত (হলে ভিন্ন কথা)। যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে দিতে হবে না)। আর সে যদি তোমাদের শত্র“ কওমের হয় এবং সে মুমিন, তাহলে একজন মুমিন দাস মুক্ত করবে। আর যদি এমন কওমের হয় যাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সন্ধিচুক্তি রয়েছে তাহলে দিয়াত দিতে হবে, যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিবারের কাছে এবং একজন মুমিন দাস মুক্ত করতে হবে। তবে যদি না পায় তাহলে একাধারে দু’মাস সিয়াম পালন করবে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমাস্বরূপ। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
4:93 وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৩) অমাইঁ ইয়াক্ব ্তুল্ মুমিনাম্ মুতা‘আম্মিদান্ ফাজ্বাযা – উহূ জ্বাহান্নামা খা-লিদান্ ফীহা-অগাদ্বিবাল্লা-হু ‘আলাইহি অলা‘আনাহূ অ আ‘আদ্দালাহূ ‘আযা-বান ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৩) আর যে ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হবেন, তাকে লা‘নত করবেন এবং তার জন্য বিশাল আযাব প্রস্তুত করে রাখবেন।
4:94 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ كَذَلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৪) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় ইযা-দ্বোয়ারাব্তুম্ ফী সাবীলিল্লা-হি ফাতাবাইয়্যানূ অলা-তাক্ব ূলূ লিমান্ আল্ক্বা য় ইলাইকুমুস্ সালা-মা লাস্তা মুমিনান্ তাব্তাগূনা ‘আরাদ্বোয়াল্ হাইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-ফা‘ইন্দাল্লা-হি মাগা-নিমু কাছীরাহ্; কাযা-লিকা কুন্তুম্ মিন্ ক্বাব্লু ফামান্নাল্লা-হু ‘আলাইকুম্ ফাতাবাইয়্যানূ; ইন্নাল্লা-হা কা-না বিমা -তা’মালূনা খাবীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৪) হে মুমিনগণ, যখন তোমরা আল্লাহর রাস্তায় বের হবে তখন যাচাই করবে এবং যে তোমাদেরকে সালাম দেবে দুনিয়ার জীবনের সম্পদের আশায় তাকে বলবে না যে, ‘তুমি মুমিন নও’। বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে প্রচুর গনীমত আছে। তোমরাতো পূর্বে এরূপই ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করলেন। সুতরাং তোমরা যাচাই করবে। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত।
4:95 لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৫) লা-ইয়াস্তাওয়িল্ ক্বা-‘ইদূনা মিনাল্ মুমিনীনা গাইরু ঊলিদ্ব্ দ্বোয়ারারি অল্মুজ্বা-হিদূনা ফী সাবীলিল্লা-হি বিআম্ওয়া-লিহিম্ অ আন্ফুসিহিম্; ফাদ্ব্দ্বোলাল্লা-হুল্ মুজ্বা-হিদীনা বিআম্ওয়া-লিহিম্ অআন্ফুসিহিম্ ‘আলাল্ ক্বা-‘ইদীনা দারাজ্বাহ্; অকুল্লাওঁ অ‘আদাল্লা-হুল্ হুস্না-; অফাদ্ব্দ্বোয়ালাল্লা-হুল্ মুজ্বা-হিদীনা ‘আলাল্-ক্বা ‘ইদীনা আজ্ব ্রান্ আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৫) বসে থাকা মুমিনগণ, যারা ওযরগ্রস্ত নয় এবং নিজদের জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীগণ এক সমান নয়। নিজদের জান ও মাল দ্বারা জিহাদকারীদের মর্যাদা আল্লাহ বসে থাকাদের উপর অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ প্রত্যেককেই কল্যাণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন এবং আল্লাহ জিহাদকারীদেরকে বসে থাকাদের উপর মহা পুরস্কার দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন
4:96 دَرَجَاتٍ مِنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৬) দারাজ্বা-তিম্ মিন্হু অমাগ্ফিরাতাওঁ অরাহ্মাহ্; অ কা-নাল্লা-হু গাফূর্রা রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৬) তাঁর পক্ষ থেকে অনেক মর্যাদা, ক্ষমা ও রহমত। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:97 إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا فَأُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৭) ইন্নাল্লাযীনা তাওয়াফ্ফা-হুমুল্ মালা – য়িকাতু জোয়া-লিমী য় আন্ফুসিহিম্ ক্বা-লূ ফী মা-কুন্তুম্; ক্বা-লূ কুন্না-মুস্তাদ্ব্‘আফীনা ফিল্ র্আদ্ব্; ক্বা-লূ য় আলাম্ তাকুন্ র্আদ্বুল্লা-হি ওয়া-সি‘আতান্ ফাতুহা-জ্বিরূ ফীহা-; ফাউলা – য়িকা মা’ওয়া-হুম্ জ্বাহান্নাম্; অসা – য়াত্ মাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৭) নিশ্চয় যারা নিজদের প্রতি যুলমকারী, ফেরেশতারা তাদের জান কবজ করার সময় বলে, ‘তোমরা কী অবস্থায় ছিলে’? তারা বলে, ‘আমরা যমীনে দুর্বল ছিলাম’। ফেরেশতারা বলে, ‘আল্লাহর যমীন কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা তাতে হিজরত করতে’? সুতরাং ওরাই তারা যাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম। আর তা মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল।
4:98 إِلَّا الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৮) ইল্লাল্্ মুস্তাদ্ব্‘আফীনা মির্না রিজ্বা-লি অন্নিসা – য়ি অল্ ওয়িল্দা-নি লা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা হীলাতাওঁ অলা-ইয়াহ্তাদূনা সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৮) তবে যে দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা কোন উপায় অবলম্বন করতে পারে না এবং কোন রাস্তা খুঁজে পায় না।
4:99 فَأُولَئِكَ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَعْفُوَ عَنْهُمْ وَكَانَ اللَّهُ عَفُوًّا غَفُورًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.৯৯) ফাউলা – য়িকা ‘আসাল্লা-হু আইঁ ইয়া’ফূ ‘আনহুম্; অকা- নাল্লা-হু ‘আফুওয়্যান্ গাফূরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.৯৯) অতঃপর আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।
4:100 وَمَنْ يُهَاجِرْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَجِدْ فِي الْأَرْضِ مُرَاغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةً وَمَنْ يَخْرُجْ مِنْ بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০০) অমাইঁ ইয়ূহা-র্জ্বি ফী সাবীলিল্লা-হি ইয়াজ্বিদ্ ফিল্ র্আদ্বি মুরা-গামান্ কাছীরাওঁ অসা‘আহ্; অমাইঁ ইয়াখ্রুজ্ব ্মিম্ বাইতিহী মুহা-জ্বিরান্ ইলাল্লা-হি অরাসূলিহী ছুম্মা ইয়ুদ্রিক্হুল্ মাওতু ফাক্বাদ্ অক্বা‘আ আজ্ব ্রুহূ ‘আলাল্লা-হ্; অকা-নাল্লা-হু গাফূর্রু রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০০) আর যে আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করবে, সে যমীনে বহু আশ্রয়ের জায়গা ও সচ্ছলতা পাবে। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে মুহাজির হয়ে নিজ ঘর থেকে বের হয় তারপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসে, তাহলে তার প্রতিদান আল্লাহর উপর অবধারিত হয়। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:101 وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০১) অইযা- দ্বোয়ারাব্তুম্ ফিল্ আরদ্বি ফালাইসা ‘আলাইকুম্ জ্ব ুনা-হুন্ আন্ তাক্ব্ ্ছুরূ মিনাছ্ ছলা-তি ইন্ খিফ্তুম্ আইঁ ইয়াফ্তিনাকুমুল্ লাযীনা কাফারূ; ইন্নাল্ কা-ফিরীনা কা-নূ লাকুম্ ‘আদুওয়্যাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০১) আর যখন তোমরা যমীনে সফর করবে, তখন তোমাদের সালাত কসর করাতে কোন দোষ নেই। যদি আশঙ্কা কর যে, কাফিররা তোমাদেরকে ফিতনায় ফেলবে। নিশ্চয় কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“।
4:102 وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِنْ كَانَ بِكُمْ أَذًى مِنْ مَطَرٍ أَوْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَنْ تَضَعُوا أَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ إِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০২) অইযা- কুন্তা ফীহিম্ ফা‘আক্বাম্তা লাহুমুছ্ ছলা-তা ফাল্তাক্ব ুম্ ত্বোয়া – য়িফাতুম্ মিন্হুম্ মা‘আকা অল্ইয়াখুযূূ য় আস্লিহাতাহুম্ ফাইযা-সাজ্বাদূ ফাল্ইয়াকূনূ মিওঁ অরা – য়িকুম্ অল্তাতি ত্বোয়া-য়িফাতুন্ উখ্রা-লাম্ ইয়ুছোল্ল ূ ফাল্ইয়ুছোয়াল্ল ূ মা‘আকা অল্ইয়াখুযূ হিয্রাহুম্ অআস্লিহাতাহুম্ অদ্দাল্লাযীনা কাফারূ লাও তাগ্ফুলূনা ‘আন্ আস্লিহাতিকুম্ অআম্তি‘আতিকুম্ ফাইয়ামীলূনা ‘আলাইকুম্ মাইলাতাওঁ ওয়া-হিদাহ্; অলা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ইন্ কা-না বিকুম্ আযাম্ মিম্ মাত্বোয়ারিন্ আও কুন্তুম র্মাদ্বোয়া য় আন্ তাদ্বোয়া‘ঊ য় আস্লিহাতাকুম্ অখুযূ হিয্রাকুম্; ইন্নাল্লা-হা আ‘আদ্দা লিল্কা-ফিরীনা ‘আযা-বাম্ মুহীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০২) আর যখন তুমি তাদের মধ্যে থাকবে। অতঃপর তাদের জন্য সালাত কায়েম করবে, তখন যেন তাদের মধ্য থেকে একদল তোমার সাথে দাঁড়ায় এবং তারা তাদের অস্ত্র ধারণ করে। এরপর যখন সিজদা করে ফেলবে, তখন তারা যেন তোমাদের পেছনে অবস্থান নেয়। আর অপর একটি দল যারা সালাত আদায় করেনি তারা যেন তোমার সাথে এসে সালাত আদায় করে এবং তারা যেন তাদের সতর্কতা অবলম্বন ও অস্ত্র ধারণ করে। কাফিররা কামনা করে যদি তোমরা তোমাদের অস্ত্র-শস্ত্র ও আসবাব-পত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও তাহলে তারা তোমাদের উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কোন কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তাহলে অস্ত্র রেখেদেয়াতে তোমাদের কোন দোষ নেই। আর তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন করবে। নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছেন লাঞ্ছনাদায়ক আযাব।
4:103 فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ فَإِذَا اطْمَأْنَنْتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৩) ফাইযা-ক্বাদ্বোয়াইতুমুছ্ ছলা-তা ফায্কুরুল্লা-হা ক্বিয়া-মাওঁ অক্ব ু‘ঊদাওঁ অ‘আলা-জ্ব ুনূবিকুম্ ফাইযাত্ব ্ মা-নান্তুম্ ফাআক্বীমুছ্ ছলা-তা ইন্নাছ্ ছলা-তা কা-নাত্ ‘আলাল্ মুমিনীনা কিতা-বাম্ মাওক্ব ূতা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৩) অতঃপর যখন তোমরা সালাত পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।
4:104وَلَا تَهِنُواْ فِى ٱبۡتِغَآءِ ٱلۡقَوۡمِۖ إِن تَكُونُواْ تَأۡلَمُونَ فَإِنَّهُمۡ يَأۡلَمُونَ كَمَا تَأۡلَمُونَۖ وَتَرۡجُونَ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَا يَرۡجُونَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৪) অলা-তাহিনূ ফিব্তিগা – য়িল্ ক্বাওম্; ইন্ তাকূনূ তা’লামূনা ফাইন্নাহুম্ ইয়া’লামূনা কামা-তা’লামূনা অর্তাজ্ব ূনা মিনাল্লা-হি মা-লা-ইর্য়াজ্ব ূন্; অকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৪) আর শত্র“ সম্প্রদায় অনুসন্ধানে তোমরা দুর্বল হয়ো না। যদি তোমরা ব্যথা পেয়ে থাক তাহলে তারাও তো ব্যথা পাচ্ছে, যেভাবে তোমরা ব্যথা পাচ্ছ। আর তোমরা আল্লাহর নিকট থেকে আশা করছ যা তারা আশা করছে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
