তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন | নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন | মেয়েদের নামাজের নিয়ম কানুন | তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কানুন | শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কানুন | ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন | ইসলামে বিয়ের নিয়ম কানুন

CL 1660487345210

Govt Education Blog পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম o yah রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্ । আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা kori সবাই ভালো আছেন। আমরাও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয়  ভাই ও বোনেরা আজ আমরা আপনাদের mje নিয়ে আসলাম তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন, নামাজের নিয়ম কানুন, মেয়েদের নামাজের নিয়ম কানুন, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কানুন, নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন, শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কানুন, ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন, ইসলামে বিয়ের নিয়ম কানুন। asha করি সবাই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন 

romjan মাসে এশার নামাজের ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ ও ২ রাকাত সুন্নতের পর এবং বেতের (৩ রাকাত) নামাজের আগে শুরু হয় তারাবির নামাজ। ২ রাকাত করে ১০ বার তাশাহুদ অথাৎ ১০ বার salam ফিরানোর মাধ্যমে ২০ রাকাত তারাবির namaj বা তারাবিহ আদায় korte হয়।
amader দেশে সাধারণত ek নাগাড়ে তারাবিহ নামাজ পড়ানো হয়ে থাকে। তবে নিয়ম হচ্ছে- শরীর সহনীয় অবস্থায় ধীরে ধীরে তারাবিহ namaj পড়া।
একনজরে :
> esha ৪ রাকাত sonnot।
> esha৪ রাকাত ফরজ।
> eshar ২ রাকাত সুন্নাত।
> eshar ৩ রাকাত বেতের।
> tarabir namaj ২ রাকাত-২ রাকাত করে ২০ রাকাত, এর মধ্যে ৪ রাকাত পর পর দোয়া
tarabhih নামাজের নিয়ত :
উচ্চারণ: নাওয়াইতুআন উসালি­য়া লিল্লাহি তাআ’লা, রাকাআ’তাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি tawala মুতাওয়াযজ্জিহান ইলা যিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু akbar। (যদি জামাআ’তের সহিত নামাজ হয় তাহলে চিহ্নের জায়াগায় ইক্বতাদাইতু বি হাজাল imam বলতে হবে)।
অর্থ: ami কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাআ’ত তারাবিহ সুন্নাত নামাজ আল্লাহর জন্য আদায়ের নিয়্যত করছি, আল্লাহু আকবার। (যদি জামাআ’তের সহিত নামাজ হয় tobai- এই ইমামের ইমামতিতে জামাআ’তের সহিত)।
যাদের আরবী উচ্ছারণ করতে সমস্যা হয় অথবা পড়তে পারেন na। তারা বাংলায় বলবেন ‘আমি কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাআ’ত তারাবিহ সুন্নাত নামাজ আল্লাহর জন্য আদায়ের নিয়্যত korchi, আল্লাহু আকবার’। এটা বলেই নিয়্যত করতে পারবেন।
tarabir নামাজের চার রাকাত পরপর dua:
سبحان ذى الملك والملكوت سبحان ذى العزة والعظمة والهيبة والقدرة والكبرياء والجبروت . سبحان الملك الحى الذى لاينام ولا يموت ابدا ابدا سبوح قدوس ربنا ورب الملئكة والروح
উচ্চারণ: সুব্হানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানাযিল ইযযাতি o yal আযমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি o yal জাবারূত। সুব্হানাল মালিকিল হায়্যিল্লাযি লা-ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি o r রূহ।
দোয়াটি হলো-
উচ্চারণ: সুব্হানাযিল মুলকি ওয়াল malakuti, সুব্হানাযিল ইয্যাতি, ওয়াল আয্মাতি, ওয়াল হাইবাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়াই, ওয়াল যাবারুত। সুব্হানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি la-ইয়াানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার rah।
tarabi নামাজের মোনাজাত:
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
বাংলা উচ্চারণ: (alah-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারি বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, iya রাহিমু ,ইয়া জাব্বারু ইয়া খালেকু, ইয়া রাররূ, আল্লাহুমা আজির na মিনান্নারি, ইয়া মূজিরু ইয়া মুজিরু, বিরাহ্মাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।)
অতঃপর-
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু annie।

নামাজের নিয়ম কানুন | নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন 

নামাযের পূর্বে পরিপূর্ণরূপে অযু kora: 
bismillah বলে প্রথমে দু’হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করার পর মুখে ও নাকে তিনবার পানি দিয়ে কুলি করবে ও নাক ঝাড়বে। অতঃপর মুখমন্ডল ধৌত korbe (কপালের উপর চুল গজানোর স্থান থেকে নিয়ে দাড়ির নিম্নভাগ, এবং এক কান থেকে নিয়ে অপর কান পর্যন্ত)। এরপর দু’হাতের আঙ্গুলের শুরু থেকে কনুই পর্যন্ত tin বার ধৌত করবে। প্রথমে ডান হাত অতঃপর বাম হাত। আবার নতুন করে দু’হাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে তা দ্বারা মাথা মাসেহ্ korbe। দু’হাত মাথার অগ্রভাগ থেকে নিয়ে পিছন দিকে ফিরাবে। তারপর দু’কান মাসেহ্ korbe। দু’হাতের দুই তর্জনী কানের ভিতরের অংশ এবং দু’বৃদ্ধাঙ্গলী দিয়ে বাহিরের অংশ মাসেহ্ করবে।ar পর গর্দান মসেহ করবে। (যারা বলে গর্দান মসেহ হাদীসে নেই এরা মুর্খ) এর জন্য নতুনভাবে pani নেয়ার দরকার নেই। অতঃপর দু’পা টাখনুসহ তিনবার ধৌত korbe।
২) namajer নিয়ত করাঃ 
namaj শুরুর আগে নির্দিষ্ট নামাযের জন্য নিয়ত করা প্রত্যেক নামাযীর উপর আবশ্যক। নিয়তের স্থান হল অন্তর। মুখে উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই। kew যদি মুখে নিয়তের শব্দগুলো বলে তাতে সমস্যও নেই। (যারা বলে মুখে নিয়ত করা বিদআত tara সবচেয়ে বড় বিদআতী, ফিতনাবাজ)
৩) কিবলামুখী হয়ে আল্লাহু আকবার bole দাঁড়ানোঃ 
রাসূল (সাঃ) যখনই নামাযে দাঁড়াতেন, কিবলার dikai মুখ করে দাঁড়াতেন। তিনি বলেছেন, যখন তুমি নামাযে দাঁড়াবে, তখন পরিপূর্ণরূপে অযু করবে, অতঃপর কিবলামুখী hoye আল্লাহ আকবার bolbe।
৪) নাভির নিচে হাত রাখাঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামাযে darano অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে নাভির নিচে স্থাপন করতেন। (আবু দাউদ-নাসাঈ) নাভির নিচে হাত রাখাটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। এছাড়া অন্য kothw রাখার হাদীছ বিশেষ করে buker উপর হাত rakar হাদীস দুর্বল।
৫) ছানা পাঠ করাঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে ছানা পাঠের বিভিন্ন বাক্য প্রমাণিত আছে। sadaron পাঠকদের সুবিধার্থে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এবং সহজ দু’আটি এখানে উল্লেখ kora হল। 
উচ্চারণঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা o yah  বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্সুকা ওয়া তা’লা যাদ্দুকা ওয়া লাইলাহা গাইরুকা” 
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রশংসা জড়িত পবিত্রতা জ্ঞাপন korchi, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মহানত্ব সমুন্নত। 
আর তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ nai”। 
৬) sijdar স্থানে দৃষ্টি রাখাঃ
৬) sijdar স্থানে দৃষ্টি রাখাঃ নবী (সাঃ) নামায অবস্থায় মাথা সোজা রেখে যমীনের দিকে দৃষ্টি রাখতেন। তাঁর দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম করতো na। 
৭) kirat পাঠ করাঃ
কিরা’ত পাঠ korer পূর্বে রাসূল (সাঃ) নীরবে — “আউজু বিল্লাহি মিনাশ্শায়ত্বানির রাযীম” এবং — “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পাঠ korten। অতঃপর সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করা নামাযের রুকন। সূরা ফাতিহা ছাড়া নামায hobe na। 