4:105إِنَّآ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلۡكِتَـٰبَ بِٱلۡحَقِّ لِتَحۡكُمَ بَيۡنَ ٱلنَّاسِ بِمَآ أَرَٮٰكَ ٱللَّهُۚ وَلَا تَكُن لِّلۡخَآٮِٕنِينَ خَصِيمً۬ا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৫) ইন্না য় আন্যাল্না য় ইলাইকাল্ কিতা-বা বিল্হাক্ব ্ক্বি লিতাহ্কুমা বাইনান্না-সি বিমা য় আরা-কাল্লা-হ্; অলা-তাকুল্ লিল্খা – য়িনীনা খাছীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৫) নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষের মধ্যে ফয়সালা কর সে অনুযায়ী যা আল্লাহ তোমাকে দেখিয়েছেন। আর তুমি খিয়ানতকারীদের পক্ষে বিতর্ককারী হয়ো না।
4:106 وَٱسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورً۬ا رَّحِيمً۬ا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৬) অস্তাগ্ফিরিল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা কা-না গাফূর্রা রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৬) আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:107 وَلَا تُجَـٰدِلۡ عَنِ ٱلَّذِينَ يَخۡتَانُونَ أَنفُسَہُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ خَوَّانًا أَثِيمً۬ا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৭) অলা-তুজ্বা-দিল্ ‘আনিল্লাযীনা ইয়াখ্তা-নূনা আন্ফুসাহুম্; ইন্নাল্লা-হা লা- ইয়ুহিব্বু মান্ কা-না খাওয়্যা-নান্ আছীমা।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৭) আর যারা নিজদের খিয়ানত করে তুমি তাদের পক্ষে বিতর্ক করো না। নিশ্চয় আল্লাহ ভালবাসেন না তাকে, যে খিয়ানতকারী, পাপী।
4:108 يَسْتَخْفُونَ مِنَ النَّاسِ وَلَا يَسْتَخْفُونَ مِنَ اللَّهِ وَهُوَ مَعَهُمْ إِذْ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرْضَى مِنَ الْقَوْلِ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৮) ইয়াস্তাখ্ফ ূনা মিনান্না-সি অলা-ইয়াস্তাখ্ফূনা মিনাল্লা-হি অহুঅ মা‘আহুম্ ইয্ ইয়ুবাইয়্যিতূনা মা- লা- ইর্য়াদ্বোয়া মিনাল্ ক্বাওল্; অকা-নাল্লা-হু বিমা-ইয়া’মালূনা মুহীত্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৮) তারা মানুষের কাছ থেকে লুকাতে চায়, আর আল্লাহর কাছ থেকে লুকাতে চায় না। অথচ তিনি তাদের সাথেই থাকেন যখন তারা রাতে এমন কথার পরিকল্পনা করে যা তিনি পছন্দ করেন না। আর আল্লাহ তারা যা করে তা পরিবেষ্টন করে আছেন।
4:109 هَا أَنْتُمْ هَؤُلَاءِ جَادَلْتُمْ عَنْهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَمَنْ يُجَادِلُ اللَّهَ عَنْهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَمْ مَنْ يَكُونُ عَلَيْهِمْ وَكِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১০৯) হা য় আন্তুম্ হা য় উলা – য়ি জ্বা-দাল্তুম্ ‘আন্হুম্ ফিল্ হাইয়া-তিদ্দুন্ইয়া-ফামাইঁ ইযুজ্বা-দিলুল্লা-হা ‘আন্হুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি আম্ মাইঁ ইয়াকূনু ‘আলাইহিম্ অকীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১০৯) হে, তোমরাই তো তারা, যারা দুনিয়ার জীবনে তাদের পক্ষে বিতর্ক করেছ। সুতরাং কিয়ামতের দিন তাদের পক্ষে আল্লাহর সাথে কে বিতর্ক করবে? কিংবা কে হবে তাদের তত্ত্বাবধায়ক
4:110 وَمَنْ يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১০) অ মাইঁ ইয়া’মাল্ সূ – য়ান্ আও ইয়াজ্লিম্ নাফ্সাহূ ছুম্মা ইয়াস্তাগ্ফিরিল্লা-হা ইয়াজ্বিদিল্লা-হা গাফূর্রা রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১০) আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি যুলম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:111 وَمَنْ يَكْسِبْ إِثْمًا فَإِنَّمَا يَكْسِبُهُ عَلَى نَفْسِهِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১১) অমাইঁ ইয়াক্সিব্ ইছ্মান্ ফাইন্নামা-ইয়াক্সিবুহূ ‘আলা-নাফ্সিহী অকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১১) আর যে পাপ কামাই করবে, বস্তুত, সেতো নিজের বিরুদ্ধেই তা কামাই করবে। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
4:112 وَمَنْ يَكْسِبْ خَطِيئَةً أَوْ إِثْمًا ثُمَّ يَرْمِ بِهِ بَرِيئًا فَقَدِ احْتَمَلَ بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১২) অ মাইঁ ইয়াক্সিব্ খাত্বী – য়াতান্ আও ইছ্মান্ ছুম্মা ইর্য়ামি বিহী বারী – য়ান্ ফাক্বাদিহ্ তামালা বুহ্তা-নাওঁ অ-ইছ্মাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১২) আর যে ব্যক্তি কোন অপরাধ বা পাপ অর্জন করে, অতঃপর কোন নির্দোষ ব্যক্তির উপর তা আরোপ করে, তাহলে সে তো মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য গুনাহের বোঝা বহন করল।
4:113 وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ أَنْ يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِنْ شَيْءٍ وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৩) অলাওলা-ফাদ্ব্লুল্লা-হি ‘আলাইকা অরাহ্মাতুহূ লাহাম্মাত্ ত্বোয়া – য়িফাতুম্ মিনহুম্ আইঁ ইয়ুদ্বিল্লূক্; অমা-ইয়ুদ্বিল্ল ূনা ইল্লা য় ‘আনফুসাহুম্ অমা-ইয়ার্দ্বুরূনাকা মিন্ শাইয়িন্ অআন্যালাল্লা-হু ‘আলাইকাল্ কিতা-বা অল্হিকমাতা অ‘আল্লামাকা মা-লাম্ তাকুন্ তা’লাম্; অকা-না ফাদ্ব ্লুল্লা-হি ‘আলাইকা ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৩) আর তোমার উপর যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া না হত তবে তাদের মধ্য থেকে একদল তোমাকে পথভ্রষ্ট করার সংকল্প করেই ফেলেছিল! আর তারা নিজদের ছাড়া কাউকে পথভ্রষ্ট করে না এবং তারা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ তোমার প্রতি নাযিল করেছেন কিতাব ও হিকমাত এবং তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন যা তুমি জানতে না। আর তোমার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে মহান।
4:114 لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِنْ نَجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৪) লা-খাইরা ফী কাছীরিম মিন্ নাজ্ব ্ওয়া-হুম্ ইল্লা-মান্ আমারা বিছদাক্বাতিন্ আও মা’রূফিন্ আও ইছ্লা-হিম্ বাইনান্না-স্; অমাইঁ ইয়াফ্‘আল্ যা-লিকাব্ তিগা – য়া র্মাদ্বোয়া-তিল্লা-হি ফাসাওফা নুতীহি আজ্ব ্রান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৪) তাদের গোপন পরামর্শের অধিকাংশে কোন কল্যাণ নেই। তবে (কল্যাণ আছে) যে নির্দেশ দেয় সদাকা কিংবা ভালো কাজ অথবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার। আর যে তা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করবে তবে অচিরেই আমি তাকে মহাপুরস্কার দান করব।
4:115 وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৫) অমাইঁ ইয়ুশা-ক্বির্ক্বি রাসূলা মিম্ বা’দি মা-তাবাইয়্যানা লাহুল্ হুদা- অইয়াত্তাবি’ গাইরা সাবীলিল্ মুমিনীনা নুঅল্লিহী মা- তাঅল্লা-অনুছ্লিহী জ্বাহান্নাম্; অসা – য়াত্ মাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৫) আর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তার জন্য হিদায়াত প্রকাশ পাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে এবং তাকে প্রবেশ করাব জাহান্নামে। আর আবাস হিসেবে তা খুবই মন্দ।
4:116 إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৬) ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াগ্ফিরু আইঁ ইয়ুশ্রাকা বিহী অইয়াগ্ফিরু মা-দূনা যা-লিকা লিমাইঁ ইয়াশা – উ; অমাইঁ ইয়ুশ্রিক্ বিল্লা-হি ফাক্বাদ্ দ্বোয়াল্লাদ্বোয়ালা-লাম্ বা‘ঈদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৬) নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করেন না তাঁর সাথে শরীক করাকে এবং এ ছাড়া যাকে চান ক্ষমা করেন। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে তো ঘোর পথভ্রষ্টতায় পথভ্রষ্ট হল।
4:117 إِنْ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ إِلَّا إِنَاثًا وَإِنْ يَدْعُونَ إِلَّا شَيْطَانًا مَرِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৭) ইঁ ইয়াদ্‘ঊনা মিন্ দূনিহীয় ইল্লা য় ইনা-ছান্ অইঁ ইয়াদ্‘ঊনা ইল্লা-শাইত্বোয়া-নাম্ মারীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৭) আল্লাহ ছাড়া তারা শুধু নারীমূর্তিকে ডাকে এবং কেবল অবাধ্য শয়তানকে ডাকে।
4:118 لَعَنَهُ اللَّهُ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيبًا مَفْرُوضًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৮) লা‘আনাহুল্লা-হ্। অ ক্বা-লা লাআত্তাখিযান্না মিন্‘ইবা-দিকা নাছীবাম্ মাফ্রূদ্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৮) আল্লাহ তাকে লা‘নত করেছেন এবং সে বলেছে, ‘অবশ্যই আমি তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে (অনুসারী হিসেবে) গ্রহণ করব’।
4:119 وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الْأَنْعَامِ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ وَمَنْ يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১১৯) অলাউদ্বিল্লান্নাহুম্ অলাউমান্নিয়্যন্নাহুম্ অলাআ-মুরান্নাহুম্ ফালাইয়ুবাত্তিকুন্না আ-যা-নাল্ আন্‘আ-মি অলা আ-মুরান্নাহুম্ ফালাইয়ুগাইয়্যিরুন্না খাল্ক্বাল্লা-হ্; অমাইঁ ইয়াত্তাখিযিশ্ শাইত্বোয়া-না অলিয়্যাম্ মিন্ দূনিল্লা-হি ফাক্বাদ্ খাসিরা খুস্রা-নাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১১৯) ‘আর অবশ্যই আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, ফলে অবশ্যই তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে’। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা তো স্পষ্টই ক্ষতিগ্রস্ত হল।
4:120 يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২০) ইয়া‘ইদুহুম্ অইয়ুমান্নীহিম্; অমা -ইয়া‘ইদুহুমুশ্ শাইত্বোয়া-নু ইল্লা-গুরূরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২০) সে তাদেরকে প্রতিশ্র“তি দেয় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। আর শয়তান তাদেরকে কেবল প্রতারণামূলক প্রতিশ্র“তিই দেয়।
4:121 أُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَلَا يَجِدُونَ عَنْهَا مَحِيصًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২১) উলা – য়িকা মা’ওয়া-হুম্ জ্বাহান্নামু অলা-ইয়াজ্বিদূনা ‘আনহা-মাহীছোয়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২১) এদেরই আশ্রয়স্থল জাহান্নাম। আর তারা সেখান থেকে পালাবার জায়গা পাবে না।
4:122 وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا وَعْدَ اللَّهِ حَقًّا وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২২) অল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি সানুদ্খিলুহুম্ জান্না-তিন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খা-লিদীনা ফীহা য় আবাদা-; অ’দাল্লা-হি হাক্বক্বা-; অমান্ আছ্দাক্ব ু মিনাল্লা-হি ক্বীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২২) আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, অচিরেই তাদেরকে আমি প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ। সেখানে তারা হবে স্থায়ী। আল্লাহর প্রতিশ্র“তি সত্য। আর কথায় আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সত্যবাদী কে?