৮) মুক্তাদীর জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ জরুরী noye :
ইমামের পিছনে মুক্তাদীগণ সূরা ফাতিহা পাঠ করবে na। কারণ, কুরআনের বানী “কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা হলে তোমরা চুপ থাক। রাসূল (সাঃ) ar বাণী ““ইমামের কিরআতই মুক্তাদির কেরাত।” (মুসলিম) সুতরাং মুক্তাদীগণ সূরা ফাতেহা পাঠ করবে না। এখানে একটা kota বলা প্রয়োজন। হাদীসের কোথাও একথা নেই যে, মুক্তাদীদের সূরা ফাতেহা পড়তে হবে। হাদীসে আছে সুরা ফাতেহা ছাড়া নামায হয় na। এটি একাকি নামায আদাকারী ও ইমামের জন্য খাস।
৯) সূরা ফাতিহা শেষে মুক্তাদীগণ sobai নিঃশব্দে আমীন বলবেঃ 
রাসূল (রাঃ) যখন সূরা ফাতিহা পাঠ shash করতেন, তখন অনুচ্চ স্বরে আমীন বলতেন। (তিরমিযী, আহমদ, হাকেম) 
১০) namajer প্রথম দু’রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার অন্য সূরা মিলানো। (একাকী নামায আদায়কারী ও ইমাম)
১১) রুকূ kora প্রসঙ্গঃ
কিরাআত পাঠ শেষে রাসূল (সাঃ) আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে jaten। (বুখারী) রুকুতে স্বীয় হাঁটুদ্বয়ের উপর হস-দ্বয় রাখতেন এবং তিনি এজন্য নির্দেশ দিতেন। (বুখারী) তিনি কনুই দু’টোকে পাঁজর dash থেকে দূরে রাখতেন। তিনি রুকু অবস্থায় পিঠকে সমান করে প্রসারিত করতেন। এমন সমান করতেন যে, তাতে pani ঢেলে দিলেও তা যেন সি’র থাকে। (বুখারী, তিরমিজী, তাবরানী) তিনি নামাযে ত্রুটিকারীকে বলেছিলেন, অতঃপর jokon রুকূ করবে, তখন স্বীয় হস্তদ্বয় হাটুদ্বয়ের উপর রাখবে এবং পিঠকে প্রসারিত করে স্থিরভাবে রুকূ করবে। (আহমাদ) tini পিঠ অপেক্ষা মাথা উঁচু বা নীচু রাখতেন na। বরং ta মাঝামাঝি থাকত। (বুখারী, আবু দাউদ) রুকুর দু’আঃ রুকুতে রাসূল (সাঃ) এই দূ’আ পাঠ করতেন — 
উচ্চারণঃ ‘সুবহানা রাব্বীয়াল azim’। 
অর্থঃ ami মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা korchi। এই দূ’আটি তিনি তিনবার বলতেন। কখনও তিনবারের বেশীও পাঠ korten। (আহমাদ)
১২) রুকূ takie সোজা হয়ে দাঁড়ানোঃ 
অতঃপর রাসূল (সাঃ) রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি এই dua বলতে বলতে রুকু হতে মাথা উঠাতেন —
উচ্চারণঃ সামিআল্লাহু liman হামিদাহ। 
অর্থঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, আল্লাহ তার কথা শ্রবন koren।
(বুখারী-মুসলিম) tini যখন রুকূ হতে মাথা উঠাতেন, তখন এমনভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যে, মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে যেত। অতঃপর তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় বলতেন,  
উচ্চারণঃ রাব্বানা lakal হাম্দ। 
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! সকল প্রশংসা তোমার jonno।
১৩) নামাযে রফউল ইয়াদাইন na করাঃ
রাফউল ইয়াদাইন অর্থ উভয় হাত উঠানো। নবী (সা.) ar নামাযে তাকবীরে তাহরীমা sara অন্য কোথাও রফউল ইয়াদাইন nai। (মর্মার্থ) (তিরমিযী, নাসায়ী) 
১৪) sijdah প্রসঙ্গঃ
অতঃপর রাসূল (সাঃ) আল্লাহ আকবার bole সাজদায় যেতেন। তিনি বলেছেন, কারও নামায ততক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ হবেনা, যতক্ষন না সে সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদাহ বলে সোজা hoye দাঁড়াবে অথঃপর আল্লাহ আকবার বলবে, অতঃপর এমনভাবে সাজদাহ করবে যে, tar শরীরের জোড়াগুলো সুসি’রভাবে অবস্থান নেয়। সাজদাহ অবস্থায় পার্শ্বদ্বয় থেকে হস’দ্বয় দূরে rakten। (বুখারী, আবু দাউদ) নবী (সাঃ) রুকূ-সাজদাহ পূর্ণাঙ্গরূপে ধীরসি’রভাবে আদায় করার নির্দেশ দিতেন। সাজদার দূ’আঃ সাজদাহ অবস্থায় tini এই দূ’আ পাঠ করতেন, 