4:123 لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَا أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ وَلَا يَجِدْ لَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৩) লাইসা বিআমানিয়্যিকুম্ অলা য় আমানিয়্যি আহ্লিল্ কিতা-ব্;মাইঁ ইয়া’মাল্ সূ – য়াইঁ ইয়ুজ্ব ্যা বিহী অলা-ইয়াজ্বিদ্ লাহূ মিন্ দূনিল্লা-হি অলিয়্যাওঁ অলা-নাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২৩) না তোমাদের আশায় এবং না কিতাবীদের আশায় (কাজ হবে)। যে মন্দকাজ করবে তাকে তার প্রতিফল দেয়া হবে। আর সে তার জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
4:124 وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৪) অমাইঁ ইয়া’মাল্ মিনাছ্ ছোয়া-লিহা-তি মিন্ যাকারিন্ আও উন্ছা-অহুঅ মুমিনুন্ ফাউলা – য়িকা ইয়াদ্খুলূনাল্ জ্বান্নাতা অলা-ইয়ুজ্ব ্লামূনা নাক্বীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২৪) আর পুরুষ কিংবা নারীর মধ্য থেকে যে নেককাজ করবে এমতাবস্থায় যে, সে মুমিন, তাহলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি খেজুরবীচির আবরণ পরিমাণ যুল্মও করা হবে না।
4:125 وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৫) অমান্ আহ্সানু দীনাম্ মিম্মান্ আস্লামা অজ্ব ্হাহূ লিল্লা-হি অহুঅ মুহ্সিনুওঁ অত্তাবা‘আ মিল্লাতা ইব্রা-হীমা হানিফা-; অত্তাখাযাল্লা-হু ইব্রাহীমা খালীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২৫) আর দীনের ব্যাপারে তার তুলনায় কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ অবস্থায় আল্লাহর কাছে নিজকে পূর্ণ সমর্পণ করল এবং একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের আদর্শ অনুসরণ করল? আর আল্লাহ ইবরাহীমকে পরম বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।
4:126 وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ مُحِيطًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৬) অলিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব্; অকা-নাল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িম মুহীত্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ৪.১২৬ আর যা আসমানসমূহে আছে এবং যা আছে যমীনে সব আল্লাহরই। আর আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টনকারী।
4:127 وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللَّاتِي لَا تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْوِلْدَانِ وَأَنْ تَقُومُوا لِلْيَتَامَى بِالْقِسْطِ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِهِ عَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৭) অ ইয়াস্তাফ্তূনাকা ফিন্নিসা – ই; ক্ব ুলিল্লা-হু ইয়ুফ্তীকুম্ ফীহিন্না অমা-ইয়ুত্লা-‘আলাইকুম্ ফিল্ কিতা-বি ফী ইয়াতা-মান্নিসা – য়িল লা-তী লা-তুতূনাহুন্না মা-কুতিবা লাহুন্না অর্তাগাবূনা আন্ তান্কিহূহুন্না অল্মুস্তাদ্ব ্‘আফীনা মিনাল্ ওয়িল্দা-নি অ ‘আন্ তাক্ব ূমূ লিল্ইয়াতা-মা- বিল্ক্বিস্ত্ব ্; অমা-তাফ্‘আলূ মিন্ খাইরিন্ ফাইন্নাল্লা-হা ‘কা-না বিহী ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২৭) তারা তোমার কাছে নারীদের ব্যাপারে সমাধান চায়। বল, আল্লাহ তাদের ব্যাপারে তোমাদেরকে সমাধান দিচ্ছেন এবং সমাধান দিচ্ছে ঐ আয়াতসমূহ যা কিতাবে তোমাদেরকে পাঠ করে শুনানো হয় ইয়াতীম নারীদের ব্যাপারে। যাদেরকে তোমরা প্রদান কর না যা তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে আগ্রহী হও। আর দুর্বল শিশুদের ব্যাপারে ও ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে। আর তোমরা যে কোন ভালো কাজ কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে পরিজ্ঞাত।
4:128 وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًا وَالصُّلْحُ خَيْرٌ وَأُحْضِرَتِ الْأَنْفُسُ الشُّحَّ وَإِنْ تُحْسِنُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৮) অ ইনিম্রায়াতুন্ খা-ফাত্ মিম্ বা’লিহা- নুশূযান্ আও‘ইরা-দ্বোয়ান্ ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইহিমা য় আইঁ ইয়ুছ্লিহা – বাইনাহুমা-ছুল্হা-; অছ্ছুল্হু খার্ই; অ উহ্দ্বিরাতিল্ আন্ফুসুশ্ শুহ্হা; অইন্ তুহ্সিনূ অতাত্তাক্ব ূ ফাইন্নাল্লা-হা কা-না বিমা- তা’মালূনা খাবীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২৮) যদি কোন নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে কোন দুর্ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তাহলে তারা উভয়ে কোন মীমাংসা করলে তাদের কোন অপরাধ নেই। আর মীমাংসা কল্যাণকর এবং মানুষের মধ্যে কৃপণতা বিদ্যমান রয়েছে। আর যদি তোমরা সৎকর্ম কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে আল্লাহ তোমরা যা কর সে বিষয়ে সম্যক অবগত।
4:129 وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১২৯) অলান্ তাস্তাত্বী‘ঊ’ য় আন্ তা’দিলূ বাইনান্নিসা – য়ি অলাও হারাছ্তুম্ ফালা-তামীলূ কুল্লাল্ মাইলি ফাতাযারূহা- কাল্ মু‘আল্লাক্বাহ্; অইন্ তুছ্লিহূ অতাত্তাক্ব ুফাইন্নাল্লা-হা কা-না গাফূরার রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১২৯) আর তোমরা যতই কামনা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে সমান আচরণ করতে কখনো পারবে না। সুতরাং তোমরা (একজনের প্রতি) সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না, যার ফলে তোমরা (অপরকে) ঝুলন্তের মত করে রাখবে। আর যদি তোমরা মীমাংসা করে নাও এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:130 وَإِنْ يَتَفَرَّقَا يُغْنِ اللَّهُ كُلًّا مِنْ سَعَتِهِ وَكَانَ اللَّهُ وَاسِعًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩০) অইঁইয়াতার্ফারাক্বা-ইয়ুগ্নিল্লা-হু কুল্লাম্ মিন্ সা-‘আত্বিহ্; অকা-নাল্লা-হু অ-সি‘আন্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩০) আর যদি তারা উভয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তবে আল্লাহ প্রত্যেককে নিজ প্রাচুর্য দ্বারা অভাবমুক্ত করবেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাবান।
4:131 وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَلَقَدْ وَصَّيْنَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَإِيَّاكُمْ أَنِ اتَّقُوا اللَّهَ وَإِنْ تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَانَ اللَّهُ غَنِيًّا حَمِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩১) অলিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব্; অলাক্বাদ্ অছ্ছোয়াইনাল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা মিন্ ক্বাব্লিকুম্ অইয়্যা-কুম্ আনিত্তাক্ব ুল্লা-হ্;, অ ইন্ তাক্ফুরূ ফাইন্না লিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি-অমা- ফিল্ র্আদ্ব; অকা-নাল্লা-হু গানিয়্যান্ হামীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩১) আল্লাহর জন্যই রয়েছে আসমানসমূহে যা আছে এবং যা আছে যমীনে। আর তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর যদি কুফরী কর তাহলে আসমানসমূহে যা আছে এবং যা আছে যমীনে সব আল্লাহরই। আর আল্লাহ অভাবহীন, প্রশংসিত।
4:132 وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩২) অলিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ আরদ্ব্; অকাফা-বিল্লা-হি অকীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩২) আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে, যা আছে আসমানসমূহে এবং যা আছে যমীনে। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
4:133 إِنْ يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ وَيَأْتِ بِآخَرِينَ وَكَانَ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ قَدِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৩) ইঁ ইয়াশা’ ইয়ুয্হিব্কুম্ আইয়্যুহান্না-সু অইয়াতি বিআ-খারীন্; অকা-নাল্লা-হু ‘আলা-যা-লিকা ক্বাদীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৩) হে মানুষ, যদি আল্লাহ চান তোমাদেরকে সরিয়ে দেবেন এবং অপরকে আনবেন। আর আল্লাহ এর উপর সক্ষম।
4:134 مَنْ كَانَ يُرِيدُ ثَوَابَ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ ثَوَابُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا بَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৪) মান্ কা-না ইয়ুরীদু ছাওয়া-বাদ্দুন্ইয়া-ফা‘ইন্দাল্লা-হি ছাওয়া বুদ্দুন্ইয়া-অল্আ-খিরাহ্; অ কা-নাল্ লা-হু সামী‘আম্ বাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৪) যে দুনিয়ার প্রতিদান চায় তবে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের প্রতিদান রয়েছে। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
4:135 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ بِالْقِسْطِ شُهَدَاءَ لِلَّهِ وَلَوْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ أَوِ الْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ إِنْ يَكُنْ غَنِيًّا أَوْ فَقِيرًا فَاللَّهُ أَوْلَى بِهِمَا فَلَا تَتَّبِعُوا الْهَوَى أَنْ تَعْدِلُوا وَإِنْ تَلْوُوا أَوْ تُعْرِضُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৫) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ কূনূ ক্বাওয়্যা-মীনা বিল্ক্বিস্তি শুহাদা – য়া লিল্লা-হি অলাও ‘আলা য় ‘আন্ফুসিকুম্ আওয়িল্অ-লিদাইনি অল্আক্ব্ ্রাবীনা ইঁ ইয়াকুন্ গানিয়্যান্ আও ফাক্বীরান্, ফাল্লা-হু আওলা-বিহিমা- ফালা-তাত্তবি‘উল্ হাওয়া য় আন্ তা’দিলূ অইন্ তাল্ঊ য় আও তু’রিদ্বূ, ফাইন্নাল্লা-হা কা-না বিমা-তা’মালূনা খাবীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৫) হে মুমিনগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর জন্য সাক্ষীরূপে। যদিও তা তোমাদের নিজদের কিংবা পিতা-মাতার অথবা নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে হয়। যদি সে বিত্তশালী হয় কিংবা দরিদ্র, তবে আল্লাহ উভয়ের ঘনিষ্ঠতর। সুতরাং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে তোমরা প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে- পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা এড়িয়ে যাও তবে আল্লাহ তোমরা যা কর সে বিষয়ে সম্যক অবগত।
4:136 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا آمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৬) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় আ-মিনূ বিল্লা-হি অ রাসূলিহী অল্ কিতাবিল্লাযী নায্যালা ‘আলা-রাসূলিহী অল্কিতা-বিল্লাযী য় আন্যালা মিন্ ক্বাব্ল্; অমাইঁ ইয়ার্ক্ফু বিল্লা-হি অমালা – য়িকাতিহী অকুতুবিহী অ রুসুলিহী অল্ ইয়াওমিল্ আ-খিরি ফাক্বাদ্ দ্বোয়াল্লা দ্বোয়ালা-লাম্ বা‘ঈদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৬) হে মুমিনগণ, তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসূলের প্রতি এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন। আর যে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনকে অস্বীকার করবে, সে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত হবে।
4:137 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا ثُمَّ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا ثُمَّ ازْدَادُوا كُفْرًا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৭) ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ ছুম্মা কাফারূ ছুম্মা আ-মানূ ছুম্মা কাফারূ ছুম্মায্ দা-দূ কুফ্রাল্লাম্ ইয়াকুনিল্লা-হু লিইয়াগ্ফিরা লাহুম্ অলা-লিইয়াহ্দিয়াহুম্ সাবীলা- ।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৭) নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে তারপর কুফরী করেছে, আবার ঈমান এনেছে তারপর কুফরী করেছে, এরপর কুফরীকে বাড়িয়ে দিয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করার নন এবং তাদেরকে পথ প্রদর্শন করার নন।
4:138 بَشِّرِ الْمُنَافِقِينَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৮) বাশ্শিরিল্ মুনা-ফিক্বীনা বিআন্না লাহুম্ ‘আযা-বান্ আলীমা-
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৮) মুনাফিকদের সুসংবাদ দাও যে, নিশ্চয় তাদের জন্যই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
4:139 الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ أَيَبْتَغُونَ عِنْدَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৩৯) নিল্লাযীনা ইয়াত্তাখিযূনাল্ কা-ফিরীনা আওলিয়া – য়া মিন্ দূনিল্ মুমিনীন্; আইয়াব্তাগূনা ‘ইন্দাহুমুল্ ‘ইয্যাতা ফাইন্নাল্ ‘ইয্যাতা লিল্লা-হি জ্বামী‘আ-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৩৯) যারা মুমিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়? অথচ যাবতীয় সম্মান আল্লাহর।
4:140 وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللَّهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللَّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪০) অক্বাদ্ নায্যালা আলাইকুম্ ফিল্ কিতা-বি আন্ ইযা-সামি’তুম্ আ-ইয়া-তিল্লা-হি ইয়ুক্ফারু বিহা -অইয়ুস্তাহ্যাউবিহা- ফালা-তাক্ব ্‘উদূ মা‘আহুম্ হাত্তা-ইয়াখূদ্বূ ফী হাদীছিন্ গাইরিহী য় ইন্নাকুম্ ইযাম্ মিছ্লুহুম্; ইন্নাল্লা-হা জ্বা-মি‘ঊল্ মুনা-ফিক্বীনা অল্কাফিরীনা ফী জ্বাহান্নামা জ্বামী‘আ-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪০) আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।
4:141 الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِنْ كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِنَ اللَّهِ قَالُوا أَلَمْ نَكُنْ مَعَكُمْ وَإِنْ كَانَ لِلْكَافِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُمْ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكَافِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪১) নিল্লাযীনা ইয়াতারাব্বাছূনা বিকুম্ ফাইন্ কা-না লাকুম্ ফাত্হুম্ মিনাল্লা- হি ক্বা-লূ য় আলাম্ নাকুম্ মা‘আকুম্, অইন্ কা-না লিল্কা-ফিরীনা নাছীবুন্ ক্বা-লূ য় আলাম্ নাস্তাহ্ওয়িয্ ‘আলাইকুম্ অনাম্না’কুম্ মিনাল্ মুমিনীন্; ফাল্লা-হু ইয়াহ্কুমু বাইনাকুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্ ; অলাইঁ ইয়াজ্ব ্‘আলাল্লা-হু লিল্কা-ফিরীনা ‘আলাল্ মুমিনীনা সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪১) যারা তোমাদের ব্যাপারে (অকল্যাণের) অপেক্ষায় থাকে, অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি তোমাদের বিজয় হয় তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না’? আর যদি কাফিরদের আংশিক বিজয় হয়, তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের উপর কর্তৃত্ব করিনি এবং মুমিনদের কবল থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করিনি’? সুতরাং আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে বিচার করবেন। আর আল্লাহ কখনো মুমিনদের বিপক্ষে কাফিরদের জন্য পথ রাখবেন না।
4:142 إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَى يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪২) ইন্নাল্ মুনা-ফিক্বীনা ইয়ুখা-দি‘ঊনাল্লা-হা অহুঅ খা-দি‘ঊহুম্ অইযা-ক্বা-মূ য় ইলাছ্ ছলা-তি ক্বা-মূ কুসা -লা-, ইয়ুরা – ঊনান্না-সা অলা- ইয়ায্কুরূনাল্লা-হা ইল্লা-ক্বালীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪২) নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়া। অথচ তিনি তাদের ধোঁকা (-এর জবাব) দান কারী। আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায় তখন অলসভাবে দাঁড়ায়, তারা লোকদেরকে দেখায় এবং তারা আল্লাহকে কমই স্মরণ করে।
4:143 مُذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَلِكَ لَا إِلَى هَؤُلَاءِ وَلَا إِلَى هَؤُلَاءِ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৩) মুযাব্যাবীনা বাইনা যা-লিক্;লা য় ইলা- হা য় উলা – য়ি অ লা য় ইলা-হা য় উলা-য়্; অমাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লা-হু ফালান্ তাজ্বিদা লাহূ সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪৩) তারা এর মধ্যে দোদুল্যমান, না এদের দিকে আর না ওদের দিকে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পাবে না।
4:144 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ أَتُرِيدُونَ أَنْ تَجْعَلُوا لِلَّهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৪) ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাত্তাখিযুল্ কা-ফিরীনা আওলিয়া – য়া মিন্ দূনিল্ মুুমিনীন্;আতুরীদূনা আন্ তাজ্ব‘আলূ লিল্লা-হি ‘আলাইকুম্ সুল্ত্বোয়া-নাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪৪) হে মুমিনগণ, তোমরা মুমিনগণ ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর জন্য তোমাদের বিপক্ষে কোন স্পষ্ট দলীল সাব্যস্ত করতে চাও?