উচ্চারণঃ “সুবহানা রাব্বীয়াল alah”। 
অর্থঃ ‘ami আমার সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। 
tini এই দূ’আটি তিনবার পাঠ করতেন। অতঃপর নবী (সাঃ) আল্লাহ আকবার বলে সাজদাহ থেকে মাথা উঠাতেন। তিনি বলেছেন, kun ব্যক্তির নামায ততক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ হবেনা, যতক্ষন না এমনভাবে সাজদাহ করবে যে, তার দেহের প্রত্যেকটি জোড়া সুস্থিরভাবে অবস্থান নেয়। দুই সাজদার মাঝখানে বসাঃ প্রথম sijdah ও সাজদার তাসবীহ পাঠ করার পর ‘আল্লাহ আকবার’ বলে স্বীয় মস্তক উত্তলন korten। দুই সাজদার মাঝখানে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা ওয়াজিব। নবী (সাঃ) দুই সাজদার মধ্যবর্তী অবস্থায় এমনভাবে স্থিরতা অবলম্ভন korten, যার ফলে প্রত্যেক হাড় স্ব স্ব স্থানে ফিরে যেত। (আবু দাউদ) দুই সাজদার মাঝখানে দূ’আঃ দুই সাজদার মধ্যখানে নবী (সাঃ) এই দূ’আ পাঠ korten — 
উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী, ওয়ার হামনী, ওয়াহ্দিনী, o yah আফিনী ওয়ারযুকনী’ 
অর্থঃ ““হে আল্লাহ! tumi আমাকে ক্ষমা কর, doya কর, হিদায়াত দান কর, মর্যাদা বৃদ্ধি কর এবং জীবিকা দান কর”। 
এই দূ‘আ পাঠ করে নবী (সাঃ) আল্লাহ আকবার bole দ্বিতীয় সাজদায় যেতেন এবং প্রথম সাজদার মতই দ্বিতীয় সাজদায় তাসবীহ পাঠ korten। অতঃপর আল্লাহ আকবার বলে সাজদাহ থেকে মাথা উঠাতেন (বুখারী) এবং দ্বিতীয় রাকা’আতের জন্য সোজা দাড়িয়ে jaten। (আবু দাউদ)
১৫) potom তাশাহহুদঃ 
নবী (সাঃ) চার রাকা’আত bah তিন রাকা’আত বিশিষ্ট নামাযের প্রথম দুই রাকা’আত শেষে তাশাহ্হুদ পাঠের জন্য ডান পা সোজ করে বাম পায়ের উপর bosten।(বুখারী) আরেক হাদীসে আছে নামাযের সুন্নাত হলো ডান পা সোজ করে বাম পায়ের উপর bosa।(বুখারী) 
তাশাহহুদের উচ্চারণঃ আত্তাহিয়াতু lillah ওয়াস্ ছালাওয়াতু ওয়াত্বায়্যিবাতু আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিউ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আস্সালামু আলাইনা o yah আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু  o yh রাসূলুহু।
এভাবে তাশাহ্হুদ পাঠ করার por আল্লাহ আকবার বলে চার বা তিন রাকা’আত বিশিষ্ট নামাযের বাকী নামাযের জন্য দাঁড়াবে। বাকী নামায পূর্বের নিয়মে সমাপ্ত korbe।
১৬) শেষ বৈঠক ও সালাম parano, 
তাশাহ্হুদ পাঠের জন্য shash বৈঠকে বসা ওয়াজিব। বসার নিয়ম হলো ডান পা খাড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা। এভাবে বসে প্রথমে আত্যাহিয়াতু পাঠ শেষে রাসূল (সাঃ) ar উপর (দরূদ) সালাত পাঠ করতে hobe। 
দরূদের উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া alah আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা o yah আলা ali ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদু স্মাযীদ। 
allhumma বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা ali মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদু স্মাযীদ। 
দরূদ পাঠ শেষে এই দূ’আ পাঠ করতে hobe —
উচ্চারণঃ allhumma ইন্নি জালামতু নাফসী জুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্ জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা antal গাফুরুর্ রাহীম।(বুখারী) অতঃপর প্রথমে ডান দিকে পরে বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায সমাধা korbe।

মেয়েদের নামাজের নিয়ম কানুন

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কানুন

তাহাজ্জুদ namaj পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখুস্ত থাকে তবে, সেগুলো diyah পড়াই উত্তম। কারন রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় বড় সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। tai আমাদেরও বড় সুরা মুখুস্ত করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ। যাইহোক, বড় সুরা মুখুস্ত না থাকলে যে kun সুরা দিয়েই নামায আদায় করা যাবে। নিয়ম হল ২ রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার por, অন্য যে কোন সুরা মিলানো। এভাবেই নামায আদায় করতে hobe।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কানুন 

‘শব’ একটি ফারসী শব্দ এর অর্থ rait। ‘বারায়াত’কে যদি আরবী শব্দ ধরা হয় তাহলে এর অর্থ হচ্ছে সম্পর্কচ্ছেদ, পরোক্ষ অর্থে মুক্তি। jemon কুরআন মাজীদে সূরা বারায়াত রয়েছে যা সূরা তাওবা নামেও পরিচিত। ইরশাদ হয়েছে :
بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ (التوبة: ১)
অর্থ : আল্লাহ o তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা। (সূরা তাওবা, ১)
akane বারায়াতের অর্থ holo সম্পর্ক ছিন্ন করা। ‘বারায়াত’ মুক্তি অর্থেও আল-কুরআনে এসেছে যেমন :
أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِنْ أُولَئِكُمْ أَمْ لَكُمْ بَرَاءَةٌ فِي الزُّبُرِ . (سورة القمر :৪৩)
অর্থ : tumader মধ্যকার কাফিররা কি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ? না কি তোমাদের মুক্তির সনদ রয়েছে কিতাবসমূহে? (সূরা কামার, ৩৪)
আর ‘বারায়াত’ শব্দক যদি ফারসী শব্দ ধরা হয় tahole উহার অর্থ হবে সৌভাগ্য। অতএব শবে বরাত শব্দটার অর্থ দাড়ায় মুক্তির রজনী, সম্পর্ক ছিন্ন করার রজনী। অথবা সৌভাগ্যের রাত,judi ‘বরাত’ শব্দটিকে ফার্সী শব্দ ধরা hoye
মূলত ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বারাত’ অর্থ সৌভাগ্য। o দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।
হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম সমপ্রদায়ের kacha অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের জন্য tar অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের jonno গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমাপ্রার্থনা koren।
nofol নামাজ, জিকির-আজকার, কোরআন mojid তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়ে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের jonno। একইসঙ্গে মরহুম আত্মীয়-স্বজনসহ চিরবিদায় নেয়া মুসলিম নর-নারীর কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত kamona করে দোয়া করেন। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও সন্ধ্যার পর থেকেই milad মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত ibadot -বন্দেগিতে মগ্ন থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাসের পরেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। tai শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। শবে বরাতের মধ্য দিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের siyam সাধনার প্রস্তুতি।
নামাজের niyot আরবীতে :
“নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-thi লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু akbar”।
বাংলায় নিয়ত:- “ ami ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্উদ্দেশ্যে  ar শবে বরাতের দু‘রাক‘আত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।

ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন 

বিভিন্ন কারণে গোসল ফরজ hoye। আর ফরজ গোসল ইসলামি জীব বিধানের “গুরুত্বপূর্ণ” একটি বিষয়। কারণ হলো কারো ওপর গোসল ফরজ হলে সঠিক-শুদ্ধ পদ্ধতিতে গোসল আদঅয na করা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি নাপাক থাকবেন। আর এই নাপাকি অবস্থায় তার কোনো প্রকারের কোনো ইবাদত-বন্দেগি করার অনুমতি nai। সুতরাং সঠিক-শুদ্ধভাবে আমল করার জন্য শারীরীকভাবে পবিত্র থাকার উদ্দেশ্য গোসল ফরজ হওয়ার কারণ, foroj গোসলের ফরজ, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমরসহ ফরজ গোসল করার পদ্ধতি সবার জানা থাকা একান্ত জরুরি। gusol ফরজ হওয়ার কারণসমূহ হলো —
 