4:145 إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৫) ইন্নাল্ মুনা-ফিক্বীনা ফির্দ্দাকিল্ আস্ফালি মিনান নার্-; অলান্ তাজ্বিদা লাহুম্ নাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪৫) নিশ্চয় মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। আর তুমি কখনও তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাবে না।
4:146 إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَاعْتَصَمُوا بِاللَّهِ وَأَخْلَصُوا دِينَهُمْ لِلَّهِ فَأُولَئِكَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ وَسَوْفَ يُؤْتِ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৬) ইল্লাল্লাযীনা তা-বূ অআস্লাহূ অ’তাছোয়ামূ বিল্লা-হি অ ‘আখ্লাছূ দীনাহুম্ লিল্লা-হি ফাউলা – য়িকা মা‘আল্ মুমিনীন্; অসাওফা ইয়ুতিল্লা-হুল্ মুমিনীনা আজ্ব ্রান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪৬) তবে যারা তাওবা করে নিজদেরকে শুধরে নেয়, আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে এবং আল্লাহর জন্য নিজদের দীনকে খালেস করে, তারা মুমিনদের সাথে থাকবে। আর অচিরেই আল্লাহ মুমিনদেরকে মহাপুরস্কার দান করবেন।
4:147 مَا يَفْعَلُ اللَّهُ بِعَذَابِكُمْ إِنْ شَكَرْتُمْ وَآمَنْتُمْ وَكَانَ اللَّهُ شَاكِرًا عَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৭) মা- ইয়াফ্‘আলুল্লা-হু বি‘আযা-বিকুম্ ইন্ শার্কাতুম্ অআ-মান্তুম্ ; অকা-নাল্লা-হু শা-কিরান্ ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪৭) যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং ঈমান আন তাহলে তোমাদেরকে আযাব দিয়ে আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ পুরস্কার দানকারী, সর্বজ্ঞ।
4:148 لَا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَنْ ظُلِمَ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৮) লা -ইয়ুহিব্বুল্লা-হুল্ জ্বাহ্রা বিস্স্ ূ- য়ি মিনাল্ ক্বাওলি ইল্লা-মান্ জুলিম্; অকা-নাল্লা-হু সামী‘আন্ ‘আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৪৮) মন্দ কথার প্রচার আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে কারো উপর যুলম করা হলে ভিন্ন কথা। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
4:149 إِنْ تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَنْ سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৪৯) ইন্ তুব্দূ খাইরান্ আও তুখ্ফূহু ‘আও তা’ফূ ‘আন্ সূ – য়িন্ ফাইন্নাল্লা-হা কা-না ‘আফুও ওয়ান্ ক্বাদীরা-।
বাংলা অনুবাদ ৪.১৪৯ যদি তোমরা ভালো কিছু প্রকাশ কর, কিংবা গোপন কর অথবা মন্দ ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, ক্ষমতাবান।
4:150 إِنَّ الَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَيُرِيدُونَ أَنْ يُفَرِّقُوا بَيْنَ اللَّهِ وَرُسُلِهِ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَنْ يَتَّخِذُوا بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫০) ইন্নাল্লাযীনা ইয়াক্ফুরূনা বিল্লা-হি অরুসুলিহী অইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়ুর্ফারিক্ব ূ বাইনাল্লা-হি অরুসুলিহী অইয়াক্ব ূলূনা নুমিনু বিবা’দ্বিওঁ অনাক্ফুরু বিবা’দ্বিওঁ অইয়ুরীদূনা আঁই ইয়াত্তাখিযূ বাইনা যা-লিকা সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫০) নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি’ এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায়।
4:151 أُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ حَقًّا وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫১) উলা – য়িকা হুমুল্ কা-ফিরূনা হাক্ব ্ক্বান্ অআ’তাদ্না-লিল্কা-ফিরীনা ‘আযা-বাম্ মুহীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫১) তারাই প্রকৃত কাফির এবং আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানকর আযাব।
4:152 وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَمْ يُفَرِّقُوا بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ أُولَئِكَ سَوْفَ يُؤْتِيهِمْ أُجُورَهُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫২) অল্লাযীনা আ-মানূ বিল্লা-হি অরুসুলিহী অলাম্ ইয়ুর্ফারিক্ব ু বাইনা আহাদিম্ মিনহুম্ উলা – য়িকা সাওফা ইয়ু’তীহিম্ উজ্ব ূরাহুম্ অকা-নাল্লা-হু গাফূর্রা রাহীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫২) আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাদের কারো মধ্যে পার্থক্য করেনি, তাদেরকে অচিরেই তিনি তাদের প্রতিদান দিবেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
4:153 يَسْأَلُكَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنْ تُنَزِّلَ عَلَيْهِمْ كِتَابًا مِنَ السَّمَاءِ فَقَدْ سَأَلُوا مُوسَى أَكْبَرَ مِنْ ذَلِكَ فَقَالُوا أَرِنَا اللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْهُمُ الصَّاعِقَةُ بِظُلْمِهِمْ ثُمَّ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ فَعَفَوْنَا عَنْ ذَلِكَ وَآتَيْنَا مُوسَى سُلْطَانًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৩) ইয়াস্আলুকা আহ্লুল্ কিতা-বি আন্ তুনায্যিলা ‘আলাইহিম্ কিতা-বাম্ মিনাস্ সামা-য়ি ফাক্বাদ্ সায়ালূ মূসা য় আক্বারা মিন্ যা-লিকা ফাক্বা-লূ য় আরিনাল্লা-হা জ্বাহ্রাতান্ ফাআখাযাত্হুমুছ্ ছোয়া-‘ইক্বাতু বিজুল্মিহিম্ ছুম্মাত্ তাখাযুল্ ‘ইজ্ব ্লা মিম্ বা’দি মা-জ্বা – য়াত্হুমুল্ বাইয়িনা-তু ফা‘আফাওনা ‘আন্ যা-লিকা অ আ-তাইনা মূসা-সুলত্বোয়া-নাম্ মুবীনা।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৩) কিতাবীগণ তোমার নিকট চায় যে, আসমান থেকে তুমি তাদের উপর একটি কিতাব নাযিল কর। অথচ তারা মূসার কাছে এর চেয়ে বড় কিছু চেয়েছিল, যখন তারা বলেছিল, ‘আমাদেরকে সামনাসামনি আল্লাহকে দেখাও’। ফলে তাদেরকে তাদের অন্যায়ের কারণে বজ্র পাকড়াও করেছিল। অতঃপর তারা বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করল, তাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণসমূহ আসার পরও। তারপর আমি তা ক্ষমা করে দিয়েছিলাম এবং মূসাকে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট প্রমাণ।
4:154 وَرَفَعْنَا فَوْقَهُمُ الطُّورَ بِمِيثَاقِهِمْ وَقُلْنَا لَهُمُ ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُلْنَا لَهُمْ لَا تَعْدُوا فِي السَّبْتِ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৪) অ রাফা’না ফাওক্বাহুমুত্ব ত্ব ূরা বিমীছা-ক্বিহিম্ অক্ব ুল্না- লাহুমুদ্ খুলুল্ বা-বা সুজ্জ্বাদাওঁ অক্ব ুল্না-লাহুম্ লা-তা’দূ ফিস্ সাব্তি অ ‘আখাযয্না- মিন্হুম্ মীছা-ক্বান্ গালীজোয়া-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৪) আর তাদের অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য তূরকে তাদের উপর তুলে ধরেছিলাম এবং তাদেরকে বলেছিলাম, ‘দরজায় প্রবেশ কর অবনত হয়ে’। তাদেরকে আমি আরও বলেছিলাম, ‘শনিবারে সীমালঙ্ঘন করো না’ এবং আমি তাদের কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম।
4:155 فَبِمَا نَقْضِهِمْ مِيثَاقَهُمْ وَكُفْرِهِمْ بِآيَاتِ اللَّهِ وَقَتْلِهِمُ الْأَنْبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَقَوْلِهِمْ قُلُوبُنَا غُلْفٌ بَلْ طَبَعَ اللَّهُ عَلَيْهَا بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৫) ফাবিমা-নাক্বদ্বিহিম্ মীছা-ক্বাহুম্ অকুফ্রিহিম বিআ-ইয়া -তিল্লা-হি অক্বাত্লিহিমুল্ আম্বিয়া – য়া বিগাইরি হাক্ব্ ্ক্বিওঁ অক্বাওলিহিম্ কুলূবুনা গুল্ফ্; বাল্ ত্বোয়াবা‘আল্লা-হু আলাইহা-বিকুফ্রিহিম্ ফালা- ইয়ুমিনূনা ইল্লা-ক্বালীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৫) অতঃপর (তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছিল) তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ, আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করা, অন্যায়ভাবে নবীগণকে হত্যা করা এবং এ কথা বলার কারণে যে, ‘আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছাদিত’। বরং আল্লাহ তাদের কুফরীর কারণে অন্তরের উপর মোহর এঁটে দিয়েছিলেন। সুতরাং স্বল্পসংখ্যক ছাড়া তারা ঈমান আনবে না।
4:156 وَبِكُفْرِهِمْ وَقَوْلِهِمْ عَلَى مَرْيَمَ بُهْتَانًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৬) অবিকুফ্রিহিম্ অক্বাওলিহিম্ ‘আলা-মারাইয়ামা বুহ্তানান্ ‘আজীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৬) আর তাদের কুফরীর কারণে এবং মারইয়ামের বিরুদ্ধে মারাত্মক অপবাদ দেয়ার কারণে।
4:157 وَقَوْلِهِمْ إِنَّا قَتَلْنَا الْمَسِيحَ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ رَسُولَ اللَّهِ وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَكِنْ شُبِّهَ لَهُمْ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِيهِ لَفِي شَكٍّ مِنْهُ مَا لَهُمْ بِهِ مِنْ عِلْمٍ إِلَّا اتِّبَاعَ الظَّنِّ وَمَا قَتَلُوهُ يَقِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৭) অক্বাওলিহিম্ ইন্না-ক্বাতাল্নাল্ মাসীহা‘ঈসাব্না র্মাইয়ামা রাসূলাল লা-হি অমা-ক্বাতালূহু অমা-ছলাবূহু অলা-কিন্ শুব্বিহা লাহুম্; অইন্নাল্লাযীনাখ্ তালাফূ ফীহি লাফী শাক্কিম্ মিন্হু;মা-লাহুম্ বিহী মিন্ ‘ইল্মিন্ ইল্লাত্তিবা-‘আজ্ জোয়ান্নি অমা-ক্বাতালূহু ইয়াক্বীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৭) এবং তাদের (এই) কথার কারণে যে, ‘আমরা আল্লাহর রাসূল মারইয়াম পুত্র ঈসা মাসীহকে হত্যা করেছি’। অথচ তারা তাকে হত্যা করেনি এবং তাকে শূলেও চড়ায়নি। বরং তাদেরকে ধাঁধায় ফেলা হয়েছিল। আর নিশ্চয় যারা তাতে মতবিরোধ করেছিল, অবশ্যই তারা তার ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে ছিল। ধারণার অনুসরণ ছাড়া এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই। আর এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করেনি।
4:158 بَلْ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৮) র্বা রাফা‘আহুল্লা-হু ইলাইহ্; অকা-নাল্লা-হু ‘আযীযান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৮) বরং আল্লাহ তাঁর কাছে তাকে তুলে নিয়েছেন এবং আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
4:159 وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ
إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫৯) অইম্মিন্ আহ্লিল্ কিতা-বি ইল্লা- লাইয়ুমিনান্না বিহী ক্বাব্লা মাওতিহী অইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ইয়াকূনু ‘আলাইহিম্ শাহীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫৯) কিতাবীদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে তার মৃত্যুর পূর্বে তার প্রতি ঈমান আনবে না এবং কিয়ামতের দিনে সে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবে।
4:160 فَبِظُلْمٍ مِنَ الَّذِينَ هَادُوا حَرَّمْنَا عَلَيْهِمْ طَيِّبَاتٍ أُحِلَّتْ لَهُمْ وَبِصَدِّهِمْ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ كَثِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬০) ফাবিজুল্মিম্ মিনাল্লাযীনা হা-দূ র্হারাম্না- ‘আলাইহিম্ ত্বোয়াইয়্যিবা-তিন্ উহিল্লাত্ লাহুম্ অবিছোয়াদ্দিহিম্ ‘আন সাবীলিল্লা-হি কাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬০) সুতরাং ইয়াহূদীদের যুলমের কারণে আমি তাদের উপর উত্তম খাবারগুলো হারাম করেছিলাম, যা তাদের জন্য হালাল করা হয়েছিল এবং আল্লাহর রাস্তা থেকে অনেককে তাদের বাধা প্রদানের কারণে।
4:161 وَأَخْذِهِمُ الرِّبَا وَقَدْ نُهُوا عَنْهُ وَأَكْلِهِمْ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ مِنْهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬১) অআখ্যিহির্মু রিবা-অক্বাদ্ নুহূ‘আন্হু অআক্লিহিম্ আম্ওয়া-লান্ না-সি বিল্বা-ত্বিল্; অআ’তাদ্না-লিল্কা-ফিরীনা মিন্হুম্ ‘আযা-বান্ আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬১) আর তাদের সুদ গ্রহণের কারণে, অথচ তা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং অবৈধভাবে মানুষের সম্পদ খাওয়ার কারণে। আর আমি তাদের মধ্য থেকে কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
4:162 لَكِنِ الرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ مِنْهُمْ وَالْمُؤْمِنُونَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَالْمُقِيمِينَ الصَّلَاةَ وَالْمُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالْمُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أُولَئِكَ سَنُؤْتِيهِمْ أَجْرًا عَظِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬২) লা-কির্নি র-সিখূনা ফিল্‘ ‘ইল্মি মিন্হুম্ অল্ মুমিনূনা ইয়ুমিনূনা বিমা য় উন্যিলা ইলাইকা অমা য় উন্যিলা মিন্ ক্বব্লিকা অল্ মুক্বীমীনাছ্ ছলা -তা অল্ মুতূনায্ যাকা-তা অল্মুমিনূনা বিল্লা-হি অল্ ইয়াওমিল্ আ-র্খি; করে নামায, যাকাত দেয়, যারা আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে তাদেরকে উলা – য়িকা, সানুতীহিম্ আজ্ব ্রান্ ‘আজীমা-
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬২) কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে পরিপক্ক এবং মুমিনগণ- যারা তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং যা নাযিল হয়েছে তোমার পূর্বে- তাতে ঈমান আনে। আর যারা সালাত প্রতিষ্ঠাকারী ও যাকাত প্রদানকারী এবং আল্লাহ ও শেষ দিনে ঈমান আনয়নকারী, তাদেরকে অচিরেই আমি মহাপুরস্কার প্রদান করব।
4:163 إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَعِيسَى وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَارُونَ وَسُلَيْمَانَ وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৩) ইন্না য় আওহাইনা য় ইলাইকা কামা য় আওহাইনা য় ইলা-নূহিওঁ অন্নাবিয়্যীনা মিম্ বা’দিহী অ আওহাইনা য় ইলা য় ইব্রা-হীমা অইস্মা-‘ঈলা অইস্হা-ক্বা অ ইয়া’ক্ব ূবা অল্ আসবা-ত্বি অ‘ঈসা-অআইয়্যূবা অইয়ূনুসা অহা-রূনা অসুলাইমা-না অ আ-তাইনা- দা-ঊদা যাবূর-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৩) নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ওহী পাঠিয়েছি, যেমন ওহী পাঠিয়েছি নূহ ও তার পরবর্তী নবীগণের নিকট এবং আমি ওহী পাঠিয়েছি ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়া‘কূব, তার বংশধরগণ, ঈসা, আইয়ূব, ইউনুস, হারূন ও সুলায়মানের নিকট এবং দাঊদকে প্রদান করেছি যাবূর।
4:164 وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَاهُمْ عَلَيْكَ مِنْ قَبْلُ وَرُسُلًا لَمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৪) অরুসুলান্ ক্বাদ্ ক্বাছোয়াছ্না-হুম্ ‘আলাইকা মিন্ ক্বব্লু অরুসুলাল্লাম্ নাক্ব ্ছুছ্হুম্ ‘আলাইক্ ; অকাল্লামাল্লা-হু মূসা-তাক্লীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৪) আর অনেক রাসূল, যাদের বর্ণনা তোমাকে পূর্বে দিয়েছি এবং অনেক রাসূল, যাদের বর্ণনা তোমাকে দেইনি আর আল্লাহ মূসার সাথে সুস্পষ্টভাবে কথা বলেছেন।
4:165 رُسُلًا مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৫) রুসুলাম্ মুবাশ্শিরীনা অমুন্যিরীনা লিআল্লা-ইয়াকূনা লিন্না-সি ‘আলাল্লা-হি হুজ্জাতুম্ বা’র্দা রুসুল্; অকা-নাল্লা-হু ‘আযীযান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৫) আর (পাঠিয়েছি) রাসূলগণকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, যাতে আল্লাহর বিপক্ষে রাসূলদের পর মানুষের জন্য কোন অজুহাত না থাকে। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
4:166 لَكِنِ اللَّهُ يَشْهَدُ بِمَا أَنْزَلَ إِلَيْكَ أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৬) লা-কিনিল্লা-হু ইয়াশ্হাদু বিমা য় আন্যালা ইলাইকা আন্যালাহূ বি‘ইল্মিহী অল্ মালা – য়িকাতু ইয়াশ্হাদূন্; অকাফা-বিল্লা-হি শাহীদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৬) কিন্তু আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, যা তোমার নিকট তিনি নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে। তিনি তা নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতারাও সাক্ষ্য দিচ্ছে। আর আল্লাহই সাক্ষীরূপে যথেষ্ট।
4:167 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ قَدْ ضَلُّوا ضَلَالًا بَعِيدًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৭) ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ অছোয়াদ্দূ ‘আন্ সাবীলিল্লা-হি ক্বদ্ দ্বোয়াল্ল ূ দ্বোয়ালা-লাম্ বা‘ঈদা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৭) নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর পথ থেকে বাধা দিয়েছে, তারা অবশ্যই চূড়ান্তভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছে।
4:168 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَظَلَمُوا لَمْ يَكُنِ اللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ طَرِيقًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৮) ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ অজোয়ালামূ লাম্ ইয়াকুনিল্লা-হু লিইয়াগ্ফিরা লাহুম্ অলা-লিইয়াহ্দিয়াহুম্ ত্বোয়ারীক্ব-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৮) নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং যুলম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোন পথ দেখাবেন না।
4:169 إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৬৯) ইল্লা-ত্বোয়ারীক্বা জ্বাহন্নামা খা-লিদীনা ফীহা য় আবাদা-; অকা-না যা -লিকা আলাল্লা-হি ইয়াসীর-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৬৯) জাহান্নামের পথ ছাড়া। তারা তাতে স্থিায়ী হবে এবং তা আল্লাহর জন্য সহজ।
4:170 يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الرَّسُولُ بِالْحَقِّ مِنْ رَبِّكُمْ فَآمِنُوا خَيْرًا لَكُمْ وَإِنْ تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭০) ইয়া য় আইয়্যুহান্না-সু ক্বাদ্ জ্বা – য়াকুর্মু রাসূলু বিল্ হাক্বক্বি র্মি রব্বিকুম্ ফাআ-মিনূ খাইরল্লাকুম্; অইন্ তাক্ফুরূ ফাইন্না লিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ আরদ্ব্; অকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান্ হাকীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭০) হে মানুষ, অবশ্যই তোমাদের নিকট রাসূল এসেছে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য নিয়ে। সুতরাং তোমরা ঈমান আন, তা তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যদি কুফরী কর, তবে নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনে যা রয়েছে, তা আল্লাহর জন্যই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
4:171 يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ انْتَهُوا خَيْرًا لَكُمْ إِنَّمَا اللَّهُ إِلَهٌ وَاحِدٌ سُبْحَانَهُ أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭১) ইয়া য় আহলাল্ কিতা-বি লা-তাগ্লূ ফী দীনিকুম্ অলা-তাক্ব ূলূ ‘আলাল্লা-হি ইল্লাল্ হাক্ব্; ইন্নামাল্ মাসীহু ‘ঈসাব্নু র্মাইয়ামা রাসূলুল্লা-হি অকালিমাতুহূ আল্ক্বা-হা য় ইলা-র্মাইয়ামা অরূহুম্ মিন্হু ফাআ-মিনূ বিল্লা-হি অরুসুলিহী অলা-তাক্ব ূলূ ছালা-ছাহ্; ইন্তাহূ খাইরল্লাকুম্; ইন্নামাল্লা-হু ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদ্; সুবহা-নাহূ য় আইঁ ইয়াকূনা লাহূ অলাদ্ । লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব্; অকাফা-বিল্লা-হি অকীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭১) হে কিতাবীগণ, তোমরা তোমাদের দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর উপর সত্য ছাড়া অন্য কিছু বলো না। মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ঈসা কেবলমাত্র আল্লাহর রাসূল ও তাঁর কালিমা, যা তিনি প্রেরণ করেছিলেন মারইয়ামের প্রতি এবং তাঁর পক্ষ থেকে রূহ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন এবং বলো না, ‘তিন’। তোমরা বিরত হও, তা তোমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহই কেবল এক ইলাহ, তিনি পবিত্র মহান এ থেকে যে, তাঁর কোন সন্তান হবে। আসমানসমূহে যা রয়েছে এবং যা রয়েছে যমীনে, তা আল্লাহরই। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
4:172 لَنْ يَسْتَنْكِفَ الْمَسِيحُ أَنْ يَكُونَ عَبْدًا لِلَّهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ وَمَنْ يَسْتَنْكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭২) লাইঁ ইয়াস্তান্কিফাল্ মাসীহু আইঁ ইয়াকূনা ‘আব্দাল্ লিল্লা-হি অলাল্ মালা – য়িকাতুল্ মুর্ক্বারাবূন্; অমাইঁ ইয়াস্তান্কিফ্ ‘আন্ ‘ইবা-দাতিহী অইয়াস্ তার্ক্বি ফাসাইয়াহ্শুরুহুম্ ইলাইহি জ্বামী‘আ-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭২) মাসীহ কখনো আল্লাহর বান্দা হতে (নিজকে) হেয় মনে করে না এবং নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারাও না আর যারা তাঁর ইবাদাতকে হেয় জ্ঞান করে এবং অহঙ্কার করে, তবে অচিরেই আল্লাহ তাদের সবাইকে তাঁর নিকট সমবেত করবেন।
4:173 فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَأَمَّا الَّذِينَ اسْتَنْكَفُوا وَاسْتَكْبَرُوا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَلَا يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭৩) ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি ফাইয়ুওয়াফ্ফীহিম্ উজ্ব ূরাহুম্ অইয়াযীদুহুম্ মিন্ ফাদ্ব্লিহী অআম্মাল্লাযীনাস্ তান্কাফূ অস্তাক্বারূ ফাইয়ু‘আয্যিবুহুম্ ‘আযা-বান্ আলীমাওঁ অলা-ইয়াজ্বিদূনা লাহুম্ মিন্ দূনিল্লা-হি অলিয়্যাওঁ অলা-নাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭৩) পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে তাদের পুরস্কার পরিপূর্ণ দেবেন এবং তাঁর অনুগ্রহে তাদেরকে বাড়িয়ে দেবেন। আর যারা হেয় জ্ঞান করেছে এবং অহঙ্কার করেছে, তিনি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তারা তাদের জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
4:174 يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمْ بُرْهَانٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ نُورًا مُبِينًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭৪) ইয়া য় আইয়া্যুহান্না-সু ক্বাদ্ জ্বা – য়াকুম্ বুরহা-নুম্ র্মি রব্বিকুম্ অআন্যাল্না য় ইলাইকুম্ নূরাম্ মুবীনা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭৪) হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট প্রমাণ এসেছে এবং আমি তোমাদের নিকট স্পষ্ট আলো নাযিল করেছি।
4:175 فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَاعْتَصَمُوا بِهِ فَسَيُدْخِلُهُمْ فِي رَحْمَةٍ مِنْهُ وَفَضْلٍ وَيَهْدِيهِمْ إِلَيْهِ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭৫) ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূ বিল্লা-হি অ’তাছোয়ামূ বিহী ফাসাইয়ুদ্খিলুহুম্ ফী রহ্মাতিম্ মিন্হু অফাদ্ব্লিওঁ অইয়াহ্দীহিম্ ইলাইহি ছিরা-ত্বোয়াম্ মুস্তাক্বীমা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭৫) অতঃপর যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাকে আঁকড়ে ধরেছে তিনি অবশ্যই তাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে দয়া ও অনুগ্রহে প্রবেশ করাবেন এবং তাঁর দিকে সরল পথ দেখাবেন।
4:176 يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلَالَةِ إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ وَهُوَ يَرِثُهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ فَإِنْ كَانَتَا اثْنَتَيْنِ فَلَهُمَا الثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَ وَإِنْ كَانُوا إِخْوَةً رِجَالًا وَنِسَاءً فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ أَنْ تَضِلُّوا وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৭৬) ইয়াস্তাফ্তূনাক্;ক্ব ুলিল্লা-হু ইয়ুফ্তীকুম্ ফিল্ কালা-লাহ্;ইনিম্রুউন্ হালাকা লাইসা লাহূ অলাদুওঁ অলাহূ য় উখ্তুন্,্ ফালাহা-নিছ্ফু মা-তারাকা অহুওয়া ইয়ারিছুহায় ইল্লাম্ ইয়াকুল্লাহা-অলাদ্ ;ফাইন্ কা-নাতাছ্্ নাতাইনি ফালাহুমাছ্ ছুলুছা-নি মিম্মা- তারাক্; অইন্ কা-নূ য় ইখ্ওয়ার্তা রিজ্বা-লাওঁ অনিসা – য়ান্ ফালিয্ যাকারি, মিছ্লু হাজ্জিল উন্ছাইয়াইন্; ইয়ুবাইয়্যিনুল্লা-হু লাকুম্ আন্ তাদ্বিল্ল ; অল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৭৬) তারা তোমার কাছে সমাধান চায়। বল, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে সমাধান দিচ্ছেন ‘কালালা’ সম্পর্কে। কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় এমন অবস্থায় যে, তার কোন সন্তান নেই এবং তার এক বোন রয়েছে, তবে সে যা রেখে গিয়েছে বোনের জন্য তার অর্ধেক, আর সে (মহিলা) যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে। কিন্তু যদি তারা (বোনেরা) দু’জন হয়, তবে সে যা রেখে গিয়েছে তাদের জন্য তার দুই তৃতীয়াংশ। আর যদি তারা কয়েক ভাই বোন পুরুষ ও নারী হয়, তবে পুরুষের জন্য দুই নারীর অংশের সমান হবে’। আল্লাহ তোমাদেরকে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যাতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হও এবং আল্লাহ প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সর্বজ্ঞ।
সূরা নিসা আয়াত ১৫০
4:150 إِنَّ الَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَيُرِيدُونَ أَنْ يُفَرِّقُوا بَيْنَ اللَّهِ وَرُسُلِهِ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَنْ يَتَّخِذُوا بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا
বাংলা উচ্চারণ
৪.১৫০) ইন্নাল্লাযীনা ইয়াক্ফুরূনা বিল্লা-হি অরুসুলিহী অইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়ুর্ফারিক্ব ূ বাইনাল্লা-হি অরুসুলিহী অইয়াক্ব ূলূনা নুমিনু বিবা’দ্বিওঁ অনাক্ফুরু বিবা’দ্বিওঁ অইয়ুরীদূনা আঁই ইয়াত্তাখিযূ বাইনা যা-লিকা সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ
৪.১৫০) নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি’ এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায়।
সুরা নিসা তাফসির
হাদিস নাম্বার ৩০১৫
মুহাম্মদ ইবনিল মুনকাদির [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি অসুস্থ হলে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে দেখিতে আসেন। আমি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। আমার চেতনা ফিরে পাওয়ার পর আমি বললাম, আমি আমার ধন-সম্পদ প্রসঙ্গে কিভাবে সিদ্ধান্ত করব? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার বিষয়ে নীরব থাকলেন। তারপর আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “আল্লাহ তাআলা তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ এক পুরুষের [পুত্রের] অংশ দুজন মহিলার [কন্যার] সমান” – [সূরা আন –নিসা ১১]।
সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ [২৭২৮], বোখারি [৪৫৭৭], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি মুহাম্মদ ইবনিল মুনকাদির হইতে একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করিয়াছেন। আল – ফাযল ইবনিস সাব্বাহ আল – বাগদাদী-সুফইয়ান ইবনি উয়াইনাহ হইতে, তিনি মুহাম্মদ ইবনিল মুনকাদির হইতে, তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। আল – ফাযল ইবনিস সাব্বাহর হাদীসে এ হাদীসের চেয়ে আরো বেশী বর্ণনা আছে।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০১৬
আবু সাঈদ আল –খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কয়েকজন মহিলা আওতাস যুদ্ধের দিন আমাদের হস্তগত হয়, যাদের স্বামীরা মুশরিকদের মধ্যে বর্তমান ছিল। তাই ঐ সব মহিলাকে আমাদের কিছু সংখ্যক লোক অপছন্দ করিল। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন : “এবং নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ” – [সূরা আন –নিসা ২৪]।
সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ [১৮৭১], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০১৭
আবু সাঈদ আল –খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আওতাস যুদ্ধের দিন কয়েকজন বন্দী মহিলা আমাদের হাতে আসে যাদের স্বামীরা তাহাদের সম্প্রদায়ে বর্তমান ছিল। সাহাবীগণ বিষয়টি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে অবহিত করেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “এবং নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীগণ ব্যতীত সকল সধবা নারী তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ” – [সূরা আন –নিসা ২৪]।
সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। সুফইয়ান সাওরী [রঃ]এভাবে উসমান আল –বাত্তী হইতে, তিনি আবুল খালীল হইতে, তিনি আবু সাঈদ আল –খুদরী [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করিয়াছেন। অবশ্য এ হাদীসে আবু আলক্বামার উল্লেখ নেই। ক্বাতাদাহ [রঃ]এর সূত্রে হাম্মাম ব্যতীত অপর কেউ এ হাদীসের সনদে আবু আলক্বামার উল্লেখ করিয়াছেন বলে আমার জানা নেই। আবুল খালীলের নাম সালিহ ইবনি আবু মারইয়াম।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০১৮
আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] কাবীরা গুনাহ প্রসঙ্গে বলেনঃ তা হচ্ছে আল্লাহ তাআলার সাথে শারীক করা, বাবা-মার অবাধ্য হওয়া, নরহত্যা করা ও মিথ্যা বলা।
সহীহ : গাইয়াতুল মারাম [২৭৭], বোখারি ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। রাওহ ইবনি উবাদাহ [রঃ]শুবাহ [রঃ]হইতে এটি বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি সনদে [বর্ণনাকারীর নাম উবাইদুল্লাহ ইবনি আবু বাকর -এর পরিবর্তে] আবদুল্লাহ ইবনি আবু বাকর বলেছেন, তা সঠিক নয়।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০১৯
আবদুর রাহমান ইবনি আবু বাকরাহ [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
তাহাঁর বাবার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেলেন : আমি কি সবচাইতে মারাত্মক কবীরা গুনাহগুলো প্রসঙ্গে তোমাদেরকে অবহিত করবো না? সাহাবীগণ বলিলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলার সাথে অংশীদার স্থাপন, বাবা-মার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, এবার উঠে সোজা হয়ে বসে বললেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা কথা বলা। আবু বাকর [রাদি.] বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ কথাটি বারবার বলে যাচ্ছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, আহা! তিনি যদি চুপ হইতেন।
সহীহ : প্রাগুক্ত, বোখারি, মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২০
আবদুল্লাহ ইবনি উনাইস আল – জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মারাত্মক মারাত্মক কাবীরা গুনাহ হল – আল্লাহ তাআলার সাথে অংশীদার স্থাপন করা, বাবা-মার নাফারমানী করা এবং মিথ্যা শপথ করা। কেউ আল্লাহ তাআলার নামে অপরিবর্তনীয় ও অবশ্যম্ভাবীরূপে প্রযুক্ত হওয়ার মত শপথ করলে এবং তাতে মশার পাখা বরাবর নগণ্য মিথ্যাও যোগ করলে তা তার অন্তরে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত একটি কলংকময় দাগ হয়ে বিরাজিত থাকিবে।
হাসান : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী [৩৭৭৭]।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবু উমামা আল – আনসারী [রাদি.] হলেন সালাবার ছেলে। তার নাম আমাদের জানা নেই। তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে বেশ কিছু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২১
আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কাবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ তাআলার সাথে অংশীদার স্থাপন করা, বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়া, অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা শপথ করা। বর্ণনাকারী শুবাহর সন্দেহ যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] শেষোক্ত দুটি কথার কোনটি বলেছেন।
সহীহ : বোখারি।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২২
মুজাহিদ [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
উম্মু সালামাহ [রাদি.] বলেন, পুরুষরা জিহাদ করে কিন্তু মহিলারা জিহাদ করে না। মীরাসের [উত্তরাধিকার] ক্ষেত্রেও মহিলারা [পুরুষের তুলনায়] অর্ধেক পায়। এ প্রসঙ্গেই কল্যাণময় আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “আল্লাহ তাআলা যদ্দারা তোমাদের কাউকে অপর কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করিয়াছেন, তোমরা তার লোভ করো না। যা পুরুষ অর্জন করেছে তা তার প্রাপ্য অংশ আর নারী যা অর্জন করিয়াছেন তা তার প্রাপ্য অংশ। তোমরা আল্লাহ তাআলার নিকট তার অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়ই সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ” – [সূরা আন – নিসা ৩২]। মুজাহিদ [রঃ]বলেন, একই প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াতও অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ ও ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, লজ্জাস্থান হিফাযাতকারী পুরুষ ও লজ্জাস্থান হিফাযাতকারী নারী, আল্লাহ তাআলাকে বেশী স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহ তাআলাকে বেশী স্মরণকারী নারী এদের জন্য আল্লাহ তাআলা রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান” – [সূরা আল –আহযাব ৩৫]। উম্মু সালামাহ [রাদি.]-ই ছিলেন মাদীনায় হিজরতকারিনী প্রথম মহিলা।
সনদ সহীহ।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুরসাল। কেউ কেউ ইবনি আবু নাজীহ কর্তৃক মুজাহিদ [রঃ]সূত্রে এটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন যে, উম্ম সালামা [রাদি.] একই কথা বলেছেন।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৩
উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তাআলা স্ত্রীলোকদের হিজরাত প্রসঙ্গে উল্লেখ করিয়াছেন বলে আমি শুনিনি। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “আমি তোমাদের মধ্যে কর্মে নিষ্ঠ কোন নর বা নারীর কাজকে বিফল করি না। তোমরা একে অপরের অংশ। অতএব যারা হিজরাত করেছে, নিজেদের আবাস হইতে উৎখাৎ হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে …..” – [সূরা আ-লি ইমরান ১৯৫]।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৪
আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে হুকুম দিলেন তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনানোর জন্য। তখন তিনি মিম্বরে বসা ছিলেন। আমি তাঁকে সূরা আন – নিসা হইতে তিলাওয়াত করে শুনালাম। আমি যখন এ আয়াত পর্যন্ত পৌছলাম [অনুবাদ] : “আমি যখন প্রত্যেক উম্মাত হইতে একজন করে সাক্ষী হাযির করব এবং তোমাকে তাহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করব, তখন কি অবস্থা হইবে?” [সূরা আন – নিসা ৪১], তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে তাহাঁর হাত দিয়ে চাপ দেন। আমি তাহাঁর প্রতি তাকিয়ে দেখলাম, তাহাঁর দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।
সনদ সহীহ।
আবু ঈসা বলেন, আবুল আহওয়াস [রঃ]আমাশ হইতে, তিনি ইবরাহীম হইতে, তিনি আলক্বামাহ হইতে, তিনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে এই সূত্রে এরূপই বর্ণনা করিয়াছেন। মূলত তা হবেঃ ইবরাহীম-উবাইহাদ হইতে, তিনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৫
আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমাকে কুরআন হইতে তিলাওয়াত করে শুনাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপরই তো কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, আর আমি আপনাকে তা তিলাওয়াত করে শুনাব! তিনি বললেনঃ অন্যের তিলাওয়াত শুনতে আমি পছন্দ করি। অতএব আমি সূরা আন – নিসা তিলাওয়াত করিতে শুরু করলাম। আমি পাঠ করিতে করিতে যখন [অনুবাদ] : “এবং আমি তোমাকে তাহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরুপে উপস্থিত করব”, তখন নাবী [সাঃআঃ] এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাহাঁর দুই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
সহীহ : বোখারি [৪৫৮২], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ রিওয়ায়াতটি আবুল আহওয়াসের হাদীসের তুলনায় অনেক বেশী সহীহ। সুওয়াইদ ইবনি নাসর – ইবনিল মুবারাক হইতে, তিনি সুফইয়ান হইতে, তিনি আমাশ [রঃ]হইতে মুআবিয়াহ ইবনি হিশামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৬
আলী ইবনি আবী তালিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনি আওফ [রাদি.] আমাদের জন্য খাবারের আয়োজন করিলেন এবং আমাদেরকে দাওয়াত করে শরাব পান করান। আমাদেরকে এই শরাবের নেশায় ধরে। ইতোমধ্যে নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়। লোকজন আমাকেই ইমামতি করিতে এগিয়ে দেয়। আমি পাঠ করলাম : “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন। লা আবুদু মা তাবুদূন। ওয়া নাহনু নাবুদু মা তাবুদূন”। অর্থাৎ “ওয়ালা নাবুদু” [তোমরা যাদের ইবাদাত কর আমরা তাহাদের ইবাদাত করি না] – এর স্থলে আমি “ওয়া নাহনু নাবুদু মা তাবুদূন” [তোমরা যাদের ইবাদাত কর, আমরাও তাহাদের ইবাদাত করি] পড়ে ফেললাম। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটেও যেয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার” [সূরা আন – নিসা ৪৩]।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৭
আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন যে, কংকরময় হাররা এলাকার একটি [পানিসেচের] নালা নিয়ে এক আনসারীর সাথে তার ঝগড়া বাধে। উক্ত নালার মাধ্যমে তারা খেজুর বাগানে পানি দিতেন। আনসারী বলিলেন, পানি আসতে নালাটি আপনি ছেড়ে দিন। যুবাইর [রাদি.] তা মানলেন না। দুজনেই বিষয়টি নিয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হলেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুবাইর [রাদি.] কে বললেনঃ হে যুবাইর! তোমার বাগানে পানি দিয়ে তোমার প্রতিবেশীর জন্য পানি ছেড়ে দিও। এতে আনসারী ব্যক্তি রাগান্বিত হয়ে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইনি আপনার ফুফাতো ভাই বলেই [এরূপ ফাইসালা করছেন]। এ কথায় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তুমি তোমার বাগানের পানি প্রবাহিত করে আলগুলো পর্যন্ত পানি জমা না হওয়া পর্যন্ত নালা অন্যত্র প্রবাহিত হইতে দিবে না। যুবাইর [রাদি.] বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে হয় এ ঘটনা প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “কিন্তু না, তোমার প্রভুর শপথ! তারা ঈমানদার হইতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাহাদের পারস্পরিক মতভেদের ব্যাপারসমূহের বিচারভার তোমার উপর অর্পন না করে….” [সূরা আন –নিসা ৬৫]।
সহীহ : বোখারি [৪৫৮৫], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, আমি মুহাম্মদ [বোখারি]- কে বলিতে শুনিয়াছি, ইবনি ওয়াহব [রঃ]এ হাদীসটি লাইস ইবনি সাদ হইতে এবং ইউনুস [রঃ]যুহরী হইতে, তিনি উরওয়া হইতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.] হইতে, এই সূত্রে উক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। অপর দিকে শুআইব ইবনি আবী হামযাহ [রঃ]যুহরী হইতে, তিনি উরওয়াহ হইতে, তিনি যুবাইর [রাদি.] হইতে, এই সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন, কিন্তু তাতে আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.] এর উল্লেখ করেননি।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৮
যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
“তোমাদের কি হল যে, মুনাফিক্বদের প্রসঙ্গে তোমরা দুই দল হয়ে গেলে…..” – [সূরা আন – নিসা ৮৮] আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উহূদ যুদ্ধের দিন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাহাবীদের [মুসলিম বাহিনীর] মধ্য হইতে কিছু সংখ্যক লোক [যুদ্ধক্ষেত্র হইতে] ফিরে আসে। তাহাদের প্রসঙ্গে সাহাবীগণ দুই দলে বিভক্ত হয়ে যান। এক দলের বক্তব্য ছিল, তাহাদেরকে হত্যা কর। অন্য দলের মত ছিল, তাহাদেরকে হত্যার প্রয়োজন নেই। এ প্রসঙ্গে এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “তোমাদের কি হল যে, মুনাফিক্বদের ব্যাপারে তোমরা দুই দল হয়ে গেলে….” -[সূরা আন –নিসা ৮৮]। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ মাদীনা হল তাইবাহ-পবিত্র নগরী। তা ময়লা আবর্জনা [অপবিত্রতা মুনাফিক্বী] এমনভাবে দূর করে দেয় যেভাবে আগুন লোহার ময়লা দূর করে দেয়।
সহীহ : বোখারি [৪৫৮৯], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াযীদ হলেন একজন আনসারী আল –খাত্বমী, তিনি নাবী [সাঃআঃ] এর সাহচার্য পেয়েছেন।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০২৯
ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন নিহত ব্যক্তি নিজ হাতে তার হত্যাকারীকে তার কপালের চুল ও মাথা ধরে নিয়ে আসবে। তার ঘাড়ের কর্তিত রগসমূহ হইতে রক্ত বের হইতে থাকিবে। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! এ লোক আমাকে হত্যা করেছে। এমনকি সে তার হত্যাকারীকে নিয়ে আরশের নিকট পৌছে যাবে। আমর ইবনি দীনার বলেন, লোকেরা ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর নিকট [হত্যাকারীর] তাওবার বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন [অনুবাদ] : “কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং আল্লাহ তাআলা তার প্রতি রুষ্ট হইবেন, তাকে অভিসম্পাত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন” – [সূরা আন – নিসা ৯৩]। তিনি বলেন, এ আয়াত মানসূখও হয়নি বা তার বিধান পরিবর্তিতও হয়নি। অতএব তার আর তাওবা কিসের।
সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী [৩৪৬৫], তালীকুর রাগীব [৩/২০৩]।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান [গারীব]। কেউ কেউ এ হাদীসটি আমর ইবনি দীনার হইতে, তিনি ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু তা মারফূ হিসেবে নয়।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩০
ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সুলাইম বংশের এক লোক তার এক পাল ছাগল নিয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর এক দল সাহাবীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাহাদেরকে সালাম দিল। তারা [পরস্পর] বলল, এ লোক তোমাদের হাত হইতে বাঁচার জন্যই তোমাদেরকে সালাম দিয়েছে। এই বলে তারা উঠে গিয়ে লোকটিতে হত্যা করিল এবং তার ছাগলগুলো নিয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে হাযির হল। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহ তাআলার পথে [জিহাদের জন্যে] বের হইবে, তখন অবশ্যই পরীক্ষা করে নিবে এবং কেউ তোমাদের সালাম দিলে [পার্থিব জীবনের সম্পদের আকাঙ্খায়] তাকে বলবে না যে, তুমি মুমিন নও” – [সূরা আন – নিসা ৯৪]।
হাসান সহীহ : তালীক আলাল ইহসান [৭/১২২], বোখারি [২৫৯১] সংক্ষেপে, মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। উসামাহ ইবনি যাইদ [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ
হাদিস নাম্বার ৩০৩১
আল–বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, “মুমিনদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থাকে তারা সমান নয়” – [সূরা আন –নিসা ৯৫] আয়াত অবতীর্ণ হলে আম্র ইবনি উম্মি মাকতূম [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ] – এর নিকট আসলেন। তিনি ছিলেন দৃষ্টিশক্তিহীন [অন্ধ]। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ রাসূল! আমি তো দৃষ্টিশক্তিহীন। আমাকে আপনি কি নির্দেশ দেন? তখন আল্লাহ তাআলা নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “তবে যারা অক্ষম তাহাদের কথা স্বতন্ত্র” – [সূরা আন – নিসা ৯৫]। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ [আয়াতটি লিপিবদ্ধ করিতে] তোমরা আমার জন্য কাঁধের হাড় ও দোয়াত অথবা [বলিলেন] তখতি ও দোয়াত নিয়ে এসো।
সহীহ : বোখারি [৪৫৯৩-৪৫৯৪], মুসলিম, ১৬৭০ নং পূর্বে উল্লেখ হয়েছে।
আমর ইবনি উম্মি মাকতূম [রাদি.] আবদুল্লাহ ইবনি উম্মি মাক্তূম বলেও কথিত। তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবনি যায়িদাহ্ এবং উম্মি মাকতূম তাহাঁর মা।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩২
ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
“মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে” – [সূরা আন – নিসা ৯৫] আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা অক্ষম হয়েও ঘরে বসে ছিল তারা এবং যারা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তারা [মর্যাদায়] এক সমান নয়। এখানে তাহাদের কথাই বলা হয়েছে। বদর যুদ্ধের নির্দেশ সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ হলে আবদুল্লাহ ইবনি জাহশ ও ইবনি উম্মি মাকতূম [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো উভয়েই অন্ধ! এক্ষেত্রে আমাদের দুজনের জন্য কি কোনরূপ সুযোগ আছে? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে তারা সমান নয় এবং যারা জিহাদ করে তাহাদেরকে আল্লাহ তাআলা মহাপুরষ্কারের ক্ষেত্রে যারা ঘরে বসে থাকে তাহাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করিয়াছেন” – [সূরা আন –নিসা ৯৫]। যারা অক্ষম না হওয়া স্বত্বেও ঘরে বসে থাকে, এখানে তাহাদের কথা বলা হয়েছে।
সহীহ : বোখারি [৪৫৯৫]।
আবু ঈসা বলেন, ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর হাদীস হিসেবে উক্ত সূত্রে এই হাদীসটি হাসান সহীহ। মিক্বসাম প্রসঙ্গে বলা হয় যে, ইনি আবদুল্লাহ ইবনিল হারিসের মুক্তদাস। তিনি আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর মুক্তদাস বলেও কথিত। তার উপনাম আবুল কাসিম।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩৩
সাহল ইবনি সাদ আস্ – সাঈদী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মারওয়ান ইবনিল হাকামকে মাসজিদে বসা দেখে আমি তাহাঁর নিকট এগিয়ে গিয়ে তার পাশে বসলাম। তিনি আমাদের বলিলেন, যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] আমাকে জানিয়েছেন যে, নাবী, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার দ্বারা লেখাচ্ছিলেন : “লা ইয়াসতাবিল কাইদূনা মিনাল মুমিনীনা ওয়াল মুজাহিদূনা ফী সাবীলিল্লাহ”। তখন তাহাঁর নিকট ইবনি উম্মি মাকতূম [রাদি.] এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি যদি জিহাদ করিতে পারতাম, তাহলে অবশ্যই জিহাদ করতাম। তিনি ছিলেন অন্ধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা তাহাঁর রাসূলের উপর ওয়াহী অবতীর্ণ করিলেন, তখন তাহাঁর উরু আমার উরুর উপর ছিল। তা এত ভারী লাগছিল যে, এতে আমার উরু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। কিছুক্ষণ পর তাহাঁর এ অবস্থা দূরীভূত হয়। আল্লাহ তাআলা তাহাঁর উপর অবতীর্ণ করেন : “গাইরু উলিয যারারি”।
সহীহ : বোখারি [৪৫৯২]।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। একাধিক বর্ণনাকারী এ হাদীসটি যুহরী হইতে সাহল ইবনি সাদের বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। মামার এটি বর্ণনা করিয়াছেন যুহরী হইতে, তিনি কাবীসাহ্ ইবনি যুয়াইব হইতে, তিনি যাইদ ইবনি সাবিত হইতে এই সূত্রে। তিনি আরো বলেন, এ হাদীসটি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর একজন সাহাবী কর্তৃক একজন তাবিঈ হইতে বর্ণিত অর্থাৎ সাহল ইবনি সাদ আস – সাঈদী আল – আনসারী [রাদি.] রিওয়ায়াত করিয়াছেন মারওয়ান ইবনিল হাকাম হইতে। মারওয়ান রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে হাদীস শুনেননি। তিনি তাবিঈদের অন্তর্ভূক্ত।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩৪
ইয়ালা ইবনি উমাইয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার [রাদি.] কে বললাম, আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “তোমরা যখন শত্রুর আশংকা করিবে তখন নামায কসর করিবে” – [সূরা আন – নিসা ১০১]। এখন তো মানুষ নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত হয়ে গেছে [এখন নামা কসর করার কি প্রয়োজন]। উমার [রাদি.] বলিলেন, তুমি যে বিষয়ে বিস্ময়বোধ করছ, আমিও একই বিষয়ে বিস্ময়বোধ করেছি এবং বিষয়টি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উত্থাপন করেছি। তিনি বলেছেনঃ এটা তো তোমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ হইতে সাদাক্বাহ্। অতএব তোমরা তাহাঁর সাদাক্বাহ্ [অনুগ্রহ] গ্রহণ কর।
সহীহ : ইবনি মাজাহ [১০৬৫], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩৫
আবদুল্লাহ ইবনি শাক্বীক্ব [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু হুরায়রা্ [রাদি.] আমার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুজনান ও উসফান নামক জায়গার মাঝে যাত্রাবিরতি করিলেন। মুশরিকরা বলল, তাহাদের নিকট একটি নামায আছে যা তাহাদের বাপ-দাদা ও সন্তান-সন্ততির চাইতেও বেশি প্রিয়। সেটি হচ্ছে, আসরের নামায। কাজেই তোমরা নিজেদের যাবতীয় সাজ সরঞ্জাম প্রস্তুত করে সংকল্পব্ধ হয়ে থাক এবং তাহাদের উপর [নামাযরত অবস্থায়] ঝটিকা আক্রমণ চালাও। এদিকে জিবরীল [আঃ] নাবী [সাঃআঃ] কে নির্দেশ দিলেন, আপনার সংগীদের দুভাগে বিভক্ত করুন। এক অংশকে নিয়ে আপনি নামায আদায় করুন। অন্য দল নামাযরতদের পেছনে তাহাদের ঢাল ও অস্ত্র নিয়ে সতর্কাবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকিবে। এরপর দ্বিতীয় দল [যারা নামায আদায় করেনি] আসবে। তারা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে এক রাকআত নামায আদায় করিবে। তারপর তারা তাহাদের অস্ত্রশস্ত্রসহ সতর্কাবস্থায় থাকিবে। ফলে তাহাদের [উভয় দলের] এক এক রাকআত হইবে। আর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হইবে দুই রাকআত।
সনদ সহীহ।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, আবু হুরাইরাহ্র বরাতে আবদুল্লাহ ইবনি শাক্বীক্বের হাদীস হিসেবে গারীব। আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ, যাইদ ইবনি সাবিত, ইবনি আব্বাস, জাবির, আবু আইয়্যাশ আয – যুরাকী, ইবনি উমার, হুযাইফাহ, আবু বাকরাহ ও সাহল ইবনি আবী হাসমা [রাদি.] হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু আইয়্যাশ আয –যুরাকীর নাম যাইদ ইবনি সামিত।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩৬
ক্বাতাদাহ্ ইবনিন নুমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে বানূ উবাইরিক্ব নামে একটি পরিবার ছিল। ঐ পরিবারে বিশ্র, বুশাইর ও মুবাশশির নামে তিনজন লোক ছিল। বুশাইর ছিল মুনাফিক্ব। সে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সঙ্গী সাথীদের কুৎসা বর্ণনামূলক কবিতা রচনা করত, তারপর অপরাপর আরবদের প্রতি সেগুলো আরোপ করে বলত, অমুকে এরূপ এরূপ কথা বলেছে। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাহাবীগণ যখন তা শুনতেন তখন বলিতেন, আল্লাহর শপথ! ঐ অপদার্থ [খবীস] লোকটি ব্যতীত আর কেউ এ কবিতা রচনা করেনি বা একই রকম কোন মন্তব্য করিতেন। যাই হোক তারা বলিতেন, এটা ইবনিল উবাইরক্বেই [বুশাইর] কবিতা। বর্ণনাকারী বলেন, জাহিলী ও ইসলামী উভয় যুগে এ পরিবারটি ছিল অভাবগ্রস্ত ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত। মাদীনায় লোকদের প্রধান খাদ্য ছিল খেজুর ও আটা। কেউ সম্পদশালী হলে সিরিয়া হইতে কোন খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ী সাদা আটা বা ময়দা নিয়ে এলে সে ঐ [ব্যবসায়ী] কাফিলা হইতে ময়দা কিনে নিয়ে সঞ্চয় করে রাখত নিজের ব্যবহারের জন্য। অবশিষ্ট পরিবার-পরিজনের জন্য থাকতো খেজুর ও গম।
একবারের ঘটনা, সিরিয়া হইতে একটি খাদ্য ব্যবসায়ী কাফিলা এলো। আমার চাচা রিফাআহ্ ইবনি যাইদ [তাহাদের হইতে] এক বস্তা ময়দা কিনলেন এবং ভাঁড়ার ঘরে রেখে দিলেন। একই জায়গায় অস্ত্রশস্ত্র, বর্ম ও তলোয়ারও ছিল। এদিকে ঘরের নিচ দিয়ে তার মাল আসবাব চুরি হয়ে গেল। গোপনে সিঁদ কেটে উক্ত ঘরে রক্ষিত ময়দা ও অস্ত্রশস্ত্র লাপাত্তা হয়ে গেল। ভোরবেলা আমার চাচা রিফাআহ আমার নিকট আসলেন এবং বলিলেন, হে ভাতিজা! আমার উপর তো এরাতে যুলুম হয়ে গেল। আমার ভাঁড়ারের ঘরে সিঁদ কেটে খাবার [ময়দা] ও অস্ত্রশস্ত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহল্লায় অনুসন্ধান চালিয়ে দেখলাম ও জিজ্ঞাসাবাদ করলাম। আমাদের বলা হল, আমরা আজ রাতে বানূ উবাইরিক্বদের ঘরে আলো জ্বালাতে দেখেছি। আমাদের ধারণা মতে তারা তোমাদের খাদ্যাদির তালাশেই আলো জ্বালিয়েছিল। রিফাআহ্ বলিলেন, আমরা যখন এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলাম তখন উবাইরিক্বের লোকেরা বলল, আল্লাহর শপথ! আমরা মনে করি তোমাদের এই চোর লাবীদ ইবনি সাহল ব্যতীত আর কেউ নয়। আমরা আগেই মহল্লাবাসীর এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। লাবীদ ছিলেন আমাদেরই মধ্যকার একজন সৎ ও ভালো মুসলিম। লাবীদ এ কথা শুনামাত্র খাপ হইতে তলোয়ার বের করে বলিলেন, আমি চুরি করি? আল্লাহর কসম! হয় আমার এ তলোয়ারের সাথে তোমার সাক্ষাত হইবে অথবা তোমরা এ চুরির সাক্ষ্য-প্রমাণ হাযির করিবে। তখন লোকেরা বলল, যাও তুমি আমাদের সামনে থেকে সরে দাঁড়াও। তুমি এ কাজ করোনি। এরপরও আমরা এ ব্যাপারে মহল্লায় জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হলাম যে, বানূ উবাইরিক্বই এ কান্ড ঘটিয়েছে। অবশেষে আমার চাচা আমাকে বলিলেন, হে ভাতিজা! তুমি ঘটনার বৃত্তান্ত রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট জানালে ভালো হত। ক্বাতাদাহ [রাদি.] বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে তাঁকে বললাম, আমাদের মহল্লায় একটি যালিম পরিবার আছে এবং তারা আমার চাচা রিফাআহ ইবনি যাইদের ভান্ডার কক্ষে সিঁদ কেটে তাহাঁর অস্ত্রশস্ত্র ও খাদ্যাদি চুরি করে নিয়ে গেছে। আমাদের অস্ত্রশস্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন, খাদ্যদ্রব্যাদির প্রয়োজন নেই। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি শীঘ্রই এ ব্যাপারে একটিা ফাইসালা করে দিচ্ছি। বনূ উবাইরিক্ব এ কথা শুনার পর তাহাদের নিজেদের এক লোকের নিকট এলো, যার নাম ছিল উসাইর ইবনি উরওয়াহ। তারা তার সাথে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করিল। এ বাড়ির কিছু লোক একত্র হয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ক্বাতাদাহ ইবনিন নুমান ও তার চাচা আমাদের এক সৎ ও মুসলিম পরিবারের পেছনে লেগেছে এবং কোন প্রমাণ ব্যতীতই তারা তাহাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করছে। ক্বতাদাহ [রাদি.] বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে [বিষয়টি নিয়ে] তাহাঁর সাথে কথা বললাম। তিনি বললেনঃ তুমি এমন এক পরিবারের বিরুদ্ধে বিনা প্রমাণে চুরির অপবাদ দিচ্ছ, যাদের সততা ও ইসলাম সম্পর্কে সুনাম আছে। ক্বাতাদাহ [রাদি.] বলেন, আমি ফিরে আসলাম। আমি মনে মনে বললাম, আমার এ সামান্য মাল হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমি যদি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে এ বিষয়ে আলাপ না করতাম! এরপর আমার চাচা রিফাআহ আমার নিকট এসে বলিলেন, হে ভাতিজা! [আমার ব্যাপারে] কি করেছ? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে যা কিছু বলেছেন, আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাআলাই প্রকৃত সাহায্যকারী। এরপর কিছু সময় না যেতেই কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয় [ব্যাখ্যাসহ অনুবাদ] : “নিশ্চয়ই আমি এ কিতাব সত্য সহকারে তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যেন আল্লাহ তাআলা তোমাকে যা জ্ঞাত করিয়াছেন তদনুসারে লোকদের মধ্যে মীমাংসা করিতে পার। তুমি খিয়ানাতকারীদের পক্ষে [যেমন বনূ উবাইরিক্বের সমর্থনে] বিতর্ককারী হয়ো না। আর তুমি আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর [ক্বাতাদাহকে যা বলেছ তার জন্য]। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা বড়ই ক্ষমাশীল ও দয়াবান। যারা নিজেদেরকে প্রতারিত করে তুমি তাহাদের সাহায্য করো না। আল্লাহ তাআলা খিয়ানাতকারী পাপিষ্ঠদেরকে পছন্দ করেন না। এরা মানুষের হইতে লুকাতে পারে, কিন্তু আল্লাহ তাআলা হইতে গোপন হইতে পারে না, কেননা তিনি তাহাদের সঙ্গেই থাকেন, যখন তারা রাতের বেলা গোপনে গোপনে তাহাঁর মর্জি বিরুদ্ধ পরামর্শ করে। এদের সমস্ত কাজই আল্লাহ তাআলা জ্ঞাত। আহা! তোমরাই এসব অপরাধীর পক্ষ সমর্থনে পার্থিব জীবনে বিতর্ক করছ, কিন্তু ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলার সামনে এদের পক্ষে কে ঝগড়া করিবে অথবা কে তাহাদের উকিল হইবে? কেউ কোন পাপকর্ম করলে বা নিজের উপর যুলুম করলে তারপর আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করলে সে আল্লাহ তাআলাকে ক্ষমাকারী ও অনুগ্রহশীল পাবে [অর্থাৎ তারা আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করলে আল্লাহ তাআলা তাহাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন]। কেউ গুনাহের কাজ করলে সে তা নিজের ক্ষতির জন্যই করে। আল্লাহ তাআলা সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। কেউ কোন সমস্যা বা পাপকর্ম করে তারপর তা কোন নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি আরোপ করলে [যেমন লাবীদ প্রসঙ্গে তাহাদের বক্তব্য] সে তো সাংঘাতিক মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। তোমার প্রতি আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তাহাদের একটি দল তোমাকে পথভ্রষ্ট করিতে চাইত। কিন্তু তারা নিজেদের ব্যতীত অন্য কাউকে পথভ্রষ্ট করিতে পারে না এবং তোমার কোন ক্ষতিও করিতে পারে না। আল্লাহ তাআলা তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমাত অবতীর্ণ করিয়াছেন এবং তোমাকে এমন জ্ঞান জানিয়ে দিয়েছেন যা তুমি জানতে না। তোমার প্রতি আল্লাহ তাআলার বিরাট অনুগ্রহ আছে। তাহাদের বেশির ভাগ গোপন সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই। অবশ্য কেউ কাউকে দান-খাইরাতের কিংবা কোন ভালো কাজের জন্য অথবা লোকদের মাঝে শান্তি স্থাপনের উপদেশ দিলে তাতে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যে কেউ এরূপ করলে তাকে অবশ্যই আমি মহাপুরষ্কার দিব”।
[সূরা আন – নিসাঃ ১০৫-১১৪]
কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট অপহৃত অস্ত্র ফেরত আনা হল। তিনি তা রিফাআহ [রাদি.] কে ফিরিয়ে দিলেন। ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] বলেন, আমার চাচা ছিলেন বৃদ্ধ। জাহিলিয়াতের যুগে তার রাতকানা রোগ হয়েছিল, অথবা বলেছেন, জাহিলিয়াতের আমলেই বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন [আবু ঈসার সন্দেহ]। আমার ধারণা ছিল যে, তিনি ইসলামে দাখিল ছিলেন। আমি তার নিকট অস্ত্র ফেরত নিয়ে আসলে তিনি বলিলেন, হে ভাতিজা! এটা আমি আল্লাহ তাআলার রাস্তায় দান করে দিলাম। এবার আমার প্রত্যয় জন্মালো যে, নিঃসন্দেহে তিনি একজন খাঁটি মুসলিম। কুরআনের উক্ত আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হওয়ার পর বুশাইর মুশরিকদের সাথে গিয়ে মিলিত হয় এবং সাদ ইবনি সুমাইয়্যার কন্যা সুলাফার নিকট অবস্থান গ্রহণ করে। তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন : “কারো নিকট সৎপথ প্রকাশিত হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথের অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় আমরা সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দিব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব। আর তা কত মন্দ আবাস। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাহাঁর সাথে শারীক করাকে ক্ষমা করেন না, তা ব্যতীত সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং কেউ আল্লাহ তাআলার সাথে শারীক করলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়”- [সূরা আন – নিসা ১১৫-১১৬]।
বুশাইর যখন সুলাফার নিকট আশ্রয় নিল, তখন হাসসান ইবনি সাবিত [রাদি.] কিছু কবিতার চরণ দ্বারা সুলাফার নিন্দাবাদ করেন। এতে সুলাফা বুশাইরের মালপত্র নিজ মাথায় তুলে নিয়ে তা আবতাহ নামক স্থানে গিয়ে ফেলে দিল। সে আরো বলল, তুমি আমার জন্য হাসসানের [নিন্দাসূচক] কবিতা উপহার নিয়ে এলে, আমার জন্য উত্তম কিছু নিয়ে আসতে পারলে না।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। মুহাম্মদ ইবনি সালামাহ্ আল – হাররানী ব্যতীত আর কেউ এটিকে মুসনাদরূপে রিওয়ায়াত করিয়াছেন বলে আমাদের জানা নেই। এ হাদীসটি মুহাম্মদ ইবনি ইসহাক্ব – আসিম ইবনি উমার ইবনি ক্বাতাদাহ সূত্রে ইউনুস ইবনি বুকাইর প্রমুখ মুরসালরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। তাতে “তাহাঁর বাবা-তার দাদা” সূত্রের উল্লেখ নেই। ক্বাতাদাহ ইবনিন নুমান মাতার দিক হইতে আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] এর ভাই। আবু সাঈদ [রাদি.] এর নাম সাদ ইবনি মালিক ইবনি সিনান।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩৭
আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমার কাছে কুরআনের এ আয়াত হইতে পছন্দনীয় আয়াত আর কোনটি নেইঃ “নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহাঁর সাথে অংশীদার করাকে মাফ করেন না; তা ছাড়া সব কিছু যাকে ইচ্ছা মাফ করেন”।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবু ফাখিতার নাম সাঈদ ইবনি ইলাকা। সুআইরের উপনাম আবু জাহম। ইনি কূফার বাসিন্দা তাবেঈ। তিনি ইবনি উমার [রাদি.], ইবনি যুবাইর [রাদি.] হইতে হাদীস শুনেছেন। ইবনি মাহদী তাকে কিছুটা দোষারোপ করিতেন।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩০৩৮
আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, “কেউ মন্দ কাজ করলে তার প্রতিফল সে পাবে”- [সূরা আন – নিসা ১২৩] আয়াত অবতীর্ণ হলে মুসলিমদের নিকট বিষয়টি খুবই গুরুতর মনে হয়। তাই তারা নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তিনি বললেনঃ তোমরা সত্যের নিকটবর্তী থাক এবং সরল সোজা পথ তালাশ কর। মুমিনের প্রতিটি বিপদ-মুসীবত ও কষ্ট-ক্লেশ, এমনকি তার দেহে কোন কাঁটা বিদ্ধ হলে বা তার উপর কোন আকস্মিক বিপদ এলে তার দ্বারাও তার গুনাহ্র কাফ্ফারা [ক্ষতিপূরণ] হয়ে যায়।
সহীহ : তাখরীজুত তাহবীয়া [৩৯০], যঈফাহ [২৯২৪] নং হাদীসের অধীনে, মুসলিম।
ইবনি মুহাইসিনের নাম আম্র ইবনি আবদুর রাহমান ইবনি মুহাইসিন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৩৯
আবু বাক্র সিদ্দীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে হাজির থাকাবস্থায় তাহাঁর উপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যে কেউ খারাপ কাজ করিবে সে তার প্রতিফল পাবেই এবং সে নিজের জন্য আল্লাহ্ তাআলা ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না” [সূরাঃ আন-নিসা- ১২৩]। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ হে আবু বাক্র! আমি কি আপনাকে ঐ আয়াত পাঠ করে শুনাব না যা আমার উপর অবতীর্ণ হয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! অবশ্যই। তিনি আমাকে আয়াতটি পাঠ করে শুনান। আমি আর কিছুই জানি না, তবে তখন আমার মনে হল যে, আমার শিরদাঁড়া ভেঙ্গে গেছে। তাই আমি পিঠমোড় দিলাম। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেনঃ হে আবু বাক্র! আপনার কি হল? আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনার প্রতি আমার পিতামাতা উৎসর্গীত হোক। আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে খারাপ কাজ করে না? আমাদের প্রতিটি কাজের জন্যই কি প্রতিফল ভোগ করিতে হইবে? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু বাক্র! আপনি এবং মুমিনগণ এ দুনিয়াতেই তার প্রতিফল পেয়ে যাবেন। অবশেষে আপনারা আল্লাহ্ তাআলা এর সাথে পাপমুক্ত অবস্থায় মিলিত হইবেন। পক্ষান্তরে অপরাপর লোকদের খারাপ কাজগুলো তাহাদের জন্য সঞ্চিত করে রাখা হইবে। অবশেষে হাশরের দিন তাহাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হইবে।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। এটির সনদসূত্র সমালোচিত। এ হাদীসের রাবী মূসা ইবনি উবাইদা হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল। ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ ও আহমাদ ইবনি হাম্বল [রাদি.] তাকে জঈফ বলেছেন। ইবনি সিবার মুক্তগোলাম অখ্যাত ও অজ্ঞাত। হাদীসটি ভিন্নরূপে আবু বাক্র [রাদি.] হইতে বর্ণিত হয়েছে, এর সনদও সহীহ নয়। এ অনুচ্ছেদে আইশা [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৪০
ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সাওদা [রাদি.] এর আশংকা হল যে, নাবী [সাঃআঃ] তাকে তালাক দিবেন। তাই তিনি বলিলেন, আপনি আমাকে তালাক না দিয়ে আপনার বিবাহবন্ধনে স্থির রাখুন। আমার জন্য নির্দ্ধারিত দিনটি আপনি আয়িশাহ্র নিকটই থাকুন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাই করিলেন। এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয় : তবে তারা [স্বামী-স্ত্রী] আপোষ-নিষ্পত্তি করিতে চাইলে তাহাদের কোন গুনাহ নেই এবং আপোষ-নিষ্পত্তিই শ্রেয়” – [সূরা আন – নিসা ১২৮]। যে বিষয়ের উপর তারা আপোষ করিবে তা জায়িয। শেষের বক্তব্যটুকু ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর।
সহীহ : ইরওয়াহ [২০২০]।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৪১
আল – বারাআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে] সবশেষে যে আয়াত অবতীর্ণ হয় তা হল : “লোকেরা তোমার নিকট বিধান জানতে চায়। বল, পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে বিধান দিচ্ছেন…..” [সূরা আন – নিসা ১৭৬]।
সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ [২৫৭০], বোখারি [৪৬০৫], মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবুস সাফারের নাম সাঈদ ইবনি আহমাদ আস্ –সাওরী। তিনি ইবনি ইউহ্মিদ আস – সাওরী বলেও কথিত।
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
হাদিস নাম্বার ৩০৪২
আল বারাআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! “লোকেরা আপনার নিকট বিধান জানতে চায়। বলুন, পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা তোমাদের বিধান দিচ্ছেন……” – [সূরা আন্ –নিসা ১৭৬]। নাবী [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ তোমার জন্য এ ব্যাপারে গ্রীষ্মকালীন ঐ আয়াতটিই [সূরা আন্ – নিসা ১৭৬] যথেষ্ট।
সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ [২৫৭১], মুসলিম উমার [রাদি.] হইতে।
ইমাম বাগাবী বলেন, এ আয়াত [সূরা আন্ – নিসা ১৭৬] , বিদায় হাজ্জের সময় গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ হয়, তাই একে গ্রীষ্মকালীন আয়াত বলা হয়। [অনুবাদক]
সূরা আন নিসা তাফসির – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Tag: সূরা আল নিসা বাংলা অনুবাদ, সূরা নিসা বাংলা উচ্চারণ, সূরা আন নিসা বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা নিসা আয়াত ১৫০, সূরা নিসা, সূরা আন নিসা, সূরা নিসা বাংলা অনুবাদ, সুরা নিসা তাফসির