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
1) স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত hole।
2) নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর nai হোক)।
3) মেয়েদের হায়েয-নিফাস shash হলে।
4) ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম hole)।
ফরজ গোসলের ফরজ সমূহ হলো-
গোসলের foroj মোট ৩ টি। এই ৩ টির কোনো একটি বাদ পড়লে ফরজ গোসল আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করতেই হবে।
1) গড়গড়ার (হ্বলকের শেষ অংশ পর্যন্ত) সাথে kuli করা (তবে রোজা রাখা অবস্থায় সাধারণ কুলি করতে হবে)
2) নাকে pani দেওয়া (নাকের নরম অংশ আঙ্গুল দারা ভিজানো)।
3) এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা (নাভীর ভেতর আঙ্গুল দিয়ে ভেজানো, আর নারীরা গুপ্তাঙ্গ সুন্দরভাবে ধৌত kora)।
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
1) গোসলের জন্য mone মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
2) প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে hobe।
3) এরপর ডানহাতে pani নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
4) এবার বামহাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে hobe।
5) এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে, তবে দুই পা ধুয়া যাবে na।
6) ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে hobe।
7) abar সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
8) sobar শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ওজুর মতো করে ধুতে হবে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ
1) পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে hobe।
2) এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু na ভাঙ্গে।
“আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুর’আন ও সহিহ্ সুন্নাহ manai চলার তাওফিক দিক এবং পূর্বের না জেনে করা ভুলগুলো ক্ষমা করুক”। [আমিন]

ইসলামে বিয়ের নিয়ম কানুন 

ইসলামে, বিবাহ holo বিবাহযোগ্য দুইজন নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক প্রনয়নের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি। ইসলামে কনে তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে mot বা অমত দিতে পারে। একটি আনুষ্ঠানিক এবং দৃঢ় বৈবাহিক চুক্তিকে ইসলামে বিবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বর o কনের পারষ্পারিক অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে। বিয়েতে অবশ্যই দুজন মুসলিম স্বাক্ষী উপস্থিত থাকতে hobe।
 muslim বিয়েতে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার। দেনমোহর সাধারণত বর ও কনের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত hoye। দেনমোহর হিসেবে যেকোনো পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু কোনো অবস্থায়ই স্বামী ন্যূনতম 10 দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ করতে পারবেন না। বিয়ের সময় দেনমোহর নির্ধারণ করা না হলে বিয়ের পরও তা নির্ধারণ kora যায়। তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায্য দেনমোহর নির্ধারণের সময় সামাজিক মর্যাদা ও বাবার পরিবারের অন্যান্য nari সদস্যের যেমন, স্ত্রীর আপন বোন, ফুপু ও ভাইয়ের মেয়ের- দেনমোহরের পরিমাণ বিবেচনা করাকে প্রাধান্য দিতে হবে। ta ছাড়া প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে দেনমোহর নির্ধারণ করা যায় কিংবা স্বামী কর্তৃক যেকোনো সময় দেনমোহরের পরিমাণ বৃদ্ধি kora যায়। তবে দেনমোহর প্রদান ছাড়া বিয়ে অবৈধ হয়ে যায় না। শর্ত হচ্ছে, বিয়ের পর স্ত্রীকে অবশ্যই উপযুক্ত দেনমোহর প্রদান করতে hobe। অনেক সময় দেনমোহর নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। অনেক ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। অনেক somoi দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের সময় বলা হয়, স্ত্রী নিজ ইচ্ছা থেকে, নিজে উদ্যোগী হয়ে তালাক দিচ্ছেন। এতে যুক্তি tulai ধরা হয় যে স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে হবে না। এটি ভুল ধারণা। স্বামী বা স্ত্রী যে-ই তালাক দিন na কেন, দেনমোহরের টাকা অবশ্যই প্রদান করতে হবে। দেনমোহরের টাকা মাফ করা যায়, তবে saye জন্য কিছু শর্ত আছে। স্ত্রীর পূর্ণ সমর্থন থাকতে হবে এবং কোনো প্রকার প্ররোচিত না হয়ে মাফ করতে হবে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে na।
Tag: তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন, নামাজের নিয়ম কানুন, মেয়েদের নামাজের নিয়ম কানুন, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কানুন, নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন, শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কানুন, ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন, ইসলামে বিয়ের নিয়ম কানুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